E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

দেহ ব্যবসার দায়ে বাঙালি নায়িকা গ্রেপ্তার

২০১৪ সেপ্টেম্বর ০৩ ১৫:৫০:৫৩
দেহ ব্যবসার দায়ে বাঙালি নায়িকা গ্রেপ্তার

বিনোদন ডেস্ক : অবৈধ দেহ ব্যবসার দায়ে গ্রেপ্তার হলেন তেলেগু ছবির লাস্যময়ী অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদ। হায়দারাবাদের বানজরা হিলসের এক অভিজাত হোটেল থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গোপন সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছিল আগেই। সেই মতো বানজারা হিলসের পার্ক হায়াত হোটেলে ফাঁদ পাতে পুলিশ। রবিবার রাতে সেখানেই হাতেনাতে ধরা পড়লেন তেলেগু সিনেমার উঠতি নায়িকা শ্বেতা বসু প্রসাদ। অবৈধ যৌন ব্যবসার অভিযোগে তাকে আটক করার পাশাপাশি যৌনবৃত্তির দালালির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বালু নামে এক ব্যক্তিকে।

বাঙালি মা এবং বিহারি বাবার মেয়ে শ্বেতার জন্ম জামশেদপুরে। পরে তার পরিবার মুম্বাইয়ে থিতু হয়। শৈশবে থেকেই অভিনয়ের প্রতি তীব্র ঝোঁক ছিল শ্বেতার। মাত্র ১১ বছর বয়সেই হিন্দি ছবি “মাকরি” তে প্রথম অভিনয় করেন তিনি। চুন্নি ও মুন্নির দৈত চরিত্রে অভিনয় করে জাতীয় পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৫ সালে “ইকবাল” ও ২০০৬ সালে “ডরনা জরুরি হ্যায়” ছবির সুবাদে বলিউডের স্বীকৃতি পান শ্বেতা। পাশাপাশি টিভি সিরিয়ালেও অভিনয় করেন। তাকে দেখা যায় মিঠুন চক্রবর্তী অভিনীত “এক নদীর গল্প” বাংলা ছবিতে।এরপর তেলেগু ছবিতে ডাক পেয়ে হায়দারাবাদে পাড়ি দেন শ্বেতা। কিন্তু অভিনয় জীবনের অন্তরালে কবে যে তিনি দেহ বিপণনের দিকে ঝোঁকেন, তা নিয়ে পরিচিতরা সকলেই বিস্মিত।

কীভাবে ধরা পড়লেন শ্বেতা?

পুলিশ সূত্রে খবর,খদ্দের সেজে দালাল বালুর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে শ্বেতার খোঁজ মেলে। জানা যায়, যুবতী অভিনেত্রীর যৌনসঙ্গ পেতে হলে খরচ করতে হবে মোটা অঙ্কের টাকা। গোপন ক্যামেরায় তোলা ভিডিওয় দেখা গিয়েছে, খদ্দেরের কাছ থেকে এই বাবদ পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেছিলেন শ্বেতা। অগ্রিম হিসেবে নেওয়া হয়েছিল এক লাখ টাকা। এর মধ্যে বালুর ভাগে ছিল ১৫হাজার টাকা। বাকি অর্থ অভিনেত্রীর জিম্মায় থাকে।

যথা সময়ে খদ্দের সেজে হোটেলের ঘরে উপস্থিত হয় পুলিশ। শ্বেতা এসে পৌঁছানোর পর সঙ্গে সঙ্গে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।সোমবার এরামঞ্জিল আদালতে তাকে হাজির করে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে অভিনেত্রীকে এক সরকারি হোমে রাখা হয়েছে। বালুকে রাখা হয়েছে চার্লাপল্লি জেলে।

উল্লেখ্য, গত বছর একই অভিযোগে শ্বেতা বসু প্রসাদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে সে মাত্রা প্রমাণের অভাবে ছাড়া পেয়েছিলেন তিনি

(ওএস/এটিআর/সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০২ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test