E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বাগেরহাটে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে কারাগারে পুলিশ!

২০১৪ সেপ্টেম্বর ০৮ ১৭:৪৩:১৭
বাগেরহাটে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে কারাগারে পুলিশ!

বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে হোটেল ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ঘুষ গ্রহনের অভিযোগে মোশাররফ হোসেন নামে এক পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার দুপুরে বাগেরহাট বিশেষ ট্রাইবুন্যাল আদালতের বিচারক মোহা. মহিদুজ্জামান ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

তিনি ওই সময়ে বাগেরহাট মডেল থানায় উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে সে গোপালগঞ্জে কর্মরত রয়েছেন। তিনি খুলনা জেলার দিঘলিয়া উপজেলার মহিষদিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।

জায়েদা বেগম বলেন, বাগেরহাট সদর উপজেলার ষাটগম্বুজ ইউনিয়নের রনবিজয়পুর এলাকায় ২০১০ সালের ৩১ মার্চ রাতে বাগেরহাট মডেল থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেন সঙ্গীয় দুইজন ফোর্স নিয়ে আমার মালিকানাধীন জায়েদা আবাসিক হোটেলে আসেন। এখানে এসে তিনি এক লাখ টাকা ঘুষ দাবী করেন। এই টাকা দিতে অস্বীকার করলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে ও হোসেন খাঁ নামে এক বোর্ডারকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। এরপর তিনি আমাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠায়। আমি ও হোসেন খাঁ জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর ওই পুলিশ কর্মকর্ত আবার আমাদের সঙ্গে দেখা করে। তিনি আমাদের বিরুদ্ধে থানায় দায়ের করা মামলা থেকে অব্যহতি দেয়ার জন্য এক লাখ টাকা ঘুষ নেন।

এর কিছুদিন পরে তিনি আমার হোটেলে এসে আবার টাকা দাবী করেন। পরে আমি এই ঘটনাটি পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করলে তারা কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় আমি ওই বছরের ২৭ এপ্রিল বিশেষ ট্রাইবুন্যাল আদালতে বিষয়টি অবহিত করে একটি লিখিত অভিযোগ করি।

জায়েদার আইনজীবী নুর মোহম্মদ বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে ঘুষের বিষয়টি তদন্ত করতে দূর্র্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) নির্দেশ দেন। দূর্র্নীতি দমন কমিশনের খুলনা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. এনায়েত হোসেন ঘুষের বিষয়টি তদন্ত করে ঘুষ গ্রহণের সত্যতা না মেলায় ২০১১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর তিনি আদালতে একটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হবার নির্দেশ দেন। নির্ধারিত দিনে পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় আদালত চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি ও ৩ সেপ্টেম্বর গেজেট নোটিফিকেশন জারী করেন।

এই গেজেট জারীর পর সোমবার দুপুরে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানালে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

(একে/এএস/সেপ্টেম্বর ০৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test