E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে দুই দিন ব্যাপী কবিগান

২০১৫ অক্টোবর ১৫ ১১:১৯:২১
গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে দুই দিন ব্যাপী কবিগান

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ মাঠে শুরু হয়েছে দুই দিন ব্যাপী কবিগান।

উপমহাদেশের প্রখ্যাত কবিয়াল ভারতের স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত কবি অসিম সরকার ও অমল সরকার এ কবিগানে অংশ নিচ্ছেন। প্রখ্যাত এই দুই কবিয়ালের কবিগান শোনার জন্য গোপালগঞ্জ জেলাসহ আশপাশের জেলা থেকেও বিপুল সংখ্য শ্রোতা উপস্থিত হয়েছেন।

বুধবার সন্ধ্যা থেকে গোপালগঞ্জ হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ সেবা সংঘের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনটির উদ্যোগে এ কবি গানের আয়োজন করা হয়েছে। হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের উত্তরসুরি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর এ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।

হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের জীবনাল্লেখ্য নিয়ে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের মধ্যদিয়ে কবিগানের শুভ সূচনা করা হয়। সন্ধ্যা ঘনিয়ে রাত বাড়ার সাথে সাথে শ্রতাদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। কলেজ মাঠের প্যান্ডেল মুহুর্তের মধ্যে মানুষে মানুষে ভরে যায়। মাঠের আশ-পাশে ও রাস্তায়ও বিপুল সংখ্যক মানুষ কবিগান শুনতে ভীড় করে। কবিয়ালদের পাশাপাশি বাদ্যদলের বাজনাও দর্শক শ্রোতাদের আনন্দ যুগিয়েছেন। গভীর রাত পর্যন্ত কবিয়ালদের যুক্তি-তর্কের ফাঁকে ফাঁকে ধর্মীয় তাত্ত্বিকগান ভক্ত-শ্রোতাদের আনন্দের খোরাক দিচ্ছে।

এক সময়ে কবি বিজয় সরকারের গান মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনতেন এ অঞ্চলের শ্রোতারা। এখন বিজয় সরকার বেঁচে নাই। তার রচনাকৃত ও গাওয়া গান এখনো মানুষকে আলোড়িত করে। এক সময়ে এ এলাকার মানুষের বিনোদনের একটি বড় মাধ্যম ছিল কবি, জারি, সারি গান। তার মধ্যে কবি গান ছিল অন্যতম।
কালের বিবর্তনে এবং আধুনিকতার বেড়াজালে পরে এসব গানের শ্রোতা একদিকে যেমন কমে গেছে, তেমনি গায়কও কমে গেছে। তারপরও কবি গানের কথা শুনলে এখনো মানুষ ছুটে আসেন দূর দূরান্ত থেকে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে আবার ওই দুই কবিয়াল কবিগান পরিবেশন করবেন। গভীর রাত পর্যন্ত চলবে তাদের যুক্তি-তর্ক আর গান।
গোপালগঞ্জ হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ সেবা সংঘের সদস্য সচিব এ্যাড. বিজন বিশ্বাস বলেন, মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রান পুরুষ হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুর। তাদের নামে প্রতিষ্ঠিত হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ সেবা সংঘের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে এ কবিগানের আয়োজন করা হয়েছে। কবিগান থেকে সকল ধর্ম ও বর্নের মানুষের শেখার অনেক কিছু রয়েছে। ধর্ম-বর্ন নির্বিশেষে সকল শ্রেনী পেশার মানুষ কবিগান শুনতে একত্রিত হয়েছেন। আমাদের পুরানো ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এ ধরনের কবি গানের আয়োজন আরো বেশী করে করা দরকার বলে জানালেন গান শুনতে আসা শ্রোতারা।

(এমএইচএম/এসএমএস/অক্টোবর ১৫, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test