E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘বাহুর জোর’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হলেন সামিয়া মিতু

২০১৯ জানুয়ারি ২৬ ১৮:২৭:২৯
‘বাহুর জোর’ ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হলেন সামিয়া মিতু

বিনোদন প্রতিবেদক : সহজাত প্রতিভার অধিকারী গণসঙ্গীত শিল্পী শাহ বাঙ্গালীর মেয়ে সামিয়া মিতু চলচ্চিত্রে এসেই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সমর্থ হয়েছেন। তাকে নিয়ে ছবি বানানোর উদ্যোগ নিয়েছেন কুংফু-কারাটের প্রশিক্ষক ও অভিনেতা চাইনিজ। তার ছবিতে এ্যাকশন থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সামিয়া মিতুকে নিয়ে তিনি বাহু জোর নামে যে ছবিটির পরিকল্পনা করেছেন সেটা এ্যাকশনধর্মী হলেও সামাজিক আঙ্গিকের সুন্দর একটি গল্প আছে। ছবিটিতে সামিয়া মিতুর দ্বৈত চরিত্র। একজন নবাগতর পক্ষে এমন কঠিন একটা কাজ কিভাবে সম্ভব? চাইনিজ বলেন, নতুনের পক্ষে সেটা খুবই সহজ। কারণ একজন নবাগতকে স্বাচ্ছন্দ্যে পরিচালকের পছন্দ মতো কাজ করিয়ে নেওয়া যায়।

‘বাহুর জোর’ ছবির একটি চরিত্র গ্রামের একটি সহজ সরল মেয়ে এবং আরেকটি চরিত্র বেপরোয়া। বিপরীত মুখী এ দুটি চরিত্রেই সামিয়াকে অভিনয় করতে হবে। সামিয়া বলেন, ‘আমার বাবাকে যখন গান গাইতে বলা হতো তখন তিনি কোনো প্রস্তুতি বা পান্ডুলিপি ছাড়াই মন যা চাইত গেয়ে যেতেন। শ্রোতারা সেটাকেই উপভোগ করত। এজন্য তার লিখিত কোনো গান নেই। আমি তার মেয়ে যদি পরিচালকের চাওয়া পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে না পারি তাহলে আমার পিতার নামই ডুবে যাবে।’

চাইনিজ জানান, তিনি ইতোমধ্যে সামিয়াকে এ্যাকশন প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছেন। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে সামিয়া এ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয়ের জন্য সচল হয়ে উঠবেন। তার মধ্যে সপ্রতিভ একটা ভাব আছে। সেটাকেই বেশি কাজে লাগাতে হবে।

সামিয়া ইতোমধ্যে বেলাল নামে একজন নৃত্যগুরুর কাছে নাচের প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেছেন। সামিয়া বলেন, ছোটবেলায় তিনি যখন পিতার আনা কোনো জামা পরতেন, তখন তার মা বলত একটা ছোট মেয়ে এই জামা পরে নাকি? তখন বাবা বলত আমার মেয়ে নায়িকা হবে। ওকে এভাবেই রাখবে। সেই ছোটবেলা থেকে বাবার মুখ থেকে নায়িকা কথাটি শুনতে শুনতে বড় হয়েছি। সেটাই অন্তরে গেথে আছে। বাবার স্বপ্ন ছিল আমি একদিন নায়িকা হব। আমি বাবার সেই স্বপ্নপূরণ করতে চাই। তবে আমার চিন্তা-চেতনায় আছে - একজন মানুষ কখনোই পরিপূর্ণ নয়। আমারও ঘাটতি আছে। সেটা আমি পূরণ করে নেব।

তিনি বলেন, আমার প্রিয় পোশাকের মধ্যে রয়েছে জিন্স, টি-শার্ট এবং শাড়ি। এর থেকেই বুঝা যায় আমি মডার্ণ চরিত্রে অভিনয় করতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করব। আমার মন-মানসিকতাও একই সমীকরণে হিসাব করা যাবে। আমি সকলকে নিয়ে ভাবি, সকলের ভালো চাই। এ ধরনের চরিত্র হলে সেটা আমার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ হয়ে উঠবে।

তাকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণের কথা ভাবছেন নূর মোহাম্মদ মনি এবং শিল্পী চক্রবর্তী। কোনো নবাগতকে নিয়ে এ ধরনের সাড়া সাধারণত পড়ে না। তার প্রতি নির্মাতাদের আগ্রহ থেকে মনে হচ্ছে, সামিয়া মিতুই হয়তো হয়ে উঠবেন আগামী দিনের প্রথম সারির একজন তারকা।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মধ্যে আপাতত প্রেম বলে কিছু নেই। আমার পছন্দেরও কেউ নেই। আমার কাছে এখন ক্যারিয়ারই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ভাব-ভালোবাসা বা এ ধরনের কোনো আবেগই এখন আমার কাছে প্রশ্রয় পাবে না।

চট্টলাকন্যা সন্দ্বীপের বাসিন্দা সামিয়া মিতু ঢাকার মিরপুরের বাঙলা কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘ফটোশ্যুট বা মিউজিক ভিডিও - যে মাধ্যমেই কাজ করি না কেন আমার লক্ষ্য হলো চলচ্চিত্র। তাতে আমার গণসঙ্গীত শিল্পী পিতার স্বপ্নপূরণ হবে। তার মৃত আত্মা শান্তি পাবে।’ তিনি জানান, ইতোমধ্যেই তিনি তিনটি টিভিসির কাজে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন।

(এমএস/এসপি/জানুয়ারি ২৬, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test