E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অরিত্রীর আত্মহত্যা : দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

২০২০ আগস্ট ২৩ ১৪:৫৫:১৫
অরিত্রীর আত্মহত্যা : দুই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

স্টাফ রিপোর্টার : ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে (১৫) আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় দুই শিক্ষিকার জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

রবিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। আজ আসামিরা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় বিচারক তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

গ্রেফতারি পরোয়ানা পাওয়া দুই শিক্ষিকা হলেন-ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার।

এর আগে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ৩০ এপ্রিল ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দেয়া চার্জশিট গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে, শ্রেণি-শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে অব্যাহতির আবেদনও মঞ্জুর করেন।

গত ২৮ মার্চ বিকেলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী কামরুল ইসলাম আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখায় চার্জশিট জমা দেন। একই সঙ্গে, মামলার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রেণি-শিক্ষিকা হাসনা হেনাকে অব্যাহতির আবেদন করেন।

২০১৮ সালে ৩ ডিসেম্বর রাজধানীর শান্তিনগরের নিজ বাসায় ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেয় শিক্ষার্থী অরিত্রী। মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ভিকারুননিসার বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে।

ঘটনার পরদিন রাজধানীর পল্টন থানায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, প্রভাতী শাখার প্রধান জিনাত আক্তার ও শ্রেণি-শিক্ষিকা হাসনা হেনার বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী মামলা করেন।

মামলার এজাহারে অরিত্রীর আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে বলা হয়, অরিত্রীর স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষা চলছিল। ২ ডিসেম্বর (২০১৮) সমাজবিজ্ঞান পরীক্ষা চলার সময় তার কাছে একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায়। এজন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের (বাবা-মা) ডেকে পাঠায়। ৩ ডিসেম্বর স্কুলে গেলে স্কুল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানায়, অরিত্রী মোবাইল ফোনে নকল করছিল, তাই তাকে বহিষ্কারের (টিসি) সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এজাহারে অরিত্রীর বাবা আরও উল্লেখ করেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ মেয়ের সামনে আমাকে (বাবা) অনেক অপমান করে। এ অপমান এবং পরীক্ষা দিতে না পারার মানসিক আঘাত সইতে না পেরে সে (অরিত্রী) আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ২৩, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test