E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

জিয়া অরফানেজ মামলার আসামি পক্ষের পরবর্তী যুক্তি বুধবার

২০১৮ জানুয়ারি ২৩ ১৬:৫০:০২
জিয়া অরফানেজ মামলার আসামি পক্ষের পরবর্তী যুক্তি বুধবার

স্টাফ রিপোর্টার: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের পক্ষে পঞ্চম দিনের মত যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামীকাল বুধবার দিন ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) বেলা ১১.৩৮ মিনটে রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে উপস্থিত হন খালেদা জিয়া। এ সময় আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও জিয়া উদ্দিন জিয়ার মাধ্যমে তিনি দুই মামলায় হাজিরা দেন। এরপর দুপুর ২টায় চতুর্থ দিনের মতো যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন আইনজীবী আহসান উল্লাহ। এদিন তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন। পরে বিকেল ৩.১০ মিনিটে আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন খালেদা জিয়া।

এর আগে ১৮ জানুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী আহসান উল্লাহ। তার পক্ষে যুক্তি শেষ না হওয়ায় পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামী ২৩, ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।

শরফুদ্দিননের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয় ১৬ জানুয়ারি। এরপর যুক্তি শেষ না হওয়ায় ১৭ ও ১৮ যুক্তি উপস্থাপন করেন তার আইনজীবী। এর আগে ১৯ ডিসেম্বর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়। এদিন রাষ্ট্রপক্ষ খালেদা জিয়াসহ সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন।

২০ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন শুরু হয়। এরপর ২১, ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর এবং ৩, ৪, ১০ , ১১ ও ১৬ জানুয়ারি খালেদার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন তার আইনজীবীরা।

মামলার এজাহারে জানা গেছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুদক।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

এছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিয়ের সাবেক নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

(ওএস/পিএস/জানুয়ারি ২৩, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test