E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ঘুষ লেনদেনের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ডিআইজি মিজানকে

২০১৯ জুলাই ২১ ১৬:৩৪:০৭
ঘুষ লেনদেনের মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে ডিআইজি মিজানকে

স্টাফ রিপোর্টার : ৪০ লাখ টাকার ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে গ্রেফতারের আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রবিবার ডিআইজি মিজানকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়শ তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।

এর আগে ১৬ জুলাই দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা ঢাকার এক নম্বর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ ওঠার পর দুই প্রতিষ্ঠান থেকেই ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে দুদকের পরিচালক এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাক ঘুষ দিয়েছেন বলে গত মাসের শুরুতে অভিযোগ করেন ডিআইজি মিজান। অভিযোগটি অস্বীকার করে বাছির দাবি করেন, তার কণ্ঠ নকল করে ডিআইজি মিজান কিছু ‘বানোয়াট’ রেকর্ড একটি টেলিভিশনকে সরবরাহ করেছেন।

অভিযোগ ওঠার পর গত ১২ জুন বাছিরকে সরিয়ে দুদকের আরেক পরিচালক মো. মঞ্জুর মোরশেদকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ দেয়া হয়। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে ফানাফিল্যাকে প্রধান করে তিন সদস্যের দলকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৩ মে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে প্রথম ডিআইজি মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী। পরে এনামুল বাছির এ দায়িত্ব পান।

গত ২৪ জুন তিন কোটি সাত লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন এবং তিন কোটি ২৮ লাখ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডিআইজি মিজান, তার স্ত্রী, ভাই ও ভাগনের বিরুদ্ধে মামলা করেন পরিবর্তিত অনুসন্ধান কর্মকর্তা।

(ওএস/এসপি/জুলাই ২১, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test