E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নামের মিল থাকায় কারাবন্দি, দিনমজুর লিটনের মুক্তি চেয়ে রিট

২০২০ আগস্ট ২৪ ১৮:০৪:৪৭
নামের মিল থাকায় কারাবন্দি, দিনমজুর লিটনের মুক্তি চেয়ে রিট

স্টাফ রিপোর্টার : সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামির সঙ্গে নামের মিলের কারণে ভোলার মো. লিটনকে কারাগারে রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। সোমবার (২৪ আগস্ট) মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র এবং লিটন এ রিট করেন।

গত ২২ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে ‘শুধু নাম ঠিকানা মিলে জেল খাটছেন দিনমজুর’ শীর্ষক প্রতিবেদন যুক্ত করে এ রিট করা হয়।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের আইনজীবী হিসেবে রিটের পক্ষে শুনানি করবেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, ইয়াদিয়া জামান ও মো. শাহিনুজ্জামান।

আইনজীবী মো. শাহিনুজ্জামান জানান, আবেদনে লিটনের পরিচয় নিশ্চিতকরণে তাকে সশরীরে অথবা ভার্চুয়ালি হাইকোর্টে হাজির করা, তাৎক্ষণিক মুক্তি দেওয়া এবং তার আটক আদেশ অবৈধ ও আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

আবেদনে বিবাদী করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, কারা মহাপরিদর্শক, ভোলার পুলিশ সুপার, ভোলার জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের।

হাইকোর্টের বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ রিটের ওপর শুনানি হতে পারে।

ওই পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, দুজনের নাম মো. লিটন। বাবার নাম, গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলার নামও এক। পার্থক্য শুধু বয়সে। একজনের অপরাধে প্রায় আট মাস ধরে কারাগারে অপরজন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. লিটনের বয়স ৪১। যিনি জেল খাটছেন তার বয়স ৩০। তবে পুলিশের দাবি, গ্রেফতার লিটন একবারের জন্যও বলেননি যে তিনি আসামি নন।

দুই লিটনেরই বাবার নাম নুর ইসলাম। তারা মারা গেছেন। দুজনেরই বাড়ি ভোলার লালমোহন উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের চতলা গ্রামে।

২০০৯ সালের ২৮ জুন পল্টন থানার আহাদ পুলিশ বক্সের সামনে থেকে ভারত ও পাকিস্তানের তৈরি আমদানি নিষিদ্ধ চেতনানাসক ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার হন লিটন, শামীম ও আরশাদ মিয়া নামের তিনজন। এ ঘটনায় পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বিচার শুরুর আগেই ওই তিনজন জামিন নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান। পরে ২০১৪ সালের ২২ অক্টোবর ঢাকা মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ আসামিদের দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন।

কারাবন্দি লিটনের ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, লিটনকে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বাবা নুর ইসলাম ১০ বছর আগে মারা গেছেন। আসামি লিটনের বাড়ি তাদের বাড়ি থেকে ২-৩ মিনিটের পথ। তার বাবা ৩০ বছর আগে মারা গেছেন। বাবা মারা যাওয়ার পর মাকে নিয়ে আসামি লিটন ঢাকায় চলে যান।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ২৪, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test