E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদ বৈধ

২০১৮ মার্চ ০১ ১২:৫৩:৩২
নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদ বৈধ

স্টাফ রিপোর্টার : ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদে থাকার বৈধতা নিয়ে রিটের ওপর জারি করা রুল খারিজ করে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার সংসদ সদস্য পদে থাকতে বাধা নেই। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর একক বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদে থাকা নিয়ে রুল নিষ্পত্তির রায়ের জন্য আজকের দিন নির্ধারণ করেন হাইকোর্ট। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে এদিন ঠিক করেন আদালত

গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকীর একক বেঞ্চে মামলাটি কার্যতালিকায় উঠে। পরবর্তীতে ২৫ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি এই কয়েকদিন শুনানিও অনুষ্ঠিত হয়।

আদালতে নিজাম হাজারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও নুরুল ইসলাম সুজন। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন কামরুল হক সিদ্দিকী ও সত্যরঞ্জন মন্ডল।

গত ৩০ জানুয়ারি রিট আবেদনকারীর আইনজীবী সত্য রঞ্জন মন্ডল জানিয়েছেন, বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এ বিষয়ে নিজাম হাজারীর আইনজীবী শুনানি করেছিলেন। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে বিচারপতি বিব্রতবোধ করেন।

এরপর রিটের নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর পর তিনি বিচারপতি মো.আবু জাফর সিদ্দিকীর বেঞ্চে মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য পাঠিয়েছেন বলে জানান সত্য রঞ্জন মন্ডল।

গত ১৫ জানুয়ারি বিচারপতি ফরিদ আহমেদের হাইকোর্টের একক বেঞ্চ এ মামলার শুনানিতে বিব্রতবোধ করেন।

২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর নিজাম হাজারীর পদে থাকার বৈধতা নিয়ে জারি করা রুলের বিভক্ত রায় দেন বিচারপতি মো. এমদাদুল হক ও বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. এমদাদুল হক তার রায়ে রুল মঞ্জুর করে নিজাম হাজারীর পদে থাকাকে অবৈধ ঘোষণা করেন। আর কনিষ্ঠ বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান এ বিষয়ে করা রিট ও রুল খারিজ করে দেন। অর্থাৎ তার রায়ে নিজাম হাজারীর এমপি পদ বৈধ।

এরপর আইন অনুসারে রিট আবেদনটি প্রধান বিচারপতির কাছে গেলে তিনি একক বেঞ্চের কাছে পাঠান। পরবর্তীতে কয়েকটি একক বেঞ্চ বিব্রতবোধ করেন। ২০১৪ সালের ১০ মে একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সাজা কম খেটেই বেরিয়ে যান সাংসদ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০০০ সালের ১৬ আগস্ট অস্ত্র আইনের এক মামলায় নিজাম হাজারীর ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। কিন্তু দুই বছর ১০ মাস কম সাজা খেটে কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি’।

পরে এই প্রতিবেদন যুক্ত করে নিজাম হাজারীর সংসদ সদস্য পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া।

রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৪ সালের ৮ জুন রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ২০১৬ সালের ৩ আগস্ট এ রুলের শুনানি শেষে ১৭ আগস্ট সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর পদ থাকবে কি-না, সে বিষয়ে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।

তবে বিচারিক আদালতের একটি নথি না আসায় রায়ের দিন পিছিয়ে ২৩ আগস্ট ধার্য করা হয়। পরে কয়েক দফা পিছিয়ে ওই বছরের ৬ ডিসেম্বর রায় ঘোষণা করেন হাইকোর্ট।

রিট আবেদনে বলা হয়, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুসারে, কোনো ব্যক্তি সংসদের সদস্য নির্বাচিত হওয়ার এবং সংসদ সদস্য থাকার যোগ্য হবেন না, যদি তিনি নৈতিক স্খলনজনিত কোনো ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে কমপক্ষে দুই বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন এবং তার মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হয়ে থাকে।

সে হিসেবে নিজাম হাজারী ২০১৫ সালের আগে সংসদ সদস্য হতে পারেন না। অথচ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে সংসদ সদস্য হন তিনি।

(ওএস/এসপি/মার্চ ০১, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২০ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test