E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসবে সৈয়দ হকের পাঁচ নাটক

২০১৬ অক্টোবর ২১ ১৪:১৬:৪৭
গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসবে সৈয়দ হকের পাঁচ নাটক

বিনোদন ডেস্ক : সদ্যপ্রয়াত সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হককে উৎসর্গ করে শুরু হতে যাচ্ছে দশদিনের ‘গঙ্গা-যমুনা নাট্য ও সাংস্কৃতিক উৎসব-২০১৬’। এ আয়োজনে তার মৌলিক ও অনুবাদ করা পাঁচটি নাটকের প্রদর্শনী হবে।

উৎসবে স্থান পাওয়া সৈয়দ হকের লেখা নাটকগুলো হলো- থিয়েটারের (বেইলি রোড) ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’, প্রাঙ্গণেমোরের ‘ঈর্ষা’, চারুনীড়মের ‘ডেড পিকক’, নাগরিক নাট্যাঙ্গন অনসাম্বলের ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’, পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) ‘ম্যাকবেথ’।

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় উৎসব উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব পর্ষদের উদ্যোগে পঞ্চমবারের মতো এর আয়োজন করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক, নাট্যজন লিয়াকত আলী লাকী, ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক শ্রীমতি জয়শ্রী কুন্ডু, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সভাপতিমন্ডলির সদস্য নাট্যজন ঝুনা চৌধুরী ও সম্মিলিত সাংষ্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ।

স্বাগত বক্তব্য রাখবেন উৎসবের সদস্য সচিব নাট্যজন আকতারুজ্জামান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালন করবেন উৎসব পর্ষদের সদস্য মীর জাহিদ হাসান। সভাপতিত্বের দায়িত্বে থাকবেন গঙ্গা-যমুনা নাট্যোৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গোলাম কুদ্দুছ।

আগামী ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত জাতীয় নাট্যশালা মূল মিলনায়তন, পরীক্ষণ থিয়েটার হল, স্টুডিও থিয়েটার হল এবং নৃত্য ও সংগীত মিলনায়তনে ভারতের তিনটি, ঢাকার ২৫টি ও ঢাকার বাইরের দু’টিসহ ৩০টি নাট্যদলের মঞ্চনাটক থাকছে। এ ছাড়া উৎসব প্রাঙ্গণের উন্মুক্ত মঞ্চে পরিবেশন করা হবে ৫৩টি সংগঠনের আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্য ও পথনাটক। এবারের উৎসবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সহযোগিতা করছে ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।

উদ্বোধনী দিনের নাটকগুলো হলো- ভারতের হ-য-ব-র-ল দলের নাটক ‘ঈপ্সা’ (জাতীয় নাট্যশালা মূল মিলনায়তন), প্রাঙ্গণেমোরের ‘ঈর্ষা’ (পরীক্ষণ থিয়েটার হল) এবং কণ্ঠশীলনের ‘যা নেই ভারতে’ (স্টুডিও থিয়েটার হল)।

২২ অক্টোবর জাতীয় নাট্যশালা মূল মিলনায়তনে যশোরের বিবর্তনের ‘রাজা প্রতাপাদিত্য’, পরীক্ষণ থিয়েটার হলে সময়ের ‘শেষ সংলাপ’ এবং স্টুডিও থিয়েটার হলে থাকবে চারুনীড়মের ‘মরা ময়ূর’। ২৩ অক্টোবর জাতীয় নাট্যশালা মূল মিলনায়তনে পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) ‘ম্যাকবেথ’, পরীক্ষণ থিয়েটার হলে লোক নাট্যদলের (বনানী) ‘কঞ্জুস’ এবং স্টুডিও থিয়েটার হলে রয়েছে নাট্যযোদ্ধার ‘বৃত্তে বসবাস’।

২৪ অক্টোবর জাতীয় নাট্যশালা মূল মিলনায়তনে ভারতের অল্টারনেটিভ লিভিং থিয়েটারের নাটক ‘বিষাদকাল’, পরীক্ষণ থিয়েটার হলে থিয়েটার আর্ট ইউনিটের ‘সময়ের প্রয়োজনে’ এবং স্টুডিও থিয়েটার হলে দেখা যাবে নাগরিক নাট্যাঙ্গণ অনসাম্বলের ‘তোরা সব জয়ধ্বনি কর’।

২৫ অক্টোবর জাতীয় নাট্যশালা মূল মিলনায়তনে থিয়েটারের (বেইলি রোড) ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’, পরীক্ষণ থিয়েটার হলে দৃষ্টিপাত নাট্য সংসদের ‘কয়লা রঙের চাদর’ এবং স্টুডিও থিয়েটার হলে আছে কক্সবাজার থিয়েটারের ‘টু ইডিয়টস’।

২৬ অক্টোবর জাতীয় নাট্যশালা মূল মিলনায়তনে নৃত্যাঞ্চলের নৃত্যনাট্য ‘মহুয়া’, পরীক্ষণ থিয়েটার হলে ঢাকা পদাতিকের ‘হেফাজত’ এবং স্টুডিও থিয়েটার হলে থাকছে নাট্যতীর্থের ‘দ্বীপ’। ২৭ অক্টোবর জাতীয় নাট্যশালা মূল মিলনায়তনে ভারতের অনীক নাট্যদলের ‘শকুন্তলা’, পরীক্ষণ থিয়েটার হলে আরণ্যক নাট্যদলের ‘রাঢ়াঙ’ এবং স্টুডিও থিয়েটার হলে থাকবে চন্দ্রকলা থিয়েটারের ‘তামাশা’।

২৮ অক্টোবর জাতীয় নাট্যশালা মূল মিলনায়তনে প্রাচ্যনাট্যের ‘কইন্যা’, পরীক্ষণ থিয়েটার হলে লোক নাট্যদলের (সিদ্ধেশ্বরী) ‘সোনাই মাধব’, স্টুডিও থিয়েটার হলে নাট্যকেন্দ্রের ‘বন্দুক যুদ্ধ’ ও ‘গাধার হাট’ এবং সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি মিলনায়তনে রয়েছে জাগরণী থিয়েটারের নাটক ‘রাজার চিঠি’।

২৯ অক্টোবর জাতীয় নাট্যশালা মূল মিলনায়তনে সুবচন নাট্য সংসদের ‘প্রণয় যমুনা’, পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের ‘নীলাখ্যান’ এবং স্টুডিও থিয়েটার হলে আছে মৈত্রী থিয়েটারের ‘পাখি’। সমাপনী দিনে (৩০ অক্টোবর) জাতীয় নাট্যশালা মূল মিলনায়তনে ঢাকা থিয়েটারের ‘পঞ্চনারী আখ্যান’ এবং পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হবে শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্রের ‘কন্যাদান’। মঞ্চনাটকের প্রদর্শনী শুরু হবে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায়।

(ওএস/এএস/অক্টোবর ২১, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test