E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

রোহিঙ্গা ছবিতে গণমাধ্যমকর্মীর ভূমিকায় শাকিবা

২০১৯ ফেব্রুয়ারি ২০ ১৮:৫৪:১৩
রোহিঙ্গা ছবিতে গণমাধ্যমকর্মীর ভূমিকায় শাকিবা

মারুফ সরকার : তেত্রিশ ছবির ক্যারিয়ারে নানা ভূমিকায় অভিনয়ের পর দীর্ঘ পাঁচ বছরের বিরতি। তারপর নতুন ভূমিকায় শাকিবা নিজেকে আবিস্কার করেন এক টিভি সাংবাদিকের ভূমিকায়। তাকে উখিয়া পাঠানো হয় রোহিঙ্গাদের খবর সংগ্রহের জন্য।

কাজের সুবাধে তিনি ঘুরে বেড়ান বিভিন্ন রোহিঙ্গা শিবির। নিজের চোখে দেখেন নির্যাতিত, নিপীড়িত, ধর্ষণের শিকার, উদ্বাস্তু মানুষগুলোকে। সেখান থেকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেন রোহিঙ্গ দুঃখ-দুর্দশার নানা কথা। নাড়া দেন বিশ্ব বিবেককে। তাকে এই সুযোগ করে দিয়েছেন বেশ কয়েকবার জাতীয় পুরস্কার পাওয়া এবং ইস্যুভিত্তিক চলচ্চিত্রের নির্মাতা অহিদুজ্জামান ডায়মন্ড । তিনি বর্তমানে রোহিঙ্গাদের নিয়ে একই নামে একটি ছবি নির্মাণ করছেন। ছবিটির কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। এই ছবিতেই শাকিবা সাংবাদিকের ভূমিকায় অভিনয় করছেন।

একজন গণমাধ্যমকর্মী হিসেবে তিনি উখিয়ায় রোহিঙ্গা শিবিরে গিয়ে প্রথমে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। পরে নিজেকে সামলে নেন। একজন গণমাধ্যমকর্মীকে আবেগে জড়িয়ে পড়লে রিপোটিংয়ের দায়িত্বটা সঠিকভাবে পালন করা হয় না। অবিলম্বে তার সাংবাদিক সত্ত্বাটি বাস্তব হয়ে ওঠে। সবিস্তারে বিশ্বের কাছে তুলে ধরেন রোহিঙ্গাদের আদ্যোপান্ত।

শাকিবা বলেন, ডায়মন্ড ভাইকে দেখেছি কাজের ব্যাপারে কোনো আপোষ করেন না। বড় খুঁতখুঁতে মানুষ। যতক্ষণ পর্যন্ত না কাজটা পারফেক্ট হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত স্বস্তি পান না।

তিনি বলেন, আমাকে যে চরিত্রটি দেওয়া হয়েছে সেটির প্রতি আমার যতোটা সুবিচার করা সম্ভব আমি তা করেছি। বাকিটা নির্মাতার কাজ।

শাকিবা অভিনীত সর্বশেষ ছবি শাহ আলম কিরণের ‘মাটির ঠিকানা’ মুক্তি পেয়েছিল ২০১১ সালে। এরপর ২০১৩ সালে সরকারি অনুদানের ছবি ‘নমুনা'তে কাজ করলেও ছবিটি এখনও মুক্তি পায়নি। এনামুল করিম নির্ঝর পরিচালিত এ ছবিতে শাকিবার বিপরীতে ছিলেন আরেফিন শুভ।

শাকিবা ২০০৪ সালে মনতাজুর রহমান আকবরের ‘ভন্ড নেতা’ ছবি দিয়ে চিত্রজগতে যাত্রা শুরু করেন। তবে তার প্রথম মুক্তি পেয়ে যায় ‘জীবনের গ্যারান্টি নাই’। এ ছবিটিও পরিচালনা করেন মনতাজুর রহমান আকবর।

(এমএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test