E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মোমিন হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

২০১৭ ডিসেম্বর ০৭ ১৪:১৭:৫০
মোমিন হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কাফরুলে ছাত্রলীগ (জাসদ) নেতা কলেজছাত্র মোমিন হত্যা মামলার আসামি সাখাওয়াত হোসেন জুয়েল ও তারেক ওরফে জিয়াকে নিম্ন আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন হাবিবুর রহমান তাজ, জাফর আহমেদ, মনির হাওলাদার, ঠোঁট উচা বাবু, আসিফুল হক জনি ও শরিফ উদ্দিন। তবে এ মামলার অন্যতম আসামি ওসি রফিক মৃত্যুবরণ করায় তার সাজা অকার্যকর ঘোষণা করা হয়েছে।

ডেথ রেফারেন্স ও আপিলের শুনানি নিয়ে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশিরউল্লাহ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ ও নির্মল কুমার দাস।

মতিঝিল থানার সাবেক ওসি একেএম রফিকুল ইসলাম এ মামলার প্রধান আসামি ছিলেন। তিনি কারাবন্দি অবস্থায় ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর মারা যান। এ কারণে মামলাটি বহুল আলোচিত।

২০০৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর খুন হন কলেজ ছাত্র মোমিন। এ ঘটনায় ওই দিনই নিহতের বাবা আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে ওসি রফিকসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলায় ওসি রফিককে আসামির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে ২০০৭ সালের ১৩ মে অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি। এর বিরুদ্ধে বাদী নারাজী আবেদন দিলে ডিবিকে তদন্তের দায়িত্ব দেন আদালত। ডিবিও তদন্ত শেষে ওসি রফিককে বাদ দিয়ে ২০০৮ সালের ২ মার্চ অভিযোগপত্র দেয়।

এরপর বিচার বিভাগীয় তদন্ত হয়। ২০০৮ সালের ৩০ অক্টোবর দেয়া এ তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে ওসি রফিকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। ওই বছরের ১১ নভেম্বর এ অভিযোগপত্র গৃহীত হয়। এরপর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এ ২০০৯ সালের ৫ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করা হয়। পরবর্তীতে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এ স্থানান্তর করা হয়। এ আদালতে ওসি রফিকের বিরুদ্ধে নতুন করে অভিযোগ গঠন করা হয় ২০১১ সালের ২ জানুয়ারি।

এ আদালতেই বিচার শেষে ২০১১ সালের ২০ জুলাই রায় দেয়া হয়। রায়ে ওসি রফিকসহ তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী হাবিবুর রহমান তাজসহ ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়। এরপর নিম্ন আদালত থেকে ফাঁসি অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স পাঠানো হয় হাইকোর্টে। পাশাপাশি কারাগারে থাকা আসামিরা আপিল করেন। এ আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর ১২ নভেম্বর হাইকোর্টে শুনানি শুরু হয়।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ০৭, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test