E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

হলি আর্টিসান মামলার রায়ের কপি উচ্চ আদালতে

২০১৯ ডিসেম্বর ০৫ ১৭:৪২:৫০
হলি আর্টিসান মামলার রায়ের কপি উচ্চ আদালতে

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিসান রেস্তোরাঁয় জঙ্গি হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার সাত আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায়ের কপি উচ্চ আদালতে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের পেশকার রুহুল আমীন মামলার রায়ের কপি উচ্চ আদালতে পৌঁছে দেন।

পেশকার রুহুল আমীন এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা মামলার নথিকে দুই ভাগে ভাগ করি। ‘এ’ ভাগে ১৫৯৮ পৃষ্ঠা আর ‘বি’ ভাগে ৭০৭ পৃষ্ঠা। মোট ২৩০৫ পৃষ্ঠার রায়ের কপি আমরা সরাসরি উচ্চ আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় দাখিল করেছি।

উল্লেখ্য, গত ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- জাহাঙ্গীর হোসেন, আসলাম হোসেন র্যাশ, মো. হাদিসুর রহমান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, মো. আব্দুল সবুর খান, শরিফুল ইসলাম খালেক ও মামুনুর রশীদ রিপন।

অন্যদিকে হামলায় সম্পৃক্ততা পাওয়া না যাওয়ায় মামলার অপর আসামি মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজানকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

আজ (৫ ডিসেম্বর) ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হলো।

গত ২৭ নভেম্বর ঐতিহাসিক এ মামলার রায়ে আদালত রায়ে উল্লেখ করেন, ‘জাহাঙ্গির হোসেন, আসলাম হোসেন র্যাশ, মো. হাদিসুর রহমান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, মো. আব্দুল সবুর খান, শরিফুল ইসলাম খালেক ও মামুনুর রশীদ রিপনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ এর ৬ (২) (অ) ধারায় দোষীসাব্যস্ত করা হলো এবং তাদের প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। তাদের মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের গলায় ফাঁসি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হলো।’

আদালত রায়ে আরও বলেন, ‘আসামি জাহাঙ্গির হোসেন, আসলাম হোসেন র‍্যাশ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, মো. আব্দুল সবুর খান ও শরিফুল ইসলাম খালেককে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ এর ৭ ধারায় দোষীসাব্যস্তক্রমে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। অনাদায়ে আরও দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হলো।’

আদালত বলেন, ‘আসামি জাহাঙ্গির হোসেন, আসলাম হোসেন র‍্যাশ, মো. আব্দুল সবুর খান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, শরিফুল ইসলাম খালেক ও মামুনুর রশীদ রিপনকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ এর ৮/৯ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হলো। এবং উক্ত আইনের ৮ ধারায় প্রত্যেককে ছয় মাসেন সশ্রম কারাদণ্ড এবং উক্ত আইনের ৯ ধারায় পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। এবং অনাদায়ে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হলো।’

‘আসামি মামুনুর রশীদ রিপনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ এর ৭ ধারায় অভিযোগ, আসামি মো. মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ এর ৬ (২) (অ)/৭/৮/৯/১০/১১/১২/১৩ ধারার অভিযোগ এবং আসামি জাহাঙ্গির হোসেন, আসলাম হোসেন র‍্যাশ, আব্দুস সবুর খান, মো. হাদিসুর রহমান, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, শরীফুল ইসলাম খালেক ও মামুনুর রশীদ রিপনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ এর ১০/১১/১২/১৩ ধারার অভিযোগ হতে বেকসুর খালাস প্রদান করা হলো।’

‘ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৫ এ ধারা মতে আসামিদের বিচারকালীন হাজতবাস দণ্ডাদেশ হতে কর্তন হবে। দণ্ডপ্রাপ্ত হাজতি আসামিগণের বিরুদ্ধে সাজাপরোয়ানা ইস্যু করা হোক। জব্দকৃত অস্ত্রগুলো রাষ্ট্রীয় অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হলো এবং ধ্বংসযোগ্য আলামত বিধি মোতাবেক বিনষ্ট করার নির্দেশ প্রদান করা হলো।’

‘মৃত্যদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক অনুমোদনের জন্য অত্র মামলার নথি ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগে প্রেরণ করা হোক। অত্র রায়ের অনুলিপি বিজ্ঞ চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট, ঢাকা ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, ঢাকা বরাবর প্রেরণ করা হোক।’

আদালত রায়ে আরও উল্লেখ করেন, আসামি জাহাঙ্গির হোসেন, আসলাম হোসেন র‍্যাশ, হাদিসুর রহমান সাগর, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, মো. আব্দুল সবুর খান ও শরিফুল ইসলাম খালেককে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ২০০৯ এর ৭ ধারায় দোষীসাব্যস্তক্রমে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো। অনাদায়ে আরও দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হলো।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ০৫, ২০১৯)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test