E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিশু আইনের অস্পষ্টতা দূর করতে পদক্ষেপ জানানোর নির্দেশ

২০১৮ ফেব্রুয়ারি ১২ ১৪:৫৭:৪৫
শিশু আইনের অস্পষ্টতা দূর করতে পদক্ষেপ জানানোর নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার : ২০১৩ সালে প্রণীত শিশু আইনের অস্পষ্টতা দূরীকরণে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, তা আগামী রবিবারের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এই সময়ের মধ্যে সমাজকল্যাণ সচিবকে বিষয়টি লিখিতভাবে আদালতকে জানাতে হবে।

সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমম্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোরশেদ।

পরে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোরশেদ আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।

এর আগে শিশু আইন নিয়ে আদালতের আদেশ বাস্তবায়ন না করায় সমাজকল্যাণ সচিব ও লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং সচিবকে তলবও করেছিলেন আদালত।

২০১৬ সালের ৩১ অক্টোবর আদালতের আদেশ অনুযায়ী ব্যাখ্যা না দেয়ায় আইন, লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং এবং সমাজকল্যাণ সচিবের বিরুদ্ধে কেন আদালত অবমাননার কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

জানা গেছে, ঢাকা, কক্সবাজার ও রংপুরে শিশু ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত পৃথক চারটি মামলার আসামিরা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানান। এসব মামলার সব আসামি প্রাপ্তবয়স্ক। শিশু আদালত এসব প্রাপ্তবয়স্ক আসামিদের জামিনের আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করায় হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

একইসঙ্গে সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারকদেরকে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে চারটি আদালতের বিচারকরা নিজ নিজ ব্যাখ্যা লিখিতভাবে আদালতে দাখিল করেন।

ব্যাখ্যায় ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘দ্য চিলড্রেন অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ এর বিধান অনুযায়ী যেসব মামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি বা ভিকটিম শিশু ওইসব মামলা বিচারের জন্য কিশোর আদালতে প্রেরণ করা হতো। আর যেসব মামলার কেবল অভিযুক্ত ব্যক্তি শিশু, ওই সব মামলার অপরাধ আমলে নেয়ার পর মামলাটি বিচারের জন্য কিশোর আদালতে পাঠানো হতো। কিন্তু ‘শিশু আইন, ২০১৩’ এর ১৭(১) ধারার পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে অস্পষ্টতা দেখা দিয়েছে।

কারণ ওই ধারায় বলা হয়েছে, ‘আইনের সঙ্গে সংঘাতে জড়িত শিশু বা আইনের সংস্পর্শে আসা শিশু কোনো মামলায় জড়িত থাকলে যেকোনো আইনের অধীনেই হোক না কেন, ওই মামলা বিচারের এখতিয়ার কেবল শিশু আদালতের থাকবে’।

তবে আইনের ধারা ১৮, দফা-(ক) এ শিশু আদালতকে ফৌজদারি কার্যবিধির দায়রা আদালতের ক্ষমতা দেয়া হলেও ওই আইনে শিশু আদালতকে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০’ এর কোনো ধারার অপরাধ আমলে নেয়া কিংবা বিচারের সুনির্দিষ্ট এখতিয়ার দেয়া হয়নি। শিশু আইনের ৩৩(১) ধারা অনুসারে শিশু আদালত অভিযুক্ত কোনো শিশুকে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিতে পারবেন।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test