E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালা নিয়ে রায় ৭ ফেব্রুয়ারি

২০১৯ জানুয়ারি ২৭ ১৬:০৪:১৮
কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালা নিয়ে রায় ৭ ফেব্রুয়ারি

স্টাফ রিপোর্টার : কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নীতিমালারসহ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া নিয়ে জারি করা রুলের ওপর রায়ের জন্য ৭ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) দিন রেখেছেন হাইকোর্ট।

এ বিষয়ে করা কয়েকটি পৃথক রিটের ওপর শুনানির পর রবিবার (২৭ জানুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। এক রিটকারীর পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। অ্যামিকাস কিউরি ছিলেন ফিদা এম কামাল।

কোচিং বাণিজ্যের অভিযোগে দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষককের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সেজন্য কারণ দর্শাতে নোটিশ দেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

ওইসব নোটিশ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা-২০১২ নিয়ে ওই শিক্ষকেরা হাইকোর্ট রিট আবেদন করেন। তখন হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

পরে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের বলেন, কোচিং বাণিজ্য নিয়ে আজকে রায় দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। এ মামলায় দুজন অ্যামিকাস কিউরি ছিলেন, একজন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল হাসান আরিফ, উনি উনার বক্তব্য আগেই শেষ করেছেন। আজকে আরেকজন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ফিদা এম কামাল তার বক্তব্য দিয়েছেন। উনি খুব বিশদভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, কোচিং বাণিজ্য হলে কী কী হতে পারে, না হতে পারে।

‘আদৌ এটা অ্যালাউ করা ঠিক কি-না- উনি আদালতের কাছে সময় চেয়েছেন লিখিত আর্গুমেন্ট দিবেন। আদালত উনার কথা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে শুনেছেন এবং আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি রায় দেওয়ার জন্য দিন ধার্য করেছেন। আগামী রোববারের মধ্যে ফিদা এম কামালকে উনার লিখিত বক্তব্য জমা দিতে বলেছেন।’

তিনি বলেন, ‘আদালত ব্যাখ্যা চেয়ে বলেছেন, কোনো একজন শিক্ষার্থী যদি ডাক্তার হতে চায় বা তার পরিবার চাচ্ছে সে ডাক্তার হোক, সে যদি কোচিং না করে তাহলে সে কীভাবে এটা করতে পারে? এটাকে বাণিজ্য হিসেবে কেন আমরা ট্রিট করছি। আদালত আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন যে, নীতিমালার আওতায় মূল আইন না থাকা সত্ত্বেও নীতিমালা দিয়ে তো কাউকে আপনি শাস্তি দিতে পারবেন না। আইন থাকতে হবে। আইন নাই কিন্তু নীতিমালা আছে। এটা আইন কতটা পারমিট করে। এর ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত।’

অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘অর্থাৎ আদালতের মোদ্দা কথা, আমি যেটা বুঝতে পেরেছি, সেটা হলো, একটা সুনির্দিষ্ট আইন থাকতে হবে। আইন না রেখে শুধূ নীতিমালাকে নিয়ে এ ধরনের পিউনেটিভ অ্যাকশন কতটুকু নেওয়া যাবে এর সাংবিধানিক একটা ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত। ’

(ওএস/এসপি/জানুয়ারি ২৭, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test