E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

এ কী কথা তাহাদের মুখে?

২০১৫ মে ২৭ ১৮:৪৪:৩২
এ কী কথা তাহাদের মুখে?

নুরুল আলম পাঠান মিলন : বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন বিএনপি ভারত বিরোধী রাজনীতি করে না। প্রশ্ন জাগে, তবে করেটা কে?

কয়েক বছর আগে বেগম খালেদা জিয়া একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রবন্ধ লিখেছেন। সম্ভবত সেটি-ই উনার জীবনে প্রথম লেখা। উনি লিখেছেন এমন একটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে; যেখানে স্পর্শকাতরতা দিনমান আমাদেরকে রক্ষা করে চলতে হয়। যদিও এমন একটি লেখা শেখ হাসিনার কলম প্রসুত হলে বাংলাদেশের ভারত বিরোধী তাত্ত্বিকেরা কী প্রতিক্রিয়া দেখাতেন? নিশ্চয়ই অতীত ইতিহাসের আলোকে বলতে পারি, আওয়ামী লীগের জন্য খুবই তিক্ত অভিজ্ঞতার জন্ম দিতো। লেখা নিয়ে আলোচনা সে-সময়েই বিস্তর হয়েছে। আজকে যোগ হলো রিপন সাহেবের নতুন বয়ান।

জনাব রিপনের কথায় ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে পজিটিভ কথাই ওঠে এসেছে। যার বাস্তব ভিত্তি অনস্বীকার্য। কথা এখানেই শেষ হলে ভালো হত। কিন্তু ভারত বিরোধী শ্লোগান দিয়ে যাদের জন্মযাত্রা এবং বেড়ে ওঠা, তখন এমন সত্য-সুন্দর কথার ব্যাখ্যা বিশ্লেষণের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন দেশেরই দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। তাহলে বেগম জিয়া শুধু ভারতকে নিয়ে কেন লিখেছিনে? আর আজকে কেনইবা আসাদুজ্জামান রিপন সাহেব নতুন বয়ান নিয়ে হাজির হলেন? অতীতেও দেখেছি, ভারতীয় কোন রাষ্ট্রনেতা সফরে আসার পূর্বেই বিএনপি ভীষণ ভারত-বন্ধুতে পরিণত হয়। এটা এক অদ্ভুতুড়ে ব্যাপার! অবশ্য সময়ে সময়ে তাদের ভারত প্রেমও প্রমাণিত, যেমন ২০০১-‘০৬ বিএনপির শাসনামলেই আমরা দেখেছি যে, দিল্লীতে সার্ক সম্মেলনে গিয়ে গঙ্গার পানি সমস্যা নিয়ে কথা বলতে বেমালুম ভুলে গিয়েছিলেন। অথচ তখন উনার পক্ষে করার অনেক কিছুই ছিল। কিন্তু সম্ভবত ভারতকে বিব্রত না-করার নীতি ঠিক রাখতে ভুলে যাওয়া জরুরি ছিল। আজ সে-লেখার কিংবা রিপন সাহেবের বক্তব্যের সমালোচনা বা আলোচনা নয়। আজ বরং আমরা দেখবো যে, জন্মলগ্ন থেকে জিয়াউর রহমান বিএনপিকে কোন বিদেশ নীতির ভিত্তির উপরে পথ চলতে শিখিয়েছেন এবং কারণগুলো কী কী!

১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী জিয়াউর রহমান গং। একথা সর্বজন বিদিত। যার আনুষ্ঠানিক পথচলা শুরু সাতই নভেম্বর থেকে। যেদিন মূলত জাসদের উপর ভিত্তি করে ক্ষমতার মসনদে বসেই খাঁটিভাবে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারী বিভিন্ন পন্থীদের সঙ্গে আঁতাত করে জাসদকে পঙ্গুত্বে বাধ্য করে পথ চলতে শুরু করেন আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশের জন্মের বিরোধীতাকারীদের সঙ্গে নিয়ে। স্বাধীন বাংলাদেশের জন্মের ভিত্তি ও দর্শন মূলত আওয়ামী লীগেরই সাধনার ফসল। মুক্তিযুদ্ধের কৌশলগত ও পারস্পরিক স্বার্থের কারণেই মিত্রের ভুমিকায় ভারত ও রুশ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। তাই মুক্ত ও স্বাধীন বাংলাদেশের সঙ্গে রুশ-ভারতের সুসম্পর্ক থাকাটা খুবই যৌক্তিক। ইতিহাস স্বাক্ষ্য দেয়, বঙ্গবন্ধু’র সরকার দেশের ন্যুনতম স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়েও কোন বিদেশি শক্তির সঙ্গে আঁতাত বা সম্পর্ক স্থাপন করেন নি। জিয়াউর রহমানের তীব্র ভারত বিরোধীতা সত্ত্বেও তাঁর ক্ষমতাকালীন সময়ে কোন চুক্তি বাতিল না করাই এর উজ্জ্বল প্রমাণ।

ক্ষমতায় আরোহণের পর থেকেই জিয়াউর রহমানের কার্যক্রম পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, কিভাবে ও কেনো তিনি ও তাঁর সরকার ভারতের বিরোধীতা করেছিলেন। জিয়াউর রহমান মূলত দেশে একটি আওয়ামী লীগ বিরোধী সেন্টিমেন্ট জাগিয়ে তুলতে সক্রিয় ছিলেন। যার ফলে আওয়ামী লীগ বিরোধী দক্ষিনপন্থী ধর্মীয় সংগঠন ও চীনাপন্থী বাম সংগঠনগুলোর বলয়াবদ্ধ শক্তিতে বলীয়ান হয়ে একটি বিষয়ে খুব 'জোর' দিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দিতেন। যা বিএনপি এখনও চালিয়ে যাচ্ছে অবলীলায়। বিশেষ করে বিগত জাতীয় নির্বাচনগুলোর প্রচারনা ভাষণ শুনলেই বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়। জোর দিয়ে উচ্চারিত সেই কথাটি হলো ‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা।’ হাস্যকর বটে! যাদেরকে সঙ্গে নিয়ে জিয়া একথা বলেন তাঁদের একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভুমিকা শুধু প্রশ্নবিদ্ধই নয়, অপরাধ হিসেবেও স্বীকৃত। একেবারে প্রথমদিকে জিয়াউর রহমান যাদেরকে সঙ্গে নিয়ে এসব কথা বলতেন তাঁদের অনেকেই মুক্তিযুদ্ধে যোগ দিয়েছিল। কিন্তু ক্রমেই ন্যাপের মশিউর রহমান যাদু মিয়া ও মুসলিম লীগের শাহ্‌ আজিজুর রহমান চক্রের আধিপত্যে অনেকেই পিছুও হটে যায়।

আজকের আলোচনা মুক্তিযুদ্ধের 'পক্ষ ও বিরোধীতা'র বিতর্ক নিয়ে নয়। কথা হলো, উনারা 'স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব' রক্ষার আবেদন কেন করেন? বাংলাদেশের স্বাধীনতা হুমকী কাদের কাছে? উত্তরটা হওয়ার কথা স্বাভাবিকভাবেই 'পাকিস্তান’ এবং একাত্তরে পাকিস্তানকে সহায়তা প্রদানকারী দেশসমুহ। কিন্তু না, উনারা পাকিস্তানের কাছে সম্ভবত নিরাপদ মনে করতেন। বিএনপি নামক দলের জন্মে যে ছয়টি দল একীভুত হয়েছিল সেগুলোর রাজনৈতিক চরিত্র দেখলেই এটা স্পষ্ট হয়। জাগদল, যা জিয়া নিজে গঠন করেছিলেন। মশিউর রহমান যাদু মিয়ার নেতৃত্বে ন্যাপ। প্রথমে কাজী জাফরের নেতৃত্বে ইউনাইটেড পিপলস পার্টি এলেও জাফর ফ্রন্ট ভেঙে বিএনপিতে যোগ না দেওয়ায় ক্যাপ্টেন হালিম চৌধুরী ও কর্নেল আকবর হোসেনের নেতৃত্বে ইউপিপি বিএনপিতে একীভুত হয়। শাহ্‌ আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে মুসলিম লীগের একাংশ, এখানে সবুর খানও কাজী জাফরের মতো ফ্রন্টে থাকতে চাইলেও বিএনপিতে একীভুত হতে অনীহা প্রকাশ করেন।

মাওলানা আব্দুল মতিনের নেতৃত্বে ন্যাশনাল লেবার পার্টি এবং শ্রীযুক্ত রশরাজ মণ্ডলের নেতৃত্বে সিডিউল কাষ্ট ফেডারেশন। এই দলগুলো ছিল আওয়ামী বিরোধী এবং কোনটা আবার স্বাধীনতা বিরোধীও। এই দলগুলোর প্রধান যোগ্যতাই ছিল আওয়ামী লীগ ও ভারতের বিরোধীতা। তবে এদের কমন রাজনৈতিক অবস্থান আওয়ামী লীগ ও ভারত বিরোধীতা। এদের সবাই যে, একই কারণে আওয়ামী লীগ ও রুশ-ভারতের বিরোধীতা করতেন তা নয়, বিভিন্ন কারনে করতেন তবে স্বার্থ প্রায় অভিন্ন। এদের কেউ কেউ মুক্তিযুদ্ধের সরাসরি বিরোধীতা করেছে, কেউ কেউ মুক্তিযুদ্ধকে দুই কুকুরের লড়াই ও ভারতের সম্প্রসারণবাদীতা বলে গালাগালি করেছে। আর এই ভারত বিরোধীতাকেই তাঁরা বলতে শুরু করে 'স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব' হুমকীর সম্মুখীন। ফলে তাঁরা সম্মিলিতভাবে আজগুবি বয়ান মাঠে ছড়িয়ে নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান শক্ত করতে জাতিকে বিভক্ত করেন চূড়ান্তভাবে। যা আজও তাঁরা বহাল রেখেছেন।

অথচ এই কথাটা অসার প্রমানিত হয়েছে খোদ জিয়াউর রহমানের শাসন-আমলেই। জিয়া যখন ক্ষমতা দখল করে তখন ভারতে ইন্দিরা গান্ধী প্রধানমন্ত্রী, সেজন্য এক-রকম নীতি জিয়া গ্রহন করে এবং ভারত বিরোধীতা তুঙ্গে তোলে প্রচার করে বাংলাদেশ ভারতের কাছে অনিরাপদ। আবার ১৯৭৮ সালে মোরারজি দেশাই ক্ষমতায় এলে, গলায় গলায় পীরিত দেখা যায়। ১৯৮০ সালের ৩ জানুয়ারী আবার ইন্দিরা গান্ধী ক্ষমতায় এলে সম্পূর্ণ ভিন্ন পররাষ্ট্র নীতিতে জিয়াকে দেখা গেছে। ২০ জানুয়ারী জিয়া ইন্দিরার সঙ্গে দেখা করতেও ছুটে গেছেন এবং পরে ঢাকায় প্রথমবারের মতো ভারতীয় শিল্প-যন্ত্রপাতি প্রদর্শনীর অনুমতি দিয়ে সহযোগীতা করেন। কিন্তু ভোটের বাজারে সেই 'স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব' রক্ষার আজগুবি কবচে’র কোন সুরাহা হয় নি। আজও তাঁদের সেই স্লোগান শোনা যায়। যার শুরু হয়েছিল খোদ রাজাকারদের সমন্বয়ে। এর ভিত্তি ছিল মূলত দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দক্ষিনপন্থী ধর্মীয় দলগুলো এবং চীনাপন্থী দলগুলোর উপর্যুপরি ভারত বিরোধী প্রচারনাই। জিয়াউর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে দেশবিরোধী চক্রের হাতের ক্রীড়নকে পরিণত হয়েই মূলত ক্ষমতা উপভোগ করেন। একে-ই বলে দেশপ্রেম!

যাঁদের রাজনৈতিক জন্ম ও বেড়ে উঠা ভারত বিরোধীতার বৈদেশিক নীতির ঝান্ডা উড়িয়ে, তাঁরাই এখন মশগুল ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে! বোধকরি একে-ই বলে রাজনীতির রিভার্স খেলা! পক্ষান্তরে স্লোগান কিন্তু সেটা-ই রয়েছে। উনাদের কাছে প্রশ্ন জাগে, এখন কী ভারতের কাছে 'স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব' নিরাপদ?

যে ভারত জুজুর ভয় দেখিয়ে এদেশের মানুষকে বিভক্ত করেছেন, সে-ই ভারতের সঙ্গে এত সখ্যতার আয়োজন কোন কারনে জাতির এই প্রশ্ন খুবই প্রাসঙ্গিক। কেননা, বিএনপি’র জন্মের সময় থেকেই রুশ-ভারত বিরোধী নীতি সর্বজন বিদিত। পক্ষান্তরে তাঁরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে রুশ-ভারত বিরোধী তথা মার্কিন-চীনা-পাকিস্তানী-সৌদি আরব শক্তির বলয়ে সমর্পিত হিসেবে নিজেদের চিহ্নিত করেছিল। সম্প্রতি এই নীতির পরিবর্তনের আভাসে বুঝা যায় যে, বিএনপির বৈদেশিক নীতিতে পরিবর্তন আসছে। যে-কারনে রামুতে এত বড় দুর্ঘটনার পরে সেখানে না গিয়ে বেগম জিয়া প্রথমে চীন ও পরে ভারত সফরে গিয়েছিলেন। অর্থাৎ উনাদের কাছে ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি এদেশের জনগন নয়, বরং বিদেশী প্রভুরা।

এ কথা অনস্বীকার্য যে, যে কোন বিষয়ে পরিবর্তন আসতেই পারে। কিন্তু প্রশ্ন জাগে, সেই পরিবর্তনের কারণ ও প্রয়োজনীয়তা কী? আর বিএনপির ভারত তোষণ নীতিতে স্বাভাবিকভাবেই একটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। এতকাল তাঁরা ভারত বিরোধীতাই মূল পুঁজি হিসেবে রাজনীতিতে খাটিয়েছেন হঠাৎ এক্ষেত্রে পরিবর্তন কেন? তাছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের করা বিভিন্ন চুক্তির বিরোধীতাও করে আসছেন নিয়মিত। অথচ তাঁরাই এখন তোষণ নীতি গ্রহন করছেন কেনো? অনেক প্রশ্নের উত্তর যেমন অতীত থেকে পাওয়া যায়, তেমনি কিছু প্রশ্নের উত্তরের জন্য ভবিষ্যতের উপর নির্ভর করতে হবে। সে-ই অপেক্ষায় জাতিকে আগামী নির্বাচন অথবা আরও কিছু সময় ধৈর্য ধারন করতেই হবে।

বোধ করি পররাষ্ট্র নীতিতে স্থায়ী শত্রু বা মিত্র বলে কিছু নেই। এজন্যই প্রশ্ন জাগে, বাংলাদেশের মিত্র দেশ কোনটি? এই প্রশ্নের কোন রিজিড উত্তর খুঁজে পাওয়া কঠিন। ভারত, রাশিয়া আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগীতা করেছে। পাকিস্তানকে একেবারেই খারিজ করে দেওয়া স্বাভাবিক। মার্কিনীরা, চীনারা ও সৌদিআরবসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্য আমাদের জন্মের বিরোধীতা করেছে।

স্বাধীন বাংলাদেশের সঙ্গেও একাত্তরের শত্রু ও মিত্রদের অনেকেই বিরূপ আচরণ করেছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সময়ে পক্ষে ও বিপক্ষে যারা যারা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছিল, মূলত তাঁরাই এখন সমগ্র বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। মধ্যপন্থী ব্রিটিশরা একসময়য়ে আমাদের শোষণ করেছে।

তাহলে আমাদের মিত্র দেশ কে বা কারা? অথবা আদৌ কী কোন দেশ স্থায়ী বন্ধু বা শত্রু হতে পারে? নাকি দ্বিপক্ষীয় স্বার্থে যখন যার সঙ্গে বিছানায় যাওয়া প্রয়োজন তাঁর সঙ্গেই প্রয়োজন ফুরোলে সম্পর্ক শেষ? ব্যাপারটা খুব অদ্ভুতুরে হলেও বাস্তবতা হলো দেশের স্বার্থেই সম্পর্ক স্থাপন জরুরী। কিন্তু নিজেদের রাজনৈতিক অবস্থান শক্ত ও পাকাপোক্ত করতে এবং জনগনের উপরে আস্থা হারিয়ে বৈদেশিক শক্তির সহায়তায় গদিনসীন হওয়া যাঁদের উদ্দেশ্য তাঁদের ব্যাপারে সজাগ থাকার প্রাসঙ্গিকতাও জরুরী। আর সেটি যদি হয় কোন বিশেষ অবস্থায় জন্মলাভকারী রাজনৈতিক দলের ক্ষমতাসীন হওয়ার আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ, তাহলে জাতির ললাটে দুর্ভাগ্যের সর্পমাল্য অচিরেই জুটবে এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। সামগ্রিক অতীত ইতিহাস সেই স্বাক্ষ্য-ই বহন করে।

লেখক : সাবেক ছাত্রলীগ নেতা

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test