E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মিথিলার হাতের রান্না না খেলে রাগ ভাঙবেন না শিলাজিৎ

২০২১ সেপ্টেম্বর ১২ ১৫:৪২:০৮
মিথিলার হাতের রান্না না খেলে রাগ ভাঙবেন না শিলাজিৎ

বিনোদন ডেস্ক : সৃজিত-শিলাজিতের সম্পর্ক নিয়ে প্রায়ই নানা কথা হয়। গত জুন মাসের মাঝামাঝি। মহা সমারোহে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের নতুন ছবি ‘এক্স ইক্যুয়ালস টু প্রেম’-এর পোস্টার মুক্তি পায়। তার পরেই নামবিভ্রাটে জড়ান পরিচালক। ২১ বছর আগে ফিরে গেলে দেখা যাবে, এই একই নামে শিলাজিতের একটি গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছিল।

সৃজিতের এই ছবির কথা জানতে পেরেই শিলাজিৎ তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট করেন। সরাসরি কারও নাম না নিয়ে তিনি জানান, অনেক পরিশ্রম করে পাশ করানো সেই নাম এখনও লোকে ‘খাচ্ছে’।

আনন্দবাজার অনলাইনকে শিলাজিৎ বলেন, ‘আমি খুশি। বিখ্যাত মানুষরা আমার দেওয়া নাম ব্যবহার করছেন। তার মানে আমার মতো ছোট গীতিকার এখনও তাদের মাথার মধ্যে বাস করে।’

অন্যদিকে, সৃজিত জানান, ‘এক্স ইক্যুয়ালস টু প্রেম’ ছবির নাম তিনি ইমপা (ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশন)-র মাধ্যমে পাশ করিয়েছেন। সেখান থেকে কোনো বাধা আসেনি। অনুমতি পাওয়ার পরেই তিনি এই ছবির নামকরণ করেন। সৃজিতের মতে, এটা তো একটি শব্দবন্ধ। যে কেউ ব্যবহার করতে পারে। বাংলা শব্দের উপর কারও স্বত্ব নেই। কিন্তু শিলাজিতের রাগ নিয়ে তার মন খারাপও হয়।

তিনি বলেন, ‘২০০৭ সাল থেকে চিনি আমি তাকে। আমি ভেবেছিলাম তিনি খুশি হবেন তার দেওয়া নাম ব্যবহার করা হয়েছে শুনে। কিন্তু আমার ফোন না ধরলে আমি কেমন করে জানাব তাকে?’

ফোন ধরে যদি শিলাজিৎ তাকে গালিগালাজ করতেন, তা হলে বরং খুশি হতেন পরিচালক। এমনই জানিয়েছিলেন তিনি।

শনিবার আনন্দবাজার অনলাইনের লাইভে ফের সে প্রসঙ্গে উঠলে শিলাজিৎ জানান, বিরক্তি কমে এসেছে। কিন্তু তার অভিমান ভাঙানোর জন্য তার মনের মতো কাজটি এখনও করেননি সৃজিত। অনেকভাবেই মান ভাঙানোর চেষ্টা করেছেন পরিচালক। কখনও শিলাজিতের বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হয়েছেন, কখনও তাকে খাওয়ানোর কথা বলেছেন। এমনকি শিলাজিৎ যখন নিজের পেজ থেকে লাইভ করছিলেন, সৃজিত নাকি আচমকা ক্যামেরার সামনে চলে গিয়েছিলেন।

শিলাজিতের বক্তব্য, ‘সৃজিতের ফোন ধরছি না বলে আমার খারাপ লাগছিল। কিন্তু কী করব? আমার দাবিটা বোঝানোর দরকার ছিল ওকে। সংবাদমাধ্যমের সামনে ঘোষণা করার আগে আমাকে একবার বলার উচিত ছিল সৃজিতের। এর থেকে বেশি আমার কোনো দাবি নেই।’

কিন্তু যেদিন স্থির হয়েছিল, সৃজিত তাকে নিজের বাড়িতে ডেকে খাওয়াবেন সেদিন শিলাজিৎ সেখানে থাকতে পারেননি। তার নামে বাড়িতে ভোজ হলো কিন্তু তিনিই ছিলেন না। অন্যরা খেয়ে গেলেন।

শিলাজিতের বক্তব্য, ‘সৃজিতের বাড়িতে যেদিন নিমন্ত্রণ করেছিল, সেদিন সৃজিতের স্ত্রী মিথিলা অনেক রান্না করে রেখেছিল। আমার কল্যাণে ওখানে অনেকে গিয়েছিল। তাদের মধ্যে শ্রীজাতও ছিল। তারা খেয়েছে। আমাকে যদি আলাদা করে না খাওয়ায়, তা হলে মীমাংসা হওয়ার কোনো চান্স নেই।’

শিলাজিতের দাবি, মিথিলার হাতের রান্না খাওয়াতে হবে। তা ছাড়া কেবলমাত্র তাকেই খাওয়াতে হবে। আর কাউকে না। তা হলেই সব মিটমাট হবে।

(ওএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test