E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

৯ রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থার ৬৯তম প্রতিবেদন

২০১৯ মার্চ ২৫ ১৪:৩৩:১৩
৯ রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থার ৬৯তম প্রতিবেদন

স্টাফ রিপোর্টার : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গাইবান্ধার ৯ রাজাকারের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ধানমণ্ডিতে সংস্থাটির কার্যালয়ে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক মো. হান্নান খান। এটি তদন্ত সংস্থার ৬৯ তম প্রতিবেদন।

৯ জন হলেন, গোবিন্দগঞ্জের শ্রীমুখের এলাহী বকস প্রধানের ছেলে মোফাজ্জল হক প্রধান ওরফে মোফা (৮২), নাসিরাবাদ কলোনির আমানত হোসেনের ছেলে মো. আব্দুল করিম (৬৩), আয়ুব খানের ছেলে মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন ওরফে সরফ উদ্দিন খান ওরফে সাইফ উদ্দিন (৬৪), শুকর খানের ছেলে মো. সামছুল ইসলাম খান(৬৪), হামিদপুর চিত্তিপাড়ার সৈয়দ আলীর ছেলে মো. সেকান্দার আলী (৬৬), মালেকাবাদ এলাকার আমির আলীর ছেলে মো. ইসমাইল হোসেন (৭০), হরিপুরের তালেব প্রধানের ছেলে মো. আকরাম প্রধান (৬৮), পুনতাইন আগপাড়ার আ. কাদেরের ছেলে মো. হাফিজুর রহমান (৬৪) ও বামন হাজরার টুকু প্রধানের ছেলে মো. আব্দুল মান্নান (৬৪)।

৯ জনের মধ্যে ৩ জন পলাতক। এই পলাতক তিনজন হলেন- শরীফ উদ্দিন, সামছুল ইসলাম ও আব্দুল মান্নান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রাজাকার কমান্ডার মোফা একাত্তর সালে জামায়াতের নেতা হিসেবে গোবিন্দগঞ্জ থানার রাজাকার কমান্ডার নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আব্দুল করিম ১৯৭১ সালে জামায়াতের কর্মী হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। তবে বর্তমানে জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত তিনি। শরীফ উদ্দিন, সামছুল ইসলাম খান, সেকান্দার, ইসমাইল, আকরাম, হাফিজার রহমান, আব্দুল মান্নান একাত্তর সালে জামায়াতের কর্মী হিসেবে রাজাকার বাহিনীতে ছিলো। বর্তমানে জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।’

‘২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে চলতি বছরের ২৫ মার্চ পর্যন্ত তদন্ত কাজ করা হয়। ১৯৭১ সালের ১০ মে থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাটাবাড়ী ইউনিয়নের ১ নং ও ৭ নং কাটাবাড়ী গ্রাম এবং মহিমগঞ্জ ইউনিয়নের শ্রীপতিপুর ও বালুয়াগ্রামে আটক অপগরণ নির্যাতন লুণ্ঠন, হত্যা ও ধর্ষণের মতো অপরাধ করে তারা।’

আসামিদের বিরুদ্ধে মোট চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- এক. ১৯৭১ সালের ১০ মে আসামিরা কাটাবাড়ী ইউনিয়নের ৭নং কাটাবাড়ী গ্রামের শহীদ জিয়া মন্ডল, শহীদ মনা মন্ডল ও শহীদ ওমেছ মন্ডলকে আটক, অপহরণ, নির্যাতন, জবাই করে হত্যা এবং লুণ্ঠন চালায়। এরপর শহীদ জিয়া মন্ডলের ছেলে ভিকটিম আব্দুর রশীদ ও আব্দুল জোব্বার এবং কাঠালবাড়ী উত্তরপাড়ার মো. আজিজার রহমানকে আটক, অপহরণ ও নির্যাতন করে।

দুই. ১৯৭১ সালের ২২ জুলাই আসামিরা মহিমগঞ্জ ইউনিয়নের বালুয়া গ্রামের মো. ইউনুস আলী আকন্দের বাড়িতে তার স্ত্রীসহ মোট দুইজনকে ধর্ষণ করে।

তিন. ১৯৭১ সালের ৩ আগস্ট রাতে আসামিরা গোবিন্দগঞ্জের শ্রীপতিপুর গ্রামের শহীদ আব্দুল কাদের সরকার, শহীদ আব্দুস সোবহান আকন্দ ও শহীদ এমাদ উদ্দিন আকন্দকে আটক, অপহরণ, হত্যা ও শ্রীপতিপুর গ্রামের ১জনকে ধর্ষণ করে।

চার. ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বর আসামিরা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের ১ নং কাটাবাড়ী গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ দেলোয়ার হোসেন ওরফে দুলাল এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শাহজালাল মিয়া ওরফে ঝালু মিয়াকে আটক, অপহরণ, হত্যা করে লুণ্ঠন চালায়।

(ওএস/এসপি/মার্চ ২৫, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test