E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

ঈদে শতাব্দী ও তিশার ‘জিম এন্ড জিনি’

২০১৬ আগস্ট ২৫ ১০:০১:৪৫
ঈদে শতাব্দী ও তিশার ‘জিম এন্ড জিনি’

বিনোদন ডেস্ক : বরাবরের মতো এবারের ঈদেও ভিন্ন স্বাদের গল্পে একাধিক নাটক ও টেলিছবি নিয়ে আসছে জনপ্রিয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান পি আর প্রোডাকশন। এর ব্যানারে সম্প্রতি নির্মিত হয়েছে টেলিফিল্ম ‘জিম এন্ড জিনি’। এর চিত্রনাট্য ও পরিচালনা করেছেন মুনতাসীর বিপন।

টেলিছবিটির প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন শতাব্দী ওয়াদুদ ও নুসরাত ইমরোজ তিশা। এখানে তিশাকে দেখা যাবে শতাব্দীর কুড়িয়ে পাওয়া কাঁচের বোতলের পরী হিসেবে। তিনি নানা মজার কান্ড করে দেখাবেন। পূরণ করবেন শতাব্দীর তিনটে ইচ্ছে। এছাড়াও টেলিছবিটিতে অভিনয় করেছেন মুকুল সিরাজ, তানভীর রিজভী, মজিবর রহমান প্রমুখ।

নির্মাতা বিপন বললেন, ‘গতানুগতিক ভাবনার বাইরে গিয়ে এই গল্পটি নিয়ে কাজ করেছি। দর্শকরা বিনোদিত হবেন। তিশা ও শতাব্দীর অভিনয় মুগ্ধ করবে।’

মূলত দুটো চরিত্রকে কেন্দ্র করে এই টেলিফিল্মের গল্প। যার একটি অতি সাধারন, অন্যটি অসাধারণ।

চল্লিশে পা ফেলা অতি সাধারন জিম পেশায় একজন লেখক। আর দশটা সাধারন মানুষের মতই জিমের জীবনে সমস্যার কোনো শেষ নেই। সেটা তার সামাজিক জীবনই হোক কিংবা পেশাদারী জীবন।

প্রতিটা স্তরে জীবন তার সাথে কৌতুক করে চলেছে। কখনো প্রযোজকের কাছে পান্ডুলিপির বিক্রেতা হিসেবে সে ঠকছে, কখনো বা মুদি দোকানের ক্রেতা হিসেবে। জিম মনে প্রাণে চায়, এ জীবনের একটা পরিবর্তন। একটা ইউ টার্ন। নিজের এই চাওয়াটা যে এভাবে সত্যি হয়ে যাবে, জিম নিজেরও তা কখনো ভাবেনি।

কুড়িয়ে পাওয়া একটা পুরনো কাঁচের বোতল নানান হাত বদল হয়ে পৌছায় জিমের হাতে। বাসায় পৌছে ভাল করে বোতলটা দেখলে জিনিসটাকে অদ্ভুত মনে হয় জিমের। ছিপি আটকানো বোলতটার ভেতর কেমন যেন ধোঁয়াশা। জিমের মনে হয় বোতলটা খুললেই ভেতর থেকে একটা জিন বের হয়ে আসবে। তার তিনটে ইচ্ছে পূরণ করবে। হয়ত সেই আশা নিয়েই বোতলটা খোলে সে। ভেতরে আটকে থাকা ধোঁয়া যেন মুহুর্তেই বের হয়ে যায়। কিন্তু কোন জিনের দেখা সে পায়না।

নিজের র্নিবুদ্ধিতায় নিজের হাসে জিম। ঘুমিয়ে পড়ে। সকালে ঘুম ভাঙ্গতেই চমকে উঠে জিম। দেখে তার পাশে কাথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে একটা মেয়ে। নিজেকে বোতলের নারী জিন ‘জিনি’ হিসেবে পরিচয় দেয় মেয়েটি। অদ্ভুত পোষাক পরা মেয়েটার মুখে শুদ্ধ বাংলা শুনে আর তার চাল-চলন হাব-ভাব দেখে বিশ্বাস হয়না জিমের। কিন্তু মেয়েটির কিছু কারসাজীতে তার কথাকে অবিশ্বাসও করা যায় না।

জিনি জানায়, ২০১৫ সালে এসে সে আরব্য রজনীর গল্পের জিনি মনে করলে ভুল করবে। জিনিরাও এখন অনেক বদলে গেলে। বদলে গেছে তাদের জাদুর ধরনও। কিন্তু তিনটে ইচ্ছেপূরণের খেলা আগের মতই রয়ে গেছে। বাড়েনি বা কমেনি ইচ্ছের পরিমাণ। জিনি জিমের কাছে তার তিন টি ইচ্ছের কথা জানতে চাইলে মহা বিপদেই পড়ে যায় জিম।

এভাবেই এগিয়ে চলে কাহিনি। এক পর্যায়ে জানা যায় মেয়েটি আসলে জিনি না, তিনা। সে এসেছে পাশের ফ্ল্যাটটি ভাড়া নেবার বিষয়ে কথা বলতে। জিমের ঠোটের কোনায় সরু একটা হাসি দেখা যায়। সে বুঝতে পারে, জিনি মিথ্যে বললেও তার তিনটি ইচ্ছে কিন্তু পূরণ করে দিয়েছে। সেই তিন ইচ্ছে জানতে হলে চোখ রাখতে হবে বৈশাখী টেলিভিশনের ঈদ অনুষ্ঠানমালায়।

(ওএস/এএস/আগস্ট ২৫, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test