রাবি ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে হাইকোর্টে রুল

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টিকারী প্রশ্ন প্রণয়নে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তার প্রতিবেদন আগামী ৩০ দিনের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে আদালতে দাখিল করার জন্যও বলা হয়েছে রুলে।

আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও চারুকলা অনুষদের ডিনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদেশের বিষয়টি রিটকারীর আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন।

পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন সংযুক্ত করে দায়ের করা রিটের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সোনিয়া পারভীন, বিথি রায়, সমীর মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী।

এর আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র অ্যাডভোকেট রফিক আহমেদ সিরাজী এ রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন। পরে অ্যাডভোকেট সমীর মজুমদার সাংবাদিকদের জানান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে গত ২৫ অক্টোবর অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় ‘মুসলমান রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা সশস্ত্র হামলা চালায় কত তারিখে? এবং পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্থের নাম কি?’ এরূপ প্রশ্ন করা হয়। এসব প্রশ্ন করে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা করা হচ্ছে এমন অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের ওই আইনজীবী রিট দায়ের করেন। আদালত ওই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রুল জারি করেছেন। ‘

(ওএস/এসপি/অক্টোবর ৩১, ২০১৭)