E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাসচাপায় আবরার হত্যায় কন্ডাক্টর ও হেলপারের স্বীকারোক্তি

২০১৯ এপ্রিল ০২ ২০:১৪:৫৫
বাসচাপায় আবরার হত্যায় কন্ডাক্টর ও হেলপারের স্বীকারোক্তি

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আবরার আহমেদ চৌধুরীর হত্যাকারী ঘাতক সুপ্রভাত বাসের কন্ডাক্টর ইয়াছিন আরাফাত ও হেলপার ইব্রাহিম হোসেন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মঙ্গলবার গোয়েন্দা পুলিশের ইন্সপেক্টর কাজী শহীদুল ইসলাম সাত দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করে জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন করেন।

ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী কন্ডাক্টর ইয়াছিন আরাফাতের এবং মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী হেলপার মো. ইব্রাহীম হোসেনের জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

গত ২৭ মার্চ এ দুই আসামির সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।

এর আগে চাঁদপুরের শাহরাস্তি থানার একটি ইটভাটা থেকে ইয়াসিন আরাফাতকে এবং রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকা থেকে ইব্রাহিমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলাটিতে গত ২০ মার্চ সুপ্রভাতের চালক সিরাজুল ইসলামের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। এরপর ২৮ মার্চ তিনি আদালতে জবানবন্দি দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন।

ইয়াছিন ও ইব্রাহিমের রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, গত ১৯ মার্চ ভোর পাঁচটা ৪৫ মিনিটে ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে ঢাকা মেট্টো- ১১-৪১৩৫ সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস নিয়ে রওনা দেন চালক সিরাজুল ইসলাম। বাসটি গুলশানের শাহজাদপুর বাঁশতলা অতিক্রম করার সময় মিরপুর আইডিয়াল গার্লস ল্যাবরেটরি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সিনথিয়া সুলতানা মুক্তাকে চাপা দিয়ে আহত করে। ওই ঘটনায় বাসের যাত্রীরা সিরাজুলকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করেন। তখন উত্তেজিত জনতা বাসের ক্ষতিসাধন করতে পারেন ভেবে মালিকের নির্দেশে কন্ডাক্টর ইয়াসিন দ্রুত চালকের আসনে বসে বাসটি চালিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় বসুন্ধরার নদ্দা এলাকায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরীকে চাপা দিয়ে হত্যা করেন। ঘটনাস্থলেই নিহত হন আবরার। প্রাথমিকভাবে বাস চালক সিরাজ দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করায় পুলিশ ধারণা করেছিল তিনিই আবরারকে হত্যা করেছেন। সেই কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেয়। রিমান্ডে গোয়েন্দা পুলিশের ড্রাইভার সিরাজকে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করে। কোনো ধরনের ড্রাইভিং লাইসেন্স পারমিট না থাকা সত্ত্বেও বাস মালিক ননি গোপাল সরকারের নির্দেশে কন্ডাক্টর ইয়াছির বেপরোয়া গতিতে বাস চালিয়ে দুর্ঘটনার মাধ্যমে আবরারকে হত্যা করেন। এরপর তিনি বাসটি ফেলে আত্মগোপনে যান।

নিহত আবরারের বাবা বি. জে. (অব.) আরিফ আহমেদ চৌধুরী গুলশান থানায় গত ১৯ মার্চ রাতে একটি মামলা করেন। দণ্ডবিধির ২৭৯/৩৩৮-ক/৩০৪ ও ১০৯ ধারা ওই মামলা দায়ের করা হয়।

জানা যায়, গত ১৯ মার্চ সকাল সাড়ে আটটায় বিইউপিতে ক্লাস ছিল আবরারের। ক্লাসে যাওয়ার জন্য সকাল সাড়ে সাতটার দিকে নদ্দায় যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বিইউপির বাসে উঠতে যাচ্ছিলেন তিনি। এ সময় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাস তাকে চাপা দেয়। তিনি বাসের চাকায় পিষ্ট হন। পরে তার লাশ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

(ওএস/এএস/এপ্রিল ০২, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

১৯ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test