E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

মইনুলের কটূক্তিতে নারী সমাজ বিক্ষুব্ধ: অ্যাটর্নি জেনারেল

২০১৮ অক্টোবর ২২ ২০:২৬:৩১
মইনুলের কটূক্তিতে নারী সমাজ বিক্ষুব্ধ: অ্যাটর্নি জেনারেল

স্টাফ রিপোর্টার: একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির প্রশ্নের জবাবে যে উক্তি করেছেন তাতে সারা দেশের নারী সমাজ বিক্ষুব্ধ ও আহত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সোমবার (২২ অক্টোবর) নিজ কার্যালয়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে এ ঘটনায় কুড়িগ্রামে করা মামলায় মইনুল হোসেনকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে আজকেও (কুড়িগ্রামের মামলা) একটি মামলার শুনানি হয়েছে। তিনি মাসুদা ভাট্টি সম্পর্কে যে উক্তি করেছেন সেই উক্তিতে আমাদের সারাদেশের নারী সমাজ বিক্ষুব্ধ এবং তারা আহত।”

“এই কথা উল্লেখ করে কুড়িগ্রামের একজন নারী একটি কমপ্লেইন কেস (নালিশি মামলা) করেছেন। এই মামলায় মইনুল হোসেন অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নিতে এসেছিলেন। আমি শুনানিকালে আদালতকে স্পষ্টভাবে বলেছি, তিনি একজন নারীকে উদ্দেশ্য করে যে কথা বলেছেন, তাতে সমগ্র নারী সমাজ আহত হয়েছে, বিক্ষুব্ধ হয়েছে এবং আমাদের দেশের ভাবমূর্তিও নষ্ট হয়েছে। কারণ ওই সম্প্রচারটা সারা বিশ্বে দেখেছে।”

মাহবুবে আলম বলেন, “সবচেয়ে শেষ কথা হলো- জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবির, তার সাথেও তার (ব্যারিস্টার মইনুল) যোগাযোগ আছে বলে দম্ভোক্তি করে টেলিভিশনে বলেছেন। এ কথাও কমপ্লেইনে উল্লেখ আছে। যেহেতু জামায়াত ইসলামীর কোন রকম রেজিস্ট্রেশন নেই তাই তার অঙ্গ সংগঠন ছাত্রদেরও আইনগত বৈধতা নেই। তারপরও তিনি (ব্যারিস্টার মইনুল) যদি এভাবে বলেন যে, তাদের (জামায়াত ইসলামী) সাথে যোগাযোগ থাকায় আমি গর্বিত। তাহলে সারাদেশবাসী আহত হয়। আমি এই কথাগুলো তুলে বলেছি, যদি জামিন চান তবে তাকে নিম্ন আদালতে গিয়ে জামিন চাইতে হবে। এটা এমন কোন মামলা নয় যে, হাইকোর্ট থেকে জামিন নিতে হবে। যাই হোক, অনেকক্ষণ শুনানি করে আদালত তাকে ৬ সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন। তিনি অসুস্থ এবং ডায়লেসিস করতে হয় এ যুক্তিতে।”

এদিকে শুনানিকালে হাইকোর্ট বলেন, ‘যেহেতু যিনি সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি তিনি এই মামলা (কুড়িগ্রামের মামলা) করেননি, তাহলে এই মামলা কিভাবে চলে?’ এ প্রসঙ্গে মাহবুবে আলম বলেন, আমি স্পষ্টভাবে আদালতকে বলেছি, কেন এই মামলাকারী নারী বিক্ষুব্ধ হয়েছেন। এটা বলা যাবে না যে, তাকে (মাসুদা ভাট্টি) একা বললে নারী সমাজ বিক্ষুব্ধ হবে না। আমাদের দেশের সমগ্র নারীসমাজ এই ধরনের ঢালাও বক্তব্যে আহত হয়েছে এবং ক্ষুব্ধ হয়েছে।’

(ওএস/অ/অক্টোবর ২২, ২০১৮)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test