E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ফের বানসালির পদ্মাবতী’র সেটে হামলা

২০১৭ মার্চ ১৬ ১৩:৪০:২৯
ফের বানসালির পদ্মাবতী’র সেটে হামলা

বিনোদন ডেস্ক : গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মহারাষ্ট্রের ঐতিহাসিক নগর কোলাপুরের কাছে বানসালির সেটে হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানে অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তরা পেট্রলবোমা দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় ‘পদ্মাবতী’র সেট।

রাজস্থানের ঘটনার পর বানসালি ঘোষণা দিয়েছিলেন, তিনি আর রাজস্থানে শুটিং করবেন না। তাই মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের কাছে সেট নির্মাণ করেছিলেন তিনি। কিন্তু সেখানেও হামলার ঘটনা ঘটল। এ কারণে ছবিটির শুটিং শেষ হবে কি না, তা নিয়েই তৈরি হয়েছে সংশয়।

ছবি নিয়ে এর আগে এমন বাধার সম্মুখীন আর হতে হয়নি বলিউড ছবির গুণী নির্মাতা সঞ্জয় লীলা বানসালিকে। রাজস্থানে ‘পদ্মাবতী’ ছবির সেটে হামলার শিকারের পর এবার আরো বড় ধরনের হামলা হলো মহারাষ্ট্রে। ইতিহাসনির্ভর ছবি ও সেটির বড় সেট নির্মাণ করে ছবি করার ক্ষেত্রে বানসালি বলিউডে অগ্রগণ্য ও প্রশংসিত। কিন্তু এবার রানী পদ্মিনীকে নিয়ে তিনি বিপাকেই পড়েছেন। রানীর জীবননির্ভর ছবিটি করার জন্য কোথাও সেট ফেলে নির্বিঘ্নে কাজ করতে পারছেন না বানসালি।

কোলাপুরের অদূরে মাসাই পাথার এলাকায় ৫০ হাজার বর্গফুটজুড়ে নির্মিত সেটে রাত ২টার সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে। সেখানে তখন চলচ্চিত্রের চিত্রায়ণ চলছিল। ঘটনা শুনে ১৫ মার্চ সকালে দমকল বাহিনী নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ৩০-৩৫ জনের একটি দল মশাল ও পেট্রলবোমা নিয়ে সেটে হামলা চালায়। এতে আগুনে পুড়ে যায় অনেক দামী যন্ত্র ও ৫০ জন জুনিয়র আর্টিস্টের পোশাক। এ ছাড়া গোটা সেটেরই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। পুলিশ দোষী ব্যক্তিদের খুঁজছে বলে জানা গেছে।

দীপিকা পাডুকোন, রণবীর সিং, শহিদ কাপুর অভিনীত চলচ্চিত্রটি শুরু থেকেই রাজপুতদের কাছে বিতর্কিত হয়ে ওঠে। রানী পদ্মাবতীকে চলচ্চিত্রে ভুলভাবে উপস্থাপনের অভিযোগ তুলে রাজস্থানের রাজপুতদের উগ্রবাদী দল করনি সেনার সদস্যরা রাজস্থানের আমের ও জাইগার দুর্গে বানসালিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছিল। এ ছাড়া করনি সেনারা কিছুদিন আগেও চিতরগড় দুর্গে পদ্মিনী প্রাসাদের কয়েকটি আয়না ভাঙচুর করেছিল।

(ওএস/এসএস/এসপি/মার্চ ১৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test