E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কলকাতার তারা টিভিতে গাইবেন অণিমা মুক্তি গমেজ

২০১৭ মে ৩১ ১২:০৪:৫২
কলকাতার তারা টিভিতে গাইবেন অণিমা মুক্তি গমেজ

বিনোদন ডেস্ক : কলকাতার তারা টিভি-তে ১ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় 'আজ সকালের আমন্ত্রণে' অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের লোকগান গাইবেন ‘পল্লিগীতির সুধাকণ্ঠী’ শিল্পী  অণিমা মুক্তি গমেজ। এর আগে ২০১২ সালেও তিনি এই অনুষ্ঠানে  বাংলাদেশের লোকগান পরিবেশন করে প্রশংসা অর্জন করেন।

জানা গেছে, তারা টিভির এই অনুষ্ঠানে তিনি লালন সাঁই, রাধারমণ দত্ত, হাসান রাজা, আরকুম শাহ, শাহ আবদুল করিম, কালু শাহ ফকির, জসীমউদদীন, রমেশ শীল, আবদুল করীম প্রমুখের গান গাইবেন। বিশেষত বাংলাদেশের ধামাইল, ভ্ওায়াইয়া ও ভাটিয়ালী গানের জন্য বিখ্যাত এই শিল্পী এর আগে ভারত ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র, নেপাল, ফিলিপাইন, জার্মানি, অস্ট্রিয়া, পোল্যান্ড, উজবেকিস্তান, ইতালি, মিশর, ভুটান ও সৌদি আরবে পল্লিগীতি গেয়ে সুনাম অর্জন করেন।

পল্লিগীতির অঙ্গনে অপরিহার্য নাম অণিমা মুক্তি গমেজ ঢাকা-নবাবগঞ্জের হাসনাবাদে সেন্ট ইউফ্রেজিস বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে শিক্ষিকা-শিল্পী মায়া গাঙ্গুলির কাছে তিনি সংগীতের তালিম নেন। রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী হিসেবে যাত্রা শুরু হলেও বাংলাদেশ লোকসংগীত পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রতিষ্ঠাতা-সভাপতি শিল্পী ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর সংস্পর্শে এসে পল্লিগীতির শিক্ষা নেন। দীক্ষা পান শিল্পী নীনা হামিদের কাছেও। রাষ্ট্রবিজ্ঞান, শিক্ষা ও সংগীত তিন বিষয়ে স্নাতকোত্তর অণিমার সংগীত-ই সার্বক্ষণিক সাধনা। তাঁর স্বামী রঞ্জিতচন্দ্র দাস ক্রীড়াবিদ। মা আইরিন গমেজ এবং মামা অ্যালবার্ট পরিমল গমেজ সংগীতশিল্পী।

বেতার-টেলিভিশন-মঞ্চের সুধাকণ্ঠী অণিমা মুক্তির ‘ইছামতীর তীরে’ (২০০১), ‘এত রাতে কেন ডাক দিলি’ (আবুবকর সিদ্দিকের সঙ্গে যৌথ) এবং এককভাবে ‘অপার হয়ে বসে আছি’ (২০০১) এবং ‘সাগর কূলের নাইয়া’ (২০০২), ‘মনের মানুষ’ (২০০২), ‘বন্ধু দয়াময়’ (২০১২) এবং ‘উজান দেশের মাঝি’ (২০১৪) প্রভৃতি অ্যালবাম জানপ্রিয় হয়।

সংগীতচর্চায় ২৫ বছরের স্বীকৃতিস্বরূপ পেয়েছেন ঋষিজ শিল্পী গোষ্ঠী পদক (২০১৬), অনন্যা শীর্ষ দশ সম্মাননা (২০১৫), আসাম শিলচর লোকসংগীত উৎসব সম্মাননা, ভারত (২০১৫), বাংলাদেশ বিনোদন সাংবাদিক সংস্থা পদক (২০১৩), ঢাকা কালচারাল রিপোর্টার্স ইউনিটি পদক (২০০৯), ত্রিপুরা ফোকলোর একাডেমি প্রদত্ত ‘লোকসংগীত অনন্যা’ পদক, ভারত (২০০৯), বাংলাদেশ মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড (২০০৮), ঢাকা বিভাগীয় লোকসংগীত চ্যাম্পিয়ান পদক (১৯৯১), আন্তঃমহাবিদ্যালয় সংগীত চ্যাম্পিয়ান পদক (১৯৯০) প্রভৃতি।

(ওএস/এএস/মে ৩১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test