E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রোহিঙ্গারা মানুষ ও মিয়ানমারের নাগরিক

২০১৬ নভেম্বর ৩০ ০৮:৪৮:০৪
রোহিঙ্গারা মানুষ ও মিয়ানমারের নাগরিক

সৈয়দ আবুল মকসুদ


উপমহাদেশের সবচেয়ে ঘটনাবহুল সময় ছিল ১৯৪৬-৪৭। খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী ব্রিটিশ সরকার ভারতবর্ষের নেতাদের হাতে ক্ষমতা দিয়ে বিদায় নেওয়ার ঘোষণা দেয়। উপমহাদেশের বহু জাতির মধ্যে স্বশাসনের আকাঙ্ক্ষা জাগে। বহু শতাব্দীজুড়ে আরাকান স্বাধীন সার্বভৌম রাজ্য ছিল। তার শাসক ছিলেন মুসলমান সুলতান। ১৮৮৬-তে আরাকানসহ সমগ্র বার্মা, তখন বলা হতো ব্রহ্মদেশ, বর্তমান মিয়ানমার ব্রিটিশদের অধীনে চলে যায়। তখন থেকে ১৯৩৭ পর্যন্ত আমাদের মতোই আরাকান ও বার্মার সব মানুষই ছিল ব্রিটিশ উপনিবেশের প্রজা।

এই উপমহাদেশের ইতিহাসের বহু বৃত্তান্ত ইতিহাস বইয়ের পাতায় এখনো লিপিবদ্ধ হয়নি। ১৯৪৬ সালের শেষের দিকে আরাকানের রোহিঙ্গা মুসলমানের একটি প্রতিনিধিদল করাচি গিয়ে মুসলিম লীগ নেতাদের সঙ্গে দেখা করে আরাকানকে পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে রাখার দাবি জানায়। লীগ নেতারা তখন বেজায় ব্যস্ত। তাঁরা আরাকানের মুসলমান নেতাদের বলেন, আমরা নতুন ঝামেলার মধ্যে যেতে পারব না, ব্রিটিশ সরকারের নেতাদের গিয়ে বলুন। ব্রিটিশ কর্মকর্তারা রাখাইন মুসলমান নেতাদের দাবিকে গুরুত্ব দেননি।

এর মধ্যে আরাকানকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্তির আন্দোলন দৃষ্টিগ্রাহ্য রূপ নেয়। বার্মার জাতীয়তাবাদী নেতা বর্তমান সময়ের অত্যন্ত শান্তিবাদী নেত্রী অং সান সু চির বাবা অং সান চিন্তিত হয়ে পড়েন। তিনি পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মুহম্মদ আলী জিন্নাহর সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং আরাকান প্রশ্নে তাঁর মতামত প্রার্থনা করেন। ১৯৪৭-এর প্রথম দিকে জিন্নাহ অং সানকে আশ্বস্ত করেন আরাকানকে পাকিস্তানে নেওয়ার কোনো আগ্রহ তাঁর নেই। পাকিস্তান স্বাধীনতা লাভের এক বছরের মধ্যেই অং সানের নেতৃত্বে বার্মাও স্বাধীন হয়। এবং মাস দুই পরেই আততায়ীর গুলিতে তিনি নিহত হন।

সু চির পিতৃদেব মৃত্যুর কয়েক সপ্তাহ আগে অঙ্গীকার করেন বার্মায় তিনি ‘ট্রু ডেমোক্রেসি’ বা সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবেন। তাঁর অঙ্গীকার বাস্তবায়নের সুযোগ তিনি পাননি। তাঁর বিখ্যাত ভাষণে অং সান বলেছিলেন: ‘একমাত্র সত্যিকারের গণতন্ত্রই জনগণের প্রকৃত মঙ্গল করতে পারে, যা শ্রেণি, গোত্র অথবা ধর্ম কিংবা লিঙ্গনির্বিশেষে সবাইকে সমান মর্যাদা ও সমান সুযোগ দেয়। জনগণই প্রকৃত সার্বভৌম। যদি জনগণের স্বার্থকেই প্রাথমিক বিবেচনায় নিয়ে আমাদের শাসনতন্ত্র রচনা করতে পারি তাহলেই সত্যিকারের গণতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপিত হবে।’ [‘দ্য পলিটিক্যাল লিগাসি অব অং সান’]

স্বাধীনতা লাভের পর প্রকৃত গণতন্ত্রের পরিবর্তে ব্রহ্মদেশ বা মিয়ানমার অবিচার ও বৈষম্যের লীলাভূমিতে পরিণত হয়। দেশটিতে বর্মন গোত্রীয় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীর সংখ্যা ৮৯ শতাংশ এবং খ্রিষ্টান, মুসলমান ও হিন্দু এবং এনিমিস্ট ও সর্বপ্রাণবাদীদের সংখ্যা ১১ ভাগ। বার্মিজ জাতীয়তাবাদীদের মধ্যে বৌদ্ধ মৌলবাদ মাথাচাড়া দেয়। ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর চালানো হয় অবিশ্বাস্য ধরনের নিপীড়ন। তার ফলে কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি (কিয়া), কাচিন ইনডিপেনডেন্স অর্গানাইজেশন (কিও) রেস্টোরেশন কাউন্সিল অব শান স্টেট, শান স্টেট ন্যাশনাল আর্মি, কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন, ডেমোক্রেটিক কারেন বুড্ডিস্ট আর্মি, ডেমোক্রেটিক কারেন বেনেভোলেস্ট আর্মি, নিউ মন স্টেট পার্টি, আরাকান লিবারেশন পার্টি, আরাকান ন্যাশনাল কাউন্সিল, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন, আরাকান রোহিঙ্গা ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন, আরাকান চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট, ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট আর্মি, কাউন্সিল অব নাগাল্যান্ড খাপলাঙ প্রভৃতি বিচ্ছিন্নতাবাদী ও চরমপন্থী সংগঠন গড়ে ওঠে। এগুলোর মধ্যে কাচিন এবং কারেন স্বাধীনতাসংগ্রামীরাই মিয়ানমার সরকারকে সবচেয়ে নাজেহাল করে।

আমরা বাংলাদেশে মনে করছি মিয়ানমার সরকার শুধু মুসলমানদের ওপরই অত্যাচার করে, তা নয়। খ্রিষ্টান ও হিন্দুরাও তাদের নির্যাতন থেকে রেহাই পায়নি। ভারতীয় বংশোদ্ভূত হিন্দুদের বলে ‘কালা’ আর মুসলমান রোহিঙ্গাদের বলে ‘চাটগাইয়্যা’। আগে ষাটের দশকে জেনারেল নে উইনের সরকার এক লাখ হিন্দুকে ‘ভারতীয়’ আখ্যা দিয়ে বিতাড়িত করে। একই সঙ্গে ‘১২,০০০ বাংলাভাষী মুসলমানকে ‘পাকিস্তানি’ বলে চট্টগ্রামে ঠেলে দেয়। তখন বিষয়টি নিয়ে বিশেষ উচ্চবাচ্য হয়নি। কারণ, এক লাখ হিন্দুকে আশ্রয় দেওয়া ভারতের মতো রাষ্ট্রের জন্য কোনো সমস্যা নয়। তেমনি তখন ১২,০০০ বাংলাভাষী আরাকানি মুসলমানকেও পূর্ব পাকিস্তানে ঠাঁই দেওয়া তেমন কঠিন ব্যাপার ছিল না। তখন বার্মায় পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন প্রভাত মুকুল চৌধুরী, পাকিস্তান সরকারের একমাত্র হিন্দু কূটনীতিক এবং আইয়ুব খানের আস্থাভাজন। তখন রেঙ্গুনের দূতাবাসে ফার্স্ট সেক্রেটারি ছিলেন এস এ করিম, যিনি বাংলাদেশের প্রথম পররাষ্ট্রসচিব হন। এস এ করিমের কাছেই আমি তখনকার হিন্দু ও মুসলমান নির্যাতনের বিষয়টি অবগত হই। ওই সময় ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির সভাপতি মাওলানা ভাসানী কয়েক দিনের জন্য রেঙ্গুন গিয়েছিলেন। সে আরেক কাহিনি। আরাকানের বাংলাভাষীদের নিরাপত্তা নিয়ে তাঁর বার্মায় চৈনিক রাষ্ট্রদূত ও পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত পি এস চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনা হয়।

ব্রিটিশ আমলে আরাকান ন্যাশনাল কংগ্রেস ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নেয়। তাতে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ ও আদিবাসী আরাকানিরা অংশগ্রহণ করে। মহাত্মা গান্ধী, সুভাষ বসুসহ ভারতের নেতাদের সঙ্গে বার্মার নেতাদের যোগাযোগ ছিল। তাঁরা ব্রহ্মদেশ সফর করেছেন। আরাকান প্রশ্নে অং সানের সঙ্গে জিন্নাহর যোগাযোগের কথা আগেই বলা হয়েছে।

প্রাচীন বৌদ্ধ সভ্যতার দেশ বার্মা বা মিয়ানমার। কোনো আধুনিক রাষ্ট্রই এক ভাষাভাষী ও এক ধর্মাবলম্বীদের দিয়ে হয় না। সব দেশেই জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু থাকবেই। তারা সংখ্যাগরিষ্ঠের মতোই নাগরিক। রাষ্ট্র তাদের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক অধিকার খর্ব করতে পারে না। কিন্তু মিয়ানমার শুরু থেকেই অ-বার্মিজ ও অ-বৌদ্ধ নাগরিকদের অধিকার অগ্রাহ্য করে আসছে। রাখাইনদের মধ্যেও বিভক্তি রয়েছে। রাখাইন বৌদ্ধ ও রাখাইন বা রোহিঙ্গা মুসলমান। রাষ্ট্র তাদের সঙ্গে দুই রকম আচরণ করে। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় জাপান যখন বার্মাকে দখল করে তখন আরাকান রাজ্যকে স্বায়ত্তশাসন দিয়েছিল। আরাকানের রাজধানী ছিল আকিয়াব। ১৯৮৯ সালে আরাকানের নাম বদলে রাখা হয় রাখাইন।

রোহিঙ্গা মুসলমানদের অপরাধ দুটি: তাদের ধর্ম ইসলাম এবং তাদের ভাষা বাংলা। যেহেতু তারা বাংলাভাষী মুসলমান, তাই তারা ‘চাটগাইয়্যা’ বা বাংলাদেশি না হয়েই পারে না। অতএব তাদের খেদাও। এবং তারা তাদের পূর্বপুরুষের ভিটামাটি ছেড়ে যদি না আসতে চায়, তাহলে তাদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দাও এবং অত্যাচার করে তাড়াও।

শুধু ধর্ম ও ভাষার কারণে রোহিঙ্গারা বর্তমানে পৃথিবী নামক গ্রহের সবচেয়ে অত্যাচারিত প্রাণী। যারা হাজার বছরের বাসিন্দা তাদের নাগরিকত্ব হরণ করা হয়েছে। রাখাইন প্রদেশের বাইরে মিয়ানমারের আর কোথাও তাদের যাতায়াতে বিধিনিষেধ
রয়েছে। তারা সরকারের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করতে পারে না। দুই সন্তানের বেশি তারা নিতে পারে না। উগ্রপন্থী বার্মিজ বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদীদের দাবি, রোহিঙ্গা মুসলমানদের নাগরিকত্ব দেওয়াই যাবে না। মধ্যপন্থী বৌদ্ধ মৌলবাদীদের প্রস্তাব, তাদের কাউকে কাউকে অস্থায়ী নাগরিকত্ব দেওয়া যায় (কেস-বাই-কেস বেসিস)। এত শর্ত পূরণ করে কোনো রাষ্ট্রে মানুষ বাস করতে পারে না।

গত তিন দশক যাবৎ বৌদ্ধ মৌলবাদ চরম আকার ধারণ করেছে। মিয়ানমার শাসন করছেন সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারা। রাইফেল কামান ছাড়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর আরেক প্রধান অস্ত্র ধর্ষণ। থাইল্যান্ডভিত্তিক উইমেন লিগ অব বার্মা এক প্রতিবেদনে বলে, ২০১০ থেকে অসংখ্য নারী ধর্ষিত হয়েছে। তারা যে শুধু মুসলমান নারী তা নয়, খ্রিষ্টান ও হিন্দুধর্মের নারীরাও রয়েছে। কাচিন উইমেন্স অ্যাসোসিয়েশন ও শান উইমেন্স অ্যাকশন নেটওয়ার্ক ৯৪ নারী ও বালিকার নির্যাতনের বিবরণ দিয়েছে, যাদের সেনাবাহিনীর লোক বর্বরোচিতভাবে যৌন নির্যাতন করেছে।

গত কয়েক সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের শত শত বাড়িঘর, স্কুল, মসজিদ জ্বালিয়ে দিয়ে, হত্যা করে তাদের বাংলাদেশের দিকে ঠেলে দিচ্ছে সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী। কয়েক দিন যাবৎ বিশ্ব গণমাধ্যমের প্রধান খবরই রোহিঙ্গা নির্যাতন। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের স্রোত ঠেকিয়ে রাখতে পারছে না। মানবিকতার খাতিরে তাদের অনেককে আশ্রয় দিতেও হচ্ছে। আজ বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে চরম মানবিক-সংকট বিরাজ করছে।

বাংলাদেশ আকারে ছোট, মানুষ বেশি। বসবাসযোগ্য ফাঁকা জায়গার খুবই অভাব। এখানে চার-পাঁচ লাখ বিদেশি শরণার্থীকে জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়। বর্তমানে লাখ পাঁচেকের মতো রোহিঙ্গা আছেই। তাদের সন্তানসন্ততি হচ্ছে। এর মধ্যে যদি নতুন আরও আসে, তাতে অর্থনীতির ওপর বিরাট চাপ পড়বে।

পূর্বপুরুষের বাড়িঘর ছেড়ে অত্যাচারিত হয়ে যারা অন্য দেশে আশ্রয় নেয়, তারা প্রায় নিঃস্ব অবস্থায় এক কাপড়ে আসে। রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুরাও অতি গরিব। অভাবী মানুষেরা সমাজবিরোধীদের দ্বারা নানা অপকর্মে ও অপরাধে জড়িয়ে পড়তে পারে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে অনেকেই চোরাচালান, নারী পাচার ও সন্ত্রাসী কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতাবাদীরা রোহিঙ্গাদের ইসলামি মৌলবাদী সন্ত্রাসী তৎপরতায় ব্যবহার করে থাকে।

রোহিঙ্গা সমস্যা মিয়ানমারের নিজস্ব সমস্যা। কিন্তু তা এখন একটি কঠিন আঞ্চলিক সমস্যায় রূপ নিয়েছে। আঞ্চলিক সমস্যা আন্তর্জাতিক সমস্যাও বটে। বাংলাদেশের ওপর চাপিয়ে দেওয়া এই সমস্যা একা মোকাবিলা করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। চীনের প্রিয় প্রতিবেশী মিয়ানমার ও পাকিস্তান। বর্তমান সরকার চীনের সঙ্গে প্রগাঢ় বন্ধুত্ব গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশের উচিত চীনকে এ ব্যাপারে মধ্যস্থতার জন্য অনুরোধ করা। ওআইসি বলে এক জিনিস রয়েছে। তা যে আছে তা বোঝা যায় ওই সংস্থার মহাসচিব বছরে একবার বাংলাদেশ সফরে এলে। এখন মুসলমানদের দলাদলিতে এই ইসলামি দেশগুলোর ক্লাবটি অকার্যকর হয়ে পড়েছে। তবু রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশের উচিত জাতিসংঘ, ওআইসি প্রভৃতি সংস্থার সঙ্গে মিলে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা। বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্ব চায়। বার্মিজ বৌদ্ধ জাতীয়তাবাদী ও প্রচণ্ড শান্তিবাদী ও মানবতাবাদী সু চি এখন সেখানকার নেতা। তিনি নৈতিক, আধ্যাত্মিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক মূল্যবোধের মরাল, স্পিরিচুয়াল অ্যান্ড ইন্টেলেকচুয়াল ভ্যালুজ-এর কথা বলে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন। অবশ্য এখন কেউ কেউ এই পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়ার দাবি তুলেছেন। তাঁর কাছে আমাদের অনুরোধ, নোবেল পুরস্কারের মর্যাদা রক্ষা করে তিনি রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধের উদ্যোগ নেবেন।

সৌজন্য : প্রথম আলো।

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test