E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘খালেদার রায়ের পর্যবেক্ষণের অধিকাংশ অসত্য’ 

২০১৮ ফেব্রুয়ারি ২০ ১৬:১১:২১
‘খালেদার রায়ের পর্যবেক্ষণের অধিকাংশ অসত্য’ 

স্টাফ রিপোর্টর : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত ৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন তার ‘অধিকাংশ অসত্য’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন।

আজ মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে সিনিয়র আইনজীবীদের বৈঠকের এক পর্যায়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। খালেদা জিয়ার এই আইনজীবী বলেন, ‘আমরা পুরো রায়টি পড়ে দেখেছি। এখন আপিলের প্রস্তুতির গ্রাউন্ড তৈরি করা হচ্ছে। আশা করছি, আজকের মধ্যেই আপিল দায়ে করতে পারব।’

জয়নুল আবেদীন আরো বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ রায়ের অনুলিপি পাওয়ায় আমরা গতকাল রাতে বৈঠক করেছি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ সকালে বৈঠক করেছি। দুপুর সাড়ে ১২টায় পুনরায় বৈঠকে মিলিত হবো। এরপর আপিল দায়ের বিষয়টি আপনাদের জানিয়ে দেবো।’

গতকাল সোমবার খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের রায়ের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছে, এই মামলার দণ্ডিত আসামিদের পরস্পরের যোগসাজশে সরকারি এতিম তহবিলের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা ৮০ পয়সা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। খালেদা জিয়া সে সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তা হয়েও খালেদা জিয়াকে সরকারি এতিম তহবিলের ব্যাংক হিসাব খুলতে সহায়তা করেছেন এবং দুটি প্রাইভেট ট্রাস্টের অনুকূলে সরকারি অর্থের চেক বেআইনিভাবে দিয়েছেন, যা অপরাধে সহায়তার শামিল। আসামি তারেক রহমান, মমিনুর রহমান ও শরফুদ্দীন আহমেদ কৌশল অবলম্বন করে সরকারি এতিম তহবিলের টাকা পরস্পরের সহযোগিতায় আত্মসাৎ করতে প্রত্যক্ষভাবে সহায়তা করেছেন। আদালত মনে করেন, এই মামলার ছয় আসামিই প্রত্যেকেই কোনো না কোনোভাবে লাভবান হয়েছেন। তাঁরা রাষ্ট্রীয় ‘অর্থনৈতিক অপরাধী’ হিসেবে গণ্য হবেন।

রায়ে আদালত আরও বলেছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে বগুড়ার গাবতলী থানার দাড়াইলে জমি কেনা হলেও সেখানে এখন পর্যন্ত কোনো স্থাপনা তৈরি করা হয়নি। আগে কিংবা বর্তমানে কোনো সময়ই সেখানে এতিমখানা স্থাপন করা হয়নি। অর্থাৎ খালেদা জিয়া ও কামাল সিদ্দিকী জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে ২ কোটি ৩৩ লাখ ৩৩ হাজার ৫০০ টাকা প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে দিয়েছেন অথচ কোনো এতিমখানা তৈরি করা হয়নি। নাম সর্বস্ব প্রতিষ্ঠানে সরকারি অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার অপরাধের দায় তাঁরা কোনোভাবে এড়াতে পারেন না। আর তারেক রহমান ও মমিনুর রহমান ওই ট্রাস্টের ট্রাস্টি হয়ে সরকারি টাকা থেকে চার লাখ টাকা তুলে নেন। এর মধ্যে ২ লাখ ৭৭ হাজার টাকা দিয়ে ২ দশমিক ৭৯ একর জমি কিনলেও সেখানে কোনো স্থাপনা তৈরি করেননি কিংবা কোনো এতিমখানা বানাননি। এভাবে তাঁরা টাকা আত্মসাৎ প্রক্রিয়ায় সরাসরি অংশ নিয়েছেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় বিশেষ আদালত। এরপর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারে রাখা হয়েছে।

(ওএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test