E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অবশেষে জামিন পেলেন সাবেক এমপি রানা

২০১৯ জুন ১৯ ১৪:০২:০০
অবশেষে জামিন পেলেন সাবেক এমপি রানা

রঞ্জন কৃষ্ণ পন্ডিত, টাঙ্গাইল : যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় টাঙ্গাইল-৩ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ আমানুর রহমান খান রানাকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল শুনানি শেষে বুধবার (১৯ জুন) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. বশির উল্লাহ। আর রানার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী।

গত ৬ মার্চ যুবলীগের দুই নেতা হত্যা মামলায় হাইকোর্ট তাকে ছয় মাসের জামিন দিয়ে রুল জারি করেছিলেন। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ১৪ মার্চ আমানুর রহমান খান রানার জামিন স্থগিত করেন।

২৩ এপ্রিল হাইকোর্টের দেওয়া জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ চলমান রাখেন আপিল বিভাগ। পরে হাইকোর্টের জারি করা রুলের ওপর শুনানি হয়। বুধবার ওই রুলের রায় হয়। এ জামিনের ফলে রানার মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুক আহমেদকে ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তৎকালীন এমপি রানা ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠান টাঙ্গাইলের বিচারিক আদালত।

এ মামলায় ২০১৭ সালের ০৩ ফেব্রুয়ারি রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এরপর একই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর দন্ডবিধির ৩০২/১২০/৩৪ ধারায় সংসদ সদস্য রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু করেন আদালত।

বর্তমানে মামলাটি সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। এ মামলায় ১ এপ্রিল আপিল বিভাগ তার জামিন বহাল রেখেছেন। টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা শামীম ও মামুন ২০১২ সালের ১৬ জুলাই তাদের বাড়ি থেকে মোটর সাইকেলযোগে টাঙ্গাইল শহরে এসে নিখোঁজ হন।

ঘটনার পরদিন শামীমের মা আছিয়া খাতুন এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। একবছর পর ২০১৩ সালের ৯ জুলাই নিখোঁজ মামুনের বাবা টাঙ্গাইল আদালতে হত্যা মামলা করেন। পরে তদন্ত করে পুলিশ ওই বছর ২১ সেপ্টেম্বর মামলাটি তালিকাভূক্ত করে।

এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া শহরের বিশ্বাস বেতকা এলাকার খন্দকার জাহিদ গত বছর ১১ মার্চ, শাহাদত হোসেন ১৬ মার্চ এবং হিরণ মিয়া ২৭ এপ্রিল আদালতে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দিতে তারা উল্লেখ করেন এমপি আমানুর রহমান খান রানার দিক নির্দেশনায় যুবলীগ নেতা শামীম ও মামুনকে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল।

(আরকেপি/এসপি/জুন ১৯, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test