E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

আমার চিরবন্ধু বাবা সাইফুদ্দিন খান

২০১৪ জুন ২৮ ০৮:৩৫:৫৯
আমার চিরবন্ধু বাবা সাইফুদ্দিন খান

সুমি খান : নশ্বর এ পৃথিবীতে কেউ চিরদিন থাকে না। বাবার শোকগাথায় ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের শতবর্ষী বিপ্লবী বিনোদ বিহারী চৌধুরী লিখেছেন, 'জাতস্য হি ধ্রুবো মৃত্যু-জীবমাত্রেই জন্মগ্রহণ করলে মৃত্যুর করাল গ্রাসে নিপতিত হতে হয়'। এ সত্য জেনেও মানুষ শোকাভিভূত হয়। স্থির-প্রতিজ্ঞ ও প্রজ্ঞাবান লোক মৃত্যুতে মূহ্যমান হন না। অমরত্বের প্রত্যাশা কারো থাকে না। আমার বাবারও সেই প্রত্যাশা কখনো ছিল না। তবে তিনি বেঁচে আছেন আমাদের মাঝে, তাঁর কর্মজগতে। তাঁর প্রিয়তম মাতৃভূমির মাটিতে। মৃত্যুকে খুব সহজে মেনে নেবার মতো মানসিক শক্তি আমি রাখিনা, তাই কাজের মাঝেও বারবার বাবার কথা ভেবে কষ্ট পাই, শোকগ্রস্থ হই।

২০০৭ সালের ২৮ জুন ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের আইসিইউ বেডে আমাদের সামনেই ধীরে ধীরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন আমার বাবা সাইফুদ্দিন খান। সেই মুহূর্তে আমাদের মনে হচ্ছিলো, 'এ কোন সকাল, রাতের চেয়েও অন্ধকার!'

সেই মুহুর্তটির কথা মনে হলে গভীর শূন্যতার হাহাকার বুকের গহনে ফিরে ফিরে আসে বারবার। আমার পরিশ্রম আর কাজের দায়বদ্ধতা যার কাছে অসীম ভালোবাসা আর সম্মানের ছিল। আমার অনুসন্ধানী রিপোর্ট, টপটেররদের এক্সক্লুসিভ ইন্টারভিউ ....আমার কাজ , মেধা, শ্রম আর সততার প্রতিটি স্বীকৃতি যিনি নিজের সম্মান ভেবে 'মাথার মুকুট' হিসেবে পরে নিতেন-তিনি আমার বাবা সাইফুদ্দিন খান!

বাবার সাথে মজা করতাম অনেক, একটা সময় পর্যন্ত সারাক্ষণ সাথে নিয়ে মিছিল, মিটিং, সহযোদ্ধা দের বাড়ি বাড়ি ঘুরতেন। তাই বলে খুব মিষ্টি মধুর বন্ধুত্ব ছিল না, তর্ক-ঝগড়াও হতো অনেক। তবু আমার বাবা যে আমার প্রাণের দোসর ছিলেন! আর তাই বাবার শূন্যতা আমায় আজীবন তাড়িয়ে ফিরবে!

একমাত্র কন্যা হবার সুযোগে সেই শৈশব থেকেই আমার খেলাধুলা, দুরন্তপনা, ফাঁকিবাজি, রাজপথে এরশাদ পতনের আন্দোলন, সংগ্রাম, রিপোর্টিংয়ের চ্যালেঞ্জ, বেপরোয়া স্বভাব-সবকিছুতেই বাবার অসীম প্রশ্রয়ে মনে মনে খুব আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিলাম! আজ প্রতি মুহুর্তে বাবার অভাব প্রতি রক্তক্ষরণে শিরায় শিরায় উপলব্ধি করতে পারি ! স্নায়ুতে স্নায়ুতে বলে উঠি-তোমার এ অক্ষম সন্তান তোমার আদর্শের বাস্তবায়ন ঘটাতে পারলো না বাবা! তুমি চলে গেলে! আর কেউ তো নেই, যে আমায় হৃদয় উজাড় করে ভালোবেসে আমার কাজকে 'মাথার মুকুট' করে তোমার অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নেবে দূর-বহুদূর!

দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে পরাধীন দেশের মুক্তির স্বপ্নে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেবার 'অপরাধে' তার সাথে যারা দিনের পর দিন অন্যায় অত্যাচার করে গেছে, সেই ঘাতকদের বিচার কাজ চলছে। নানান প্রতিকূলতার মাঝে যদিও এই বিচার কাজ পদে পদে বাধা পাচ্ছে, মনে মনে বলি আব্বু, তবু আমি বিশ্বাস করি যারা তোমাকে নির্মম ভাবে অত্যাচার করেছে দিনের পর দিন, তোমার সহযোদ্ধাদের ঘাতক-সেই অত্যাচারীদের বিচার হবেই ।

সাইফুদ্দিন খানের সহযোদ্ধারা মনে করেন, সমাজ সংস্কারকের ভূমিকায় যে মানুষগুলোর মানবতা এবং রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এ সমাজকে এগিয়ে নিয়েছে অনেক দূর, তাদের মধ্যে আমার বাবা অন্যতম! আর তাই তার আদর্শ নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা জরুরী। এর ফলে আমরা নতুন প্রজন্মে নিশ্চয়ই আরো অনেক সাইফুদ্দিন খানকে খুঁজে পাবো, যারা এই সমাজ কে এগিয়ে নেবে অনেক অনেক দূর.....

সাইফুদ্দিন খানের প্রয়াণে শোকগাথায় বায়ান্নর প্রথম কবিতার কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরী লিখেছেন, 'সাইফুদ্দিন যেমন মানুষকে অকাতরে ভালোবেসেছেন, তেমনি সাম্যবাদী আদর্শকে বিশ্বাসে এবং কর্মে সারাজীবন ধরে রেখেছেন। শত নির্যাতন এবং সব ধরণের দুর্যোগের মধ্যে ও সাইফুদ্দিন কোনদিন নিজের আদর্শ থেকে সরে দাঁড়াননি। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও মানুষকে ভালোবেসে গেছেন। সারাজীবন মানবতাবাদী থেকে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন'।

কমরেড আহসানউল্লাহ লিখেছেন, 'সাইফুদ্দিন খান মুসলিম লীগের দ্বি-জাতিতত্বের সমালোচক ছিলেন। তাঁর মধ্যে দ্বি-জাতিতত্বের প্রভাবের লেশমাত্র দেখেছি বলে মনে পড়ে না। ব্রিটিশ শাসনের সেই সময়কালে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান, মুসলিম প্রতিক্রিয়ার ধ্যান ধারণা থেকে মুক্ত হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। তাঁর চরিত্রের এ বলিষ্ঠতা আমাকে মুগ্ধ করতো। তিনি আমার অকৃত্রিম বন্ধুদের একজন। যুদ্ধাত্তর কালে আমার কাঁধে একটি বড়ো পরিবারের দায়িত্ব নেই । পরিবারের ব্যয় , চাহিদা কিভাবে মিটাবো কখনো কখনো চিন্তামগ্ন থাকতাম। সে সময়ে অযাচিতভাবে অর্থ ধার দিতেন যারা, তাদের মধ্যে দু'টো নাম উল্লেখযোগ্য। একজন প্রয়াত ডা. আজিম, দ্বিতীয়জন তাঁর আপন ফুপাতো ভাই সাইফুদ্দিন খান'।

এ কথাগুলো বাবার জীবদ্দশায় আমরা কখনো জানতে পারিনি। বাবা জানাতে চান নি।

সাইফুদ্দিন খানের শোকসভায় তাঁর সহযোদ্ধা এ্যাডভোকেট শফিউল আলম(বর্তমানে প্রয়াত) বলেছেন, 'আজীবন প্রগতিশীল রাজনীতির ধারক নিষ্কলুষ স্পষ্টবাদী বন্ধু সাইফুদ্দিন খানের শোকের দিনে তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আউয়ুব এর শিক্ষানীতি বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে আমার সংকটকালে তার সাথে আমার যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিলো, তা মৃত্যুর দিন পর্যন্ত বহাল ছিল। সাইফুদ্দিন খানের চেতনার কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারী মূল চেতনা , ১৯৭২ এর সংবিধানের মূল চেতনা, লুটেরা অর্থনীতি ও রাজনীতি করে কিছু পাওয়ার আকাঙ্খা বিরোধী চেতনা তার মাঝে সবসময় অটুট ছিল।

১৯৭৪ এর দুর্ভিক্ষের সময়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কিছু 'প্রগতিশীল' রাজনৈতিক কিছু ব্যক্তি এবং শক্তি যখন প্রশ্ন তুলেছিলো, "কী পেলাম?" সাইফুদ্দিন খান তখন বলতেন, "আমরা আপাতত ৪টি জিনিস পেয়েছি, (১) '৫২ র একুশের চেতনা, (২) '৭২ এর সংবিধান, (৩) একটি স্বাধীন ভূখন্ড এবং (৪) আর কিছু আশা ও স্বপ্ন । এর প্রেক্ষিতে যারা বলতো , "এই ভূখন্ড দিয়ে কি পেট ভরবে?" এর জবাবে তিনি স্বাভাবিক ভাবেই বলতেন , "যদি লুটেরা অর্থনীতির পরিবর্তন ঘটে, জনগণের মধ্যে চেতনার বিকাশ হয়, সমগ্র বিশ্বে লুটেরা ধনবাদী অর্থনীতির বিস্তৃত কারেন্ট জাল ছিঁড়ে ফেলা যায়, লুটেরা নেতৃত্বের পরিবর্তে সৎ ও যোগ্য ব্যক্তির নেতৃত্বে দেশের পরিচালন কাঠামো যদি গড়ে ওঠে -তাহলে একদিন পেট ভরতে পারে এবং চেতনার বাস্তবায়ন হতে পারে।" আজকের দিনে তার একথার যথার্থতা নিয়ে কারো প্রশ্ন আছে কি? এ প্রশ্ন রাখেন এডভোকেট শফিউল আলম।

তিনি আরো বলেছেন, খান সাহেব ধর্ম সম্পর্কে বলতেন, 'মুসলমানরা হলো মধ্যপন্থী, তারা ডান বা উগ্রপন্থী নয়'। আমি তার সাথে একমত ছিলাম। খান সাহেব বলতেন, 'মুসলমানেরা প্রতিদিন নামাজ পড়ে, প্রতিদিন একটি সুরা পাঠ করে তারা নামাজে, তাতে বিশ্বাসী হয়ে ও ব্যক্তি জীবনে তা লালন করে না'। আমি ইতিমধ্যে সুরা কাফিরুন পড়েছি। তার ৬ নম্বর আয়াতে লেখা আছে, 'তোমার ধর্ম তোমাদের, আমার ধর্ম আমার কাছে।' এ অবস্থায় একজন মুসলমান ব্যক্তি কী করে অন্য একজন ধর্মবিশ্বাসী ব্যক্তি কে আঘাত করতে পারে? কেমন করে একটি গোষ্ঠী কে 'অমুসলিম' ঘোষণা করার জন্যে 'জিহাদ' এর ডাক দিতে পারে? এ প্রশ্ন ও তুলেছিলেন সাইফুদ্দিন খানের সহযোদ্ধা বন্ধু প্রয়াত এ্যাডভোকেট শফিউল আলম।

১৯৮৮ সালে বাবা সন্ধানীকে চক্ষু দান করেন, ২০০২ সালে (সম্ভবত) অনেক পরিশ্রম আর ছুটোছুটি করে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে দেহদান করেন। তবে তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর এ মহৎ অঙ্গীকার পূরণে আমরা, তাঁর স্বজনেরা ব্যর্থ হয়েছি। এর প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ আমি আমার দেহদান করেছি। জানিনা, আমার মৃত্যু কিভাবে কোথায় হবে। আমিও জানিনা আমার অঙ্গীকার পূরণ করা হবে কিনা। সর্বান্তকরণে চাই, বিশ্বের যে প্রান্তেই আমার মৃত্যু হোক না কেন-আমার একজন শুভাকাঙ্খীও যদি সেখানে থাকেন, আমার দেহদানের অঙ্গীকার পূরণ করবেন তাঁরা!

একাত্তরে ঘাতক আলবদর বাহিনীর নির্যাতনের শিকার সাইফুদ্দিন খান সম্পর্কে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজ ২৪ এ জুন ২০, ২০১২ সালে প্রকাশিত রমেন দাশগুপ্তের প্রতিবেদনের কিছু অংশ-

'মীর কাসেম আলী ১৯৭১ সালে চট্টগ্রাম জেলা ইসলামী ছাত্রসংঘের সভাপতি ছিলেন। সে-হিসেবে তিনি আলবদর বাহিনীর চট্টগ্রাম অঞ্চলের কমান্ডার ছিলেন।

১৯৭১ সালের ৭ নভেম্বর ভোরে চট্টগ্রাম শহরের পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকায় আজিজ কলোনিতে সাইফুদ্দিন খানের বাসা থেকে সাইফুদ্দিন খান, ইরশাদ কামাল খান, পটিয়া মহকুমা ন্যাপের সভাপতি অ্যাডভোকেট নূরনবীসহ বেশ কয়েকজনকে ধরে ডালিম হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। ইরশাদ কামাল খান ছিলেন সাইফুদ্দিন খানের বড় ভাই ডা. কামাল এ খানের সন্তান।

ইরশাদ কামাল জানান, দু’হাত পেছনে নিয়ে পিঠমোড়া করে বেঁধে তাদের ট্রাকে তোলা হয়েছিল। বাধ্য করা হয়েছিল, পাকিস্তান-জিন্দাবাদ বলতে। আলবদররা সবাই খাকি পোশাক পরা ছিল, তাদের সবার মুখে রুমাল বাঁধা ছিল। ডালিম হোটেলে নেয়ার পর তারা সবসময় নিরস্ত্র বাঙালিদের হাত রশি দিয়ে এবং চোখ কালো কাপড়ে বেঁধে রাখত। আমাদের খুব দুর্গন্ধময়, অন্ধকার, স্যাতস্যাতে একটি কক্ষে রাখা হয়েছিল।

আলবদররা সুযোগ পেলেই এসে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করত, অকথ্যভাবে নির্যাতন করত। পুরো কক্ষে শোনা যেত শুধু গোঙানির শব্দ। কেউ কাতরাচ্ছেন, কেউ পানি, পানি বলে চীৎকার করছেন। দু’হাত, চোখ বাঁধা অবস্থায় অনেকেই কক্ষের ভেতরেই প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতেন।’

তিনি বলেন, ‘একদিন আমি শুনতে পেলাম, একজন খুব ক্ষীণ কণ্ঠে মা, মা বলে চীৎকার করছেন। পরে বুঝতে পারলাম, তিনি ছিলেন আমার চাচা সাইফুদ্দিন খান। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি এভাবে চীৎকার করছেন। অবিশ্বাস্য রকমের নির্যাতন করত তারা। জীবিত ফিরতে পারব একথা কখনও কল্পনাও করিনি।’

অন্যদিকে নূরজাহান খান বলেন, ‘মুক্ত হওয়ার পর সাইফুদ্দিন খান বলেছিলেন, তাদের লাথি মারত, লোহার রড দিয়ে পেটাত। পানি চাইলে মুখের উপর প্রস্রাব করে দিত। মরে গেলে লাথি মেরে ডালিম হোটেলের পাশে টিনের ছাদের ওপর ফেলে দিত। মুখের উপর মাছি ভনভন করতে দেখলে অন্যরা বুঝতে পারত আর বেঁচে নেই। আমার স্বামীকে ফিরে পাব, এটা আমি কখনোই ভাবিনি।’

ইরশাদ কামাল খান বলেন, ‘আলবদররা কেউ এলে আর্মি স্টাইলে স্যালুট দিতেন। তবে নিজেদের পরিচয় গোপন রাখতেন। কারও নাম বলত না। এ কারণে সেসময় তাদের পরিচয় জানা সম্ভব ছিল না। তারা আন্ডারগ্রাউন্ড সংস্কৃতির অনুসারী। তবে তারা যে ইসলামী ছাত্রসংঘের সঙ্গে জড়িত সেটা জানতাম।’

ইরশাদ কামাল খান জানান, তাকে ডালিম হোটেলে চারদিন রাখা হয়েছিল। পরে একটি কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই কাগজে লেখা ছিল, আওয়ামী লীগ ও ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত। আমি না বুঝে তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলাম। আমি এজন্য অনুতপ্ত।’

এসব যতো ভাবি , ততোই বেদনায় কুঁকড়ে যাই! কী করছি আমরা? এতো রক্তক্ষয়, এতো আত্মদানেরএর পরিণতি বড়ো ভয়াবহ!! বিনিময়ে এই পতাকা, এই দেশ ! আর আমরা বীরদর্পে সব ইতিহাস আর বাস্তবতা এড়িয়ে আত্মমগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছি! কেউবা আবার দু'পা বাড়িয়ে ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে নিজের আত্মপ্রতিষ্ঠা নিশ্চিত করতে তৎপর! এই তো আমাদের দেশ! এই তো দেশের মানুষের মানসিক অবস্থান! নিজের অস্তিত্ব বিলীনে সক্রিয় পুরো জাতি!

তোমার নির্যাতনকারীদের বিচার এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তুমি দেখে যেতে পারলে না এ বিচার প্রক্রিয়া। আব্বু, আমায় একটু আশীর্বাদ করে যাও, যেন তোমার অসমাপ্ত কাজের কিছু অন্তত শেষ করে যেতে পারি! তোমার হাত আমার মাথায় অনুভব করছি -তুমিই আমার শক্তি! অন্তরের অন্তঃস্থলে নিয়ত জেগে আছো আব্বু আমার! তোমার প্রিয় রবীন্দ্রনাথের গানের কলিতেই বলি,

"এসেছি কি হেথা যশের কাঙালি- কথা গেথেঁ নিতে করতালি-
মিছে কথা কয়ে, মিছে যশ লয়ে, মিছে কাজে নিশিযাপনা!
কে জাগিবে আজ, কে করিবে কাজ, কে ঘুচাতে চাহে জননীর লাজ? "

(ওএস/অ/জুন ২৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

১৮ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test