E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ভ্রাম্যমাণ আদালত  

রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি

২০১৮ জানুয়ারি ১৬ ১২:৩৮:২২
রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানি ১৩ ফেব্রুয়ারি

স্টাফ রিপোর্টার : নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) পরিচালনা অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের দায়ের করা লিভ টু আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন আপিল বিভাগ।

এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে ১৩ ফেব্রুয়ারি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো.আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন ৫ সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাপর্নি জেনারেল মোতাহের হোসেন সাজু এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে গত ৯ জানুয়ারি এ বিষয়ে শুনানি পিছিয়ে আজকের দিন ঠিক করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এই লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত থাকবে বলেও জানিয়েছিলেন আদালত। মোতাহার হোসেন সাজু সেদিন জানিয়েছিলেন, এর ফলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত আপাতত চলতে বাধা নেই।

আদালতে আজ শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী ব্যারিস্টার আমির উল ইসলাম, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা, মমতাজ উদ্দিন ফকির ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু।

গত বছরের ১১ জুন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা সংক্রান্ত ২০০৯ সালের আইনের ১৪টি ধারা ও উপধারা অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই আইনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অবৈধ ঘোষণাও করা হয়।

বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশিষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই রায় ঘোষণা করেছিলেন।

পরে রাষ্ট্রপক্ষের কয়েক দফা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত রাখেন আপিল বিভাগ। এরই মধ্যে এ রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন রাষ্ট্রপক্ষ। ওই আপিলের শুনানি শুরু হয় গত ৩ জানুয়ারি। ৯ জানুয়ারি দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আজ অনুষ্ঠিত হলো তৃতীয় দিনের মতো শুনানি।

২০১১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ভবন নির্মাণ আইনের কয়েকটি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে আবাসন কোম্পানি এসথেটিক প্রপার্টিজ ডেভলপমেন্টের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খানকে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২০ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান।

এরপর ১১ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনের (মোবাইল কোর্ট অ্যাক্ট, ২০০৯) কয়েকটি ধারা ও উপধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন তিনি।

রিটের শুনানি নিয়ে একই বছর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আদালতের জারি করা রুলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ৫ ধারা এবং ৬(১), ৬(২), ৬(৪), ৭, ৮(১), ৯, ১০, ১১, ১৩, ১৫ ধারা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পরে এ ধরনের আরও দু’টি রিট করা হয়। তিন রিটে মোট ১৯ আবেদনকারীর শুনানি শেষে গত ১১ মে রায় ঘোষণা করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে এ আদেশ স্থগিত করে আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত বিষয়টি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে প্রেরণ করে আদেশ দেন। একই সঙ্গে হাইকোর্ট বিভাগের রায় প্রকাশ হলে রাষ্ট্রপক্ষকে নিয়মিত আপিল করারও নির্দেশ দেয়া হয়।

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ১৬, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test