E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

প্রণমি তোমায় বঙ্গবন্ধু

২০২৪ মার্চ ১৭ ১৬:৪৩:৪৭
প্রণমি তোমায় বঙ্গবন্ধু

গোপাল নাথ বাবুল


পঞ্চান্ন বছরের যাপিত জীবন ছিল বঙ্গবন্ধুর, যা সময়ের বিচারে বেশ সংক্ষিপ্ত। কিন্তু জীবনের দৈর্ঘ্যের চেয়ে তার কর্মের প্রস্থ ছিল অনেক বেশি। সুতরাং সংক্ষিপ্ত পরিসরে বঙ্গবন্ধুকে সম্পূর্ণরূপে জানা কোনোভাবে সম্ভব নয়।

বিভিন্ন ইতিহাস থেকে জানা যায়, আজ থেকে প্রায় ৫৫৯ বছর আগে, ১৪৬৩ খ্রিষ্টাব্দে আরব জাহানের বোস্তাম শহর থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশের চট্টগ্রামে আস্তানা গড়েছিলেন হযরত বায়েজীদ বোস্তামী (রহঃ) নামের এক সুফীসাধক ও দরবেশ। এ দরবেশের নির্দেশে তাঁর প্রিয় শিষ্য দরবেশ শেখ আওয়াল(রহঃ) ধর্ম প্রচারের জন্য চলে যান মেঘনা পাড়ের সবুজ-শ্যামল সোনারগাঁও এলাকায়। মেঘনা নদী দিয়ে প্রসিদ্ধ এলাকা সোনারগাঁয়ে ভিড়তো বড় বড় পালতোলা নৌকা। ভালো লেগে যায় এলাকাটি তাঁর। এখানে আস্তানা গড়ে বিয়েসাদী করে সংসার করা শুরু করেন তিনি। পরবর্তীতে দরবেশ শেখ আওয়ালের পঞ্চম পুরুষ শেখ বোরহানউদ্দিন ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার (বর্তমান গোপালগঞ্জ জেলা) ছায়া সুনিবিড় টুঙ্গীপাড়া গ্রামের কথা লোকমুখে শুনে সেথানে গিয়ে বিয়ে-শাদী করে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। সুফি সাধক ও দরবেশ শেখ আওয়ালের অষ্টম পুরুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই প্রিয় বাংলাদেশের স্থপতি।

কোনো জাতির নিজস্ব ভূখন্ড না থাকলে সে জাতির সভ্যতা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ইতিহাস, ঐতিহ্য সবকিছুই ক্রমান্বয়ে বিলুপ্তির দিকে চলে যায়। বাঙালি জাতির ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছিল। পাকিস্তান শাসনামলে তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানে বাঙালি ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্য ছিল পাকিস্তানি আগ্রাসনে পর্যুদস্ত। আঘাত এসেছিলো আমাদের ভাষার উপর। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিষিদ্ধ করে তাদের হীন চক্রান্ত বাস্তবায়নের জন্য একদল ‘অনুগত’ বুদ্ধিজীবি সৃষ্টি করেছিল ওই নিলর্জ্জ পাকিস্তানিরা।

রাজনীতি, অর্থনীতি, সামাজিক সকল ক্ষেত্রে চলছিল বঞ্চনা-বৈষম্য। জাতির এ যুগ সন্ধিক্ষণে আবির্ভূত হয়ে পাকিস্তানিদের হীন চক্রান্তকে পায়ে মাড়িয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর ইতিহাসের গতিপথ নিরূপণ করেছিলেন ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই আমাদের কাছে ‘বঙ্গবন্ধু’ ও ‘বাংলাদেশ’ এক ও অভিন্ন একটি নাম।

টুঙ্গীপাড়া গ্রামটি একটি সাজানো-গোছানো গ্রাম। এ গ্রামের পাশ দিয়ে বাইগার নদী এঁকে-বেঁকে মিশেছে মধুমতী নদীতে। এ বাইগার নদী থেকে ‘কাটাগাঙ’ নামক একটি খাল চলে গেছে ‘শেখবাড়ি’র কোল ঘেঁষে। আঁকা-বাঁকা এ কাটাগাঙের তীরে ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ শেখ লুৎফর রহমান ও শেখ সায়রা খাতুনের কোল আলো করে জন্ম নেন আলোকবর্তিকা, উদার মনের অধিকারী, সাহসি, জনগণকে কাছে টানার অপূর্ব সম্মোহনী ক্ষমতা ও তেজী নেতৃত্বের অধিকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আগামী ১৭ মার্চ এ মহানায়কের ১০২তম জন্মবার্ষিকী। চিরনমস্য ও পৃথিবীর শ্রেষ্ট বাঙালি হিসেবে স্বীকৃত বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবসে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।

শেখ লুৎফর রহমানের পরপর দু’টো কন্যা সন্তান হওয়ায় মনটা খুবই খারাপ ছিল। তাই বঙ্গবন্ধুর জন্মের পর শেখ পরিবারে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। নানা আব্দুল মজিদ তাঁর সমস্ত সম্পত্তি বঙ্গবন্ধুর মাতা শেখ সায়রা খাতুনকে দান করেন এবং আদরের নাতির নাম শেখ মুজিবুর রহমান রেখে মেয়েকে বলেন, ‘মা সায়রা, তোর ছেলের এ নাম একদিন জগৎজোড়া খ্যাত হবে’ বলে সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে হাত তুলে আশীর্বাদ করেন। আর মা-বাবা আদর করে নাম দিলেন ‘খোকা’।

নানার কথা শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনে অক্ষরে অক্ষরে ফলে যায়। ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধুর পরোপকারী মন ও নেতৃত্ব দানের ক্ষমতার পরিচয় পাওয়া যায়। ছোটবেলায় একবার খালি গায়ে স্কুল থেকে ফেরার কারণ জিগ্যেস করলে বঙ্গবন্ধু উত্তরে মাকে জানান, তাঁর এক সহপাঠির গায়ে কিছু ছিল না। তাই তাঁর গায়ের কাপড় তাকে দিয়ে দিয়েছেন। একবার যুক্তবাংলার প্রধানমন্ত্রী একে ফজলুল হক ও শ্রমমন্ত্রী শহীদ হোসেন সোহরাওয়ার্দী গোপালগঞ্জ শহরের স্কুল পরিদর্শনে এলে অসীম সাহসি শেখ মুজিবুর রহমান তাঁদের কাছ থেকে বৃষ্টির পানি পড়া স্কুলঘর মেরামতের অঙ্গীকার আদায় করে নেন।

তাই বলা যায়, নেতৃত্ব গুণ, মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং গুরুজনদের ভক্তি ও সম্মান করা তিনি প্রকৃতিগতভাবে তাঁর পরিবার থেকে পেয়েছেন। তাছাড়া, যেখানে অন্যায় সেখানেই তাঁর ছোট দলটি নিযে প্রতিবাদে ফেটে পড়তেন। প্রয়োজনে মারামারি করতেন। এভাবেই মা-বাবার আদরের খোকা থেকে একদিন হয়ে উঠলেন সারা বাঙালি জাতির বন্ধু ও রক্ষাকর্তা। তাঁর এক অঙ্গুলি হেলনে পাকিস্তানি স্বৈরশাসক আয়ুব-ইয়াহিয়াদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষম্য এবং সকল প্রকার অন্যায়-অবিচারকে পায়ে মাড়িয়ে বীর বাঙালি বাংলার মাটি কাঁপানো তীব্র এক মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও দুই লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন পলাশীর প্রান্তরে অস্ত যাওয়া বাঙালির কাছে প্রায় অধরা গর্বের ধন স্বাধীনতা নামক রক্তিম লাল সূর্য।

এসবই সম্ভব হযেছে বঙ্গবন্ধুর অসীম সাহস, তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও রাজনৈতিক অন্তর্দৃষ্টিগুণে। তাঁর রাজনৈতিক অন্তর্দৃষ্টি শক্তি এতই প্রখর ছিল যে, জনগণ কখন কী চায়, তা তিনি সহজে বুঝতে পারতেন এবং জনগণের মনের কথা বুঝেই তিনি সিদ্ধান্ত নিতেন। এককথায়, বাংলার কৃষক, শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষের সাথে বঙ্গবন্ধুর নাড়ির যোগ ছিল। নাহয়, পাকিস্তানি সামরিক একনায়কদের দ্বারা তৈরি করা অত্যন্ত এক জটিল পরিস্থিতি মোকাবেলা করে একটা দেশকে স্বাধীনতা এনে দেয়া কী চাট্টিখানি কথা ! এটা যে কতবড় কঠিন কাজ তা একমাত্র ভুক্তভোগীরাই জানেন। কেননা, বছরের পর বছর যুদ্ধ করেও এখনো পৃথিবীর বেশকিছু জাতি তাদের মাতৃভূমিকে স্বাধীন করতে পারেনি।

মূলতঃ পাকিস্তান রাষ্ট্রটির উদ্ভব হয়েছিলো তৎকালীন মূখ্য রাজনীতিকদের সাম্প্রদায়িক বিভাজনের মাধ্যমে। ফলে জনাকাঙ্খার উল্টোপথে হাঁটা পাকিস্তান সুবিধাবাদী রাজনীতিকদের আদর্শ রাষ্ট্র ও প্রতীকে পরিণত হয়। পাকিস্তানকে ঘিরে বাঙালি মধ্যবিত্ত মুসলমান সমাজের যে স্বপ্ন দানা বেঁধেছিল, তার স্বপ্নভঙ্গ ঘটে যখন পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী রাষ্ট্রভাষা প্রশ্নে বাংলাভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আঘাত হানে। ফলে সিনিয়র নেতাদের উৎসাহে উদীয়মান নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে হতাশ হয়ে পড়া বাঙালি তরুণেরা সংঘটিত হয়ে তুমুল রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন গড়ে তোলেন এবং এ আন্দোলন পূর্ণাঙ্গ রূপ লাভ করে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি। সালাম, বরকত, রফিক, শফিকসহ নাম না জানা তরূণেরা পাকিস্তানিদের গুলিতে আত্মাহুতি দেন। ৫৪ এর যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে মুসলিমলীগকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করে বুঝিয়ে দেন, বাঙালিরা কোনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না। ফলে ৫৬ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের সংবিধানে পরিবর্তন এনে বাংলাকে দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয়ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী। যেন ‘গাধা পানি খায় কিন্তু ঘোলা করে খায়’ প্রবাদ বাক্যটিকে আরেকটিবার প্রমাণ করে ছাড়ল পাকিস্তানিরা।

এরপর গণতন্ত্র, স্বায়ত্বশাসন ও অর্থনৈতিক বৈষম্যসহ সামরিক সরকারের নানা প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে ৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তির সনদ ৬ দফা ঘোষণা করলে পাকিস্তানিরা উভয় সংকটে পড়ে যায়। সংকট নামক লাড্ডুটা এতই মারাত্মক যে, কাঁটার জন্য গিলতেও পারছিল না আবার মিষ্টির জন্য ফেলতেও পারছিল না। শেষ পর্যন্ত অনন্যোপায় হয়ে বঙ্গবন্ধুসহ ৩৫ জনকে আসামি করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা দায়ের করে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী আরেকবার রাজনৈতিক অনভিজ্ঞতার পরিচয় দেয়। ফলে পূর্ববাংলার ছাত্র-জনতা আরো ক্ষেপে যায় এবং ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনে ৬৯ এর গণঅভূত্থানের কবলে পড়ে আয়ুব খানের পলায়ন ও আরেক সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খানের আগমন ঘটে।

ইয়াহিয়া খান অবস্থা বেগতিক দেখে সাধারণ নির্বাচন দিতে বাধ্য হন এবং পাকিস্তানের একমাত্র ৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ বিপুল ভোটে জয়লাভ করলে পিপিপি’র জুলফিকার আলী ভূট্টোর কু-পরামর্শে ক্ষমতা হস্তান্তরে গড়িমসি শুরু করে ইয়াহিয়া সরকার। মূলতঃ তাদের পরিকল্পনা কী ছিল, তা মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমীর আব্দুল্লাহ খান নিয়াজির জনসংযোগ কর্মকর্তা মেজর সিদ্দিক সালিকের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে লেখা বই ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ এ পাওয়া যায়। সেই বইয়ের এক জায়গায় তিনি লিখেন, ‘পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা শেখ মুজিবুর রহমান পরিস্কার জানিয়ে দেন যে, ছয় দফার কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না। এটা এখন জনগণের সম্পত্তি’। এর উত্তরে পাকিস্তানি জেনারেলদের মধ্যে আলোচনা হয়, যদি তিনি একাই চলতে চান তাহলে এমন কেউ কী আছে, যে তাকে পাকিস্তানের অপ্রতিদ্বন্দ্বী শাসক হওয়া থেকে বিরত রাখতে পারে?

সেনাবাহিনী কী বিনম্র বদনে ঘটনার কেন্দ্র থেকে ফিরে আসবে এবং নির্বাচিত নেতাদের তাদের নিজের মতো করে কাজ করার সুযোগ দিয়ে চলে আসবে? নির্বাচন শেষ হবার সংগে সংগে আমাদের মনে এ ধরণের প্রশ্ন আড়োলন তুলল। এ প্রশ্নের জবাব পাওয়া গেল ইয়াহিয়ার ঘনিষ্ট ও আস্থাভাজন এক জেনারেলের কাছ থেকে, যিনি ডিসেম্বরের শেষাশেষি ঢাকায় এসেছিলেন। গভর্নমেন্ট হাউজে সুস্বাদু ভোজনপর্ব সমাধানের পর ঘরোয়া পর্যায়ে আলাপচারিতাকালে ইয়াহিয়ার একটি বাক্য ঘোষণা করেন, চিন্তা করোনা- আমাদের ওপর শাসন চালাতে ওই কালো জারজদের সুযোগ দেব না। ইয়াহিয়া খান কর্তৃক ঘোষিত এ মন্তব্য যেকোনো প্রকারে হয়তো মুজিবুর রহমানের কাছে চলে যায়’।

ফলে অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে পূর্ববাংলা এবং ৭১ এর ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে গর্জে ওঠেন সে অবিস্মরণীয়, জলদগম্ভীর ও স্বর্গীয় কন্ঠস্বর “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম/ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”। বজ্রগর্ভ সে ভাষণের পর ঐতিহাসিক মূল্যে হয়ে উঠল বিশ্ব ঐতিহ্য।

বঙ্গবন্ধুর এ বজ্রনিনাদে আসন্ন মহামুক্তির আনন্দে উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন বাঙালি জাতি। যুগ যুগ ধরে শোষিত বঞ্চিত বাঙালি ইস্পাতকঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় কাঙ্খিত মুক্তির লক্ষ্যে। হেমন্তের শীতে খালি গায়ে কাদাজল মাড়িয়ে কৃষক, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষসহ ছাত্রসামজ যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং ছিনিয়ে আনেন পরম আরাধ্য স্বাধীনতা।

জাতির স্থপতি, চিরনমস্য ও গৌরবময় অভিধার অন্যতম দাবিদার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে বাঙালির আরেক সূর্যসন্তান অন্নদা শংকর রায় লিখেছিলেন, “যতকাল রবে পদ্মা মেঘনা গৌরি যমুনা বহমান/ ততকাল রবে কীর্তি তোমার, শেখ মুজিবুর রহমান”।

তাইতো এ ক্ষণজন্মা মহান ব্যক্তিত্বের শুভ জন্মদিনে পুনরায় প্রণাম-সহ ভালোবাসা ও গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে উন্নত শিরে বলি, ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’।

লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট।

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test