E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কনকর্ডের ভবন এতিমখানাকে বুঝিয়ে দিতেই হবে

২০১৮ মার্চ ১২ ১৫:০২:৪৩
কনকর্ডের ভবন এতিমখানাকে বুঝিয়ে দিতেই হবে

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার জায়গায় প্রতিষ্ঠিত কনকর্ডের তৈরি ১৮ তলা ভবন ওই এতিমখানাকে বুঝিয়ে দিতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

আদলতের এ রায়ের ফলে কনকর্ডের ১৮ তলা ভবন এতিমখানাকে বুঝিয়ে দিতে হবে।

সোমবার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে কনকর্ডের করা আপিল খারিজ করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে তিন সদস্যর আপিল বিভাগের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। এতিম খানার পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ ওয়াই মশিউজ্জামান ও ব্যারিস্টার অনিক আর হক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

মনজিল মোরসেদ বলেন, কনকর্ডের লিভ টু আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ায় যত দ্রুত সম্ভব স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানাকে ওই ভবন বুঝিয়ে দিতে হবে।

রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, এতিম খানার সম্পত্তি সরকারের কাছ থেকে নেয়া হয়েছিল। এতিম খানার গঠনতন্ত্রে বলা হয়েছে, এতিম খানার কাজের বাইরে এই জায়গা ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু সে সময় যারা কমিটিতে ছিলেন তারা ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য এ সম্পত্তির ৬৫ ভাগ কনকর্ডকে দিয়েছিলেন আর এতিমখানাকে দিয়েছিলেন ৩৫ ভাগ। চুক্তি করার কোনো ক্ষমতাই ছিল না সেই কমিটির। আইনগত কোনো ভিত্তি ছিল না।

২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে জারি করা এক রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে হাইকোর্ট আজিমপুরে স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার জায়গায় আবাসন প্রতিষ্ঠান কনকর্ডের তৈরি ১৮ তলা বিল্ডিং এতিমখানাকে হস্তান্তরের আদেশ দেন। একইসঙ্গে চার দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে আবাসন প্রতিষ্ঠান কনকর্ড।

২০০৩ সালের ২২ জুলাই এতিমখানার সভাপতি শামসুন্নাহার ও সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট জি এ খান আহসান উল্লাহ এতিমখানার দুই বিঘা জমি ডেভলপার কোম্পানি কনকর্ডের কাছে হস্তান্তর করেন। এতিমখানার সম্পত্তি অবৈধ হস্তান্তর সংক্রান্ত প্রতিবেদন দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশ পায়। পত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর তা সংযুক্ত করে চারজন ছাত্রের পক্ষে রিট পিটিশন দায়ের করেন মনজিল মোরসেদ। পরবর্তী সময়ে ওই রিট পিটিশনে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষভুক্ত হয়।

রিট আবেদনে বলা হয়, এতিমখানার সম্পত্তি সরকারে নিকট থেকে লিজ নেয়া এবং লিজ চুক্তিতে এতিম খানার সম্প্রসারণের জন্য বিনামূল্যে দেয়া হয় এবং শর্ত ছিল প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন ব্যতীত অন্য কোনো কাজে জমি ব্যবহার করা যাবে না। তারপরও এতিমখানার সভাপতি ও সেক্রেটারি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে আর্থিক লাভবান হয়ে এতিমখানার সম্পত্তি কনকর্ড গ্রুপের কাছে হস্তান্তর করেছিলেন।

(ওএস/এসপি/মার্চ ১২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test