E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় কঠোর হতে হবে

২০২৪ এপ্রিল ০৭ ১৬:০৫:২৭
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় কঠোর হতে হবে

গোপাল নাথ বাবুল


ইতিহাসে ‘মধ্যযুগ’ বলে একটা সময়ের কথা বলা আছে। ঐ যুগের অনেক নির্মমতার কথা ইতিহাসে লিপিবদ্ধ রয়েছে। যত অন্যায়, অত্যাচার ও পৈশাচিক নির্যাতন ছিল, সবই ছিল ঐ যুগে। যখন যা ইচ্ছে তাই করতো প্রভাবশালীরা। ধর্ষণ, খুন, জখম, আগুনে পুড়ে হত্যা, মন চাইলে যে কাউকে গ্রাম ছাড়া, রাজ্য ছাড়া অথবা মৃত্যুদন্ড প্রদান সবই ছিল সবলদের মর্জি মাফিক। জবাবদিহিতার কোনো বালাই ছিল না। এজন্য বর্তমান যুগে কোনো নৃশংস ও নারকীয় ঘটনা ঘটলে আমরা তাকে ‘মধ্যযুগীয় বর্বরতা’ বলে অভিহিত করি। মধ্যযুগ চলে গেছে সে বহু বছর আগে। এখনো মন-মানসিতার দিক দিয়ে আমরা রয়ে গেছি সে মধ্যযুগে। অথচ পোষাক-পরিচ্ছদ, ভোগবিলাস, আহার-বিহার, আচরণ-স্বভাবে এমন কি মাথার চুল কাটাতে গিয়েও ইউরোপের উন্নত দেশগুলোকে অনুসরণ করি। কিন্তু তাদের কায়দা-কানুন ও মন-মানসিকতার ধরণকে গ্রহণ করতে পারিনি এখনো।

মধ্যযুগের মানুষ শিক্ষায়-দীক্ষায় অনগ্রসর ছিল। তাই তখন মানুষ সে বর্বরতাকে গ্রহণ করতো। কিন্তু এখনতো মানুষ শিক্ষায়-দীক্ষায় অনেক অগ্রসর। ডিজিটাল যুগ। মোবাইলের বোতামে একটি চাপ দিলেই সারা দুনিয়া এসে হাজির হয় চোখের সামনে। সত্য-মিথ্যা যাচাই করা যায় মূহুর্তে। তারপরও মানুষ সে মধ্যযুগীয় মনমানসিকতাকে ত্যাগ করতে না পারার একমাত্র কারণ, বিচারহীনতার সুযোগ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সাম্প্রদায়িকতার লালন ও চর্চায় দেশে একটি সাম্প্রদায়িক লুটেরা গোষ্ঠী গড়ে উঠেছে। যারা মন চাইলে সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পনা মোতাবেক কোনো গুজব রটিয়ে সংখ্যালঘুদের সহায়-সম্পদ লুট করে, তাদের নারীদের নিগ্রহ করে, তাদের বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে, পুড়িয়ে ছারখার করে দেয়।

দেশভাগের আগের বছর ১৯৪৬ সালে নোয়াখালীর দাঙ্গার কারণে ঠিকতে না পেরে মা-বোন-স্ত্রীর ইজ্জত এবং সহায়-সম্পদ হারিয়ে দলে দলে হিন্দু বাঙালিরা চৌদ্দ পুরুষের ভিটে ছেড়ে পাশ্ববর্তী দেশে উদ্বাস্তু হতে বাধ্য হয়। সে থেকেই শুরু হয়ে যা এখনো পর্যন্ত চলছে নির্বিচারে। কারণ, তারা জানে যে, এতে তাদের কোনোদিন বিচারের মুখোমুখি হতে হয়নি। এছাড়া, মাদ্রাসায় ও কিছু কিছু মুফতি মাওলানা নামধারী চিহ্নিত সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি ওয়াজের মাধ্যমে তাদের এ শিক্ষা দেন যে, অমুসলিমেরা কোনো মানুষ নয়। তারা নিকৃষ্ট জীব থেকেও অধম। তাদের ধর্ম কোনো ধর্ম নয়। তাদের মুর্তিগুলো ভাঙ্গা জায়েজ। আব্বাসি তো প্রকাশ্যে একজন প্রশ্নকারির উত্তরে বলেন, হিন্দুদের সম্পদ জোর পূর্বক দখল করলে বড় কোনো শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে না অর্থাৎ দোজখে যেতে হবে না। প্রকাশ্যে ওয়াজ-মাহফিলে এসব প্রচার করে এক শ্রেণির মানুষকে উত্তেজিত করলেও সরকার কোনোদিন তাদের বিচার ও জবাবদিহিতার আওতায় আনেনি। ফলে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী আরো উৎসাহ নিয়ে এসব কুকর্ম করে বেড়ায়।

৪৭ এ পাকিস্তান সৃষ্টির পর দীর্ঘ ২৩ বছর সাম্প্রদায়িকতার চাষ হয়েছে এ দেশে। ১৯৭১ সাল থেকে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জন করা স্বাধীন বাংলাদেশকে অসম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে গিয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালোরাতে স্ব-পরিবারে প্রাণ দিয়ে তার খেসারত দিতে হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। এরপর সাম্প্রদায়িক নামক বিষ বৃক্ষটির গোড়ায় সার-পানি দিয়ে আরো বলবান করে তোলেন জেনারেল জিয়াউর রহমান। জিয়ার নীরব অত্যাচারে সহায়-সম্পদ ফেলে দলে দলে সংখ্যালঘু হিন্দুরা দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। জিয়ার মৃত্যুর পর জেনারেল এরশাদ এসে ইসলামকে রাষ্ট্রীয় ধর্ম করে বিপুল উৎসাহে এ ধারাকে আরো একধাপ এগিয়ে নিয়ে যান। ৯০ এর গণআন্দোলনের পর নির্বাচনের মাধ্যমে আসা খালেদা জিয়া সরকারের আমলেও দেখা গেল ’যে লাউ সে কদু’। তারপর অনেক আন্দোলন, ত্যাগ-তিতিক্ষার পর দীর্ঘ ২১ বছর অতিক্রান্তে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় বসে আপ্রান চেষ্টা করেও পারেননি দেশকে অসম্প্রদায়িক কাঠামোতে পরিণত করতে। ২০০১ সালে আবারো দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পড়ে রাষ্ট্রক্ষমতা চলে যায় দেশবিরোধীদের হাতে। আবার সে পুরানো ধারা। অনেক লুটপাট, অনেক ধর্ষণ, অনেক খুন, অনেক ধ্বংসসহ অনেক নাটকের পর একটা ফেয়ার ইলেক্শনের মাধ্যমে ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এলেন জনগণের বহু প্রতিক্ষীত নেতা শেখ হাসিনা। সংখ্যালঘুরা আবার আশায় বুক বাঁধলো। এবার হয়তো আর কোনো সাম্প্রদায়িক অঘটন ঘটবে না।

কিন্তু উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় ২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত সংঘটিত সাম্প্রদায়িক ঘটনাবলী তদন্তে সুপারিশ সম্বলিত শাহবুদ্দিন কমিশনের রিপোর্টটিকে আলোর মুখ দেখতে না দিয়ে সংখ্যালঘুদের বুঝিয়ে দেয়া হলো যে, তাদের সে আশায় গুড়েবালি। এতে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীও ম্যাসেস পেয়ে গেল। তারা নতুন উদ্যোগে, নতুন কৌশলে শুরু করলো ডিজিটাল হামলা।

২০১২ থেকে ২০২১ সাল। রামু থেকে নাসিরনগর, রংপুর, ভোলার বোরহানউদ্দিন হয়ে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও। উত্তম বড়–য়া থেকে রসরাজ, বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্য হয়ে ঝুমন দাস আপন। সব জায়গায় একই চিত্রনাট্য। একই ডায়লগ। একই নাটক মঞ্চায়ন। কোনো সংখ্যালঘু ব্যক্তির ফেইসবুক আইডি যে কোনো কলা-কৌশলে হ্যাক করে তাতে আল্লাহ, রসুল ও ইসলাম ধর্মের নামে অবমাননাকর লেখা লিখে স্কীন শর্ট নিয়ে ঐ সংখ্যালঘুর ব্যক্তির নামে ফেসবুকে ভাইরাল করা। তারপর উত্তেজনা এবং বিভিন্ন চতুরতার সাথে মাইকে ডেকে মানুষ জড়ো করে তাদের ক্ষেপিয়ে ঐ ব্যক্তির পাড়া-মহল্লা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, লুঠপাট, মুর্তি ও মন্দির ভাঙ্গচুর, ঘর-বাড়িতে আগুন দেয়াসহ ধর্মের নামে হেন কোনো পৈশাচিক কাজ নেই, যা তারা করে না। যখন মন চায়, এ ধর্মীয় লেবাসধারি লোকগুলো মানবতাকে পিষিয়ে মারে। যা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়।

রামুর উত্তম বড়ুয়া কোথায় ? আদৌ বেঁচে আছেন কিনা জানি না। অথচ সরকারের উচিত ছিল, উত্তম বড়ুয়ার সন্ধান দেওয়া। তিনি বেঁচে আছেন কিনা, বেঁচে থাকলে কোথায় কি অবস্থায় আছেন, তার পরিবারকে জানানো। অথচ যারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উক্ত ঘটানা ঘটিয়েছে, তারা দিব্যি শার্টের বোতাম খুলে দিয়ে কক্সবাজারের সৈকতের ঠান্ডা হাওয়া খেয়ে নির্ভয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

আরো আশ্চর্যের বিষয় যে, তৌহিদী জনতার মামার বাড়ির আবদার মিটাতে গিয়ে ভোলার নিরাপরাধ বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্যকে কারাগারে যেতে হয়েছে। অথচ স্বয়ং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনা সম্পর্কে অবগত ছিলেন। তিনি এ ঘটনায় (২০ অক্টোবর, ২০১৯) গণভবনে আওয়ামী যুবলীগের নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত মনে বলেছিলেন, ‘একজন মুসলিম হয়ে কীভাবে মহানবী (সঃ) সম্পর্কে খারাপ কথা লিখে অন্যকে ফাঁসায়, তা আমার বোধগম্য নয়।’ তিনি ক্ষোভের সঙ্গে আরো বলেছিলেন, ‘কেউ যদি সত্যিকার ইসলাম ধর্মে বিশ্বাস করে, যদি তাদের নবী করিম (সঃ) এর প্রতি এতটুকু সম্মান থাকে, তাহলে আরেকজনের ক্ষতি করার জন্য এ ধরণের জঘণ্য কথা কীভাবে লেখে ?’

ধর্মীয় লেবাসধারিদের উম্মাদনা দিন দিন প্রবল হয়েছে। তাই ২০২১-এ বহু প্রতিক্ষীত শারদীয়া দুর্গোৎসবের আনন্দের মধ্যেও আতঙ্ক ছিল। কেননা, কোন সময় কোন দিক থেকে কোন কারণে যে হঠাৎ হিন্দুদের মন্দির ও মুর্তি ভাঙ্গা শুরু হয় তা বোঝা খুবই মুশকিল। সুতরাং সে আতঙ্কও সত্যি হয়েছিলো। কুমিল্লার নানুয়া দিঘী পাড় থেকে শুরু হয়ে রংপুর পর্যন্ত সে মধ্যযুগীয় বর্বরতা ছড়িয়ে পড়ে। তবে এবারের হামলায় ‘ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি’ কর্তৃক সরকারের পুলিশ প্রশাসনসহ বিভিন্ন জায়গায় দেশ বিরোধীরা ঢুকে পড়ার অভিযোগটি প্রমাণিত হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের যথেষ্ট গাফলতি ও অবহেলা দৃষ্ট হয়েছে। নাহয়, কুমিল্লা থেকে ছড়িয়ে পড়া এ বর্বরতা ২২টি জেলায় ছড়িয়ে পড়তে পারতো না। শুধু প্রশাসনে নয়, ছাত্রলীগসহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনেও যে দেশবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক লোক ঢুকে পড়েছে, তার প্রমাণ রংপুর ছাত্রলীগ নেতা সৈকত মন্ডল গ্রেফতার। এভাবে ছাত্রলীগ-যুবলীগের ভিতর কত হাজার হাজার সৈকত মন্ডলেরা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, তার কোনো হিসেব নেই। ফলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ কেন্দ্র প্রথম থেকে এ অনৈতিক কান্ডের বিরুদ্ধে সরব হলেও তৃণমূল পর্যায়ে ছিল একেবারে নীরব। কারণ, কাউয়াদের ভীড়ে আসল বঙ্গবন্ধু ভক্তরা এখন প্রায় নিস্ক্রিয়। বর্তমানে বুয়েট-কুয়েট থেকে শিবির তাড়াতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আন্দোলন গড়ে তুলেছে। তাই আমাদের দাবি থাকবে ছাত্রলীগের নিকট- সৈকত মন্ডলদের তাড়িয়ে আগে বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে শিবির মুক্ত করুন।

বর্তমানে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার নতুন নতুন ধরন রূপ লাভ করেছে। যেমন- রমজানে হিন্দুদের টি স্টল খোলা যাবে না, হিন্দুর মহিলাদেরও বোরকা ছাড়া গাড়িতে যাতায়াত করা যাবে না, পান খাওয়ার অপরাধে বৃদ্ধা হিন্দু মহিলাকে মেরে হাসপাতাল পাঠানো, বেছে বেছে হিন্দুদের ঘরে ডাকাতি করতে গিয়ে লুঠ-পাটের পর হিন্দু মহিলাদের গণধর্ষণ, কোনো বখাটে কর্তৃক গভীর রাতে ছাদ বেয়ে কোনো হিন্দু বাড়িতে ঢুকে মায়ের কোল থেকে কোনো কিশোরীকে জোর পূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া প্রভৃতি।
মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট অনুযায়ী, শুধু ২০১৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গত ৯ বছরে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর ৩ হাজার ৬৫৮টিরও বেশি সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে। মন্দির ও উপাসনালয়ে হামলা এবং প্রতিমা ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটেছে ১ হাজার ৬৭৮টি। হামলার প্রায় ৯৯ শতাংশই হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। এমনকি ২০২০ সালে কোভিড কালেও হিন্দুদের ১২টি বাড়িঘরে হামলা, ৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাঙ্গচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ৬৭টি মন্দির-উপসনালয়ে হামলা ও প্রতিমা ভাঙ্গচুর করা হয়। এসব ঘটনায় আহত হয়েছিলেন ৭১ জন।

সুতরাং এসব ধর্ম ব্যবসায়ীদের উম্মাদনাকে সমূলে উৎপাটন করতে হলে সর্বপ্রথম সাম্প্রদায়িকতা নামক বৃক্ষের চাষ বন্ধ করতে হবে। ওয়াজকারির আপত্তিকর ও ধর্মীয় উম্মাদনা সৃষ্টিকারি ওয়াজ, অন্যধর্ম নিয়ে অবমাননাকর ও উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান সাধারণ মানুষের মনে এক প্রকার ঘৃণার সৃষ্টি করে এবং শুধু তাই নয়, অনেক ওয়াজকারি অন্যধর্মের মুর্তি, মন্দির ভাঙ্গাকে ধর্মীয় দায়িত্ব বলে চালিয়ে দেয়, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে প্রতিনিয়ত ভাইরাল হচ্ছে। এদের আইনের আওতায় আনতে হবে। ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক বিষ ছড়িয়ে সহিংসতা সৃষ্টির তৎপরতা বন্ধে অবশ্যই প্রশাসনকে আরো অধিক সচেতন হতে হবে এবং প্রশাসনকে আরো কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে প্রত্যেকটি ঘটনার সুষ্ঠ ও যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তির শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় আরো অধিক কঠোর হতে হবে।

লেখক : শিক্ষক ও কলামিস্ট।

পাঠকের মতামত:

২৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test