E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ডাকাত সন্দেহে ৬ শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে হত্যা 

চেয়ারম্যান আনোয়ারসহ ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনের যাবজ্জীবন 

২০২১ ডিসেম্বর ০২ ১২:০৯:৫৫
চেয়ারম্যান আনোয়ারসহ ১৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনের যাবজ্জীবন 

তপু ঘোষাল ও এস কে সুলতান, সাভার/আশুলিয়া : শবে বরাতের রাতে সাভারের আমিনবাজারে ৬ ছাত্রকে ডাকাত সাজিয়ে পিটিয়ে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি মালেকসহ ১৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অন্য আসামিদের মধ্যে ১৯ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ইসমত জাহানের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন।

মামলার ৫৭ আসামির মধ্যে ৪৪ জনকে সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকার কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিশেষ নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের আদালতে আনা হয়। এরপর তাদের রাখা হয় আদালতের হাজতখানায়। সেখান থেকে বেলা ১১টার পর এজলাসে তোলা হয়।

মামলার মোট আসামি ৬০ জনের মধ্যে ইতোমধ্যে তিনজন মারা গেছেন। অবশিষ্ট ৫৭ জনের মধ্যে ৪৫ জন ছিলেন হাজতে এবং পলাতক রয়েছেন ১২ জন।

গত ২২ নভেম্বর আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণার জন্য ২ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন। একইসঙ্গে ৪১ আসামির জামিন বাতিলের আদেশ দেন। মামলায় ৯২ সাক্ষীর মধ্যে ৫৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেওয়া হলো। ২০১১ সালের ১৭ জুলাই রাতে সাভারের আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামের কেবলাচরে ওই ৬ শিক্ষার্থী ঘুরতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ধানমন্ডির ম্যাপললিফ স্কুলের ‘এ’ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম শাম্মাম, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ইব্রাহিম খলিল, বাঙলা কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশ, তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান, মিরপুরে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবীর মুনিব এবং বাঙলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র কামরুজ্জামান।

নিহতদের সঙ্গে থাকা বন্ধু আল-আমিন গুরুতর আহত হলেও প্রাণে বেঁচে যান।

২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি তদন্ত শেষে র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ ৬০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর একই বছরের ৮ জুলাই আদালত ৬০ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের মাধ্যমে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করেন।

বিচার চলাকালে মামলায় ৫৫ জন সাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। ঘটনার পর এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে ১৪ আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

চার্জশিটভুক্ত ৬০ আসামি হলেন—ডাকাতি মামলার বাদী আব্দুল মালেক, সাঈদ মেম্বর, আব্দুর রশিদ, ইসমাইল হোসেন রেফু, নিহর ওরফে জমশের আলী, মীর হোসেন, মজিবর রহমান, কবির হোসেন, আনোয়ার হোসেন, রজুর আলী সোহাগ, আলম, রানা, আ. হালিম, আসলাম মিয়া, শাহীন আহমেদ, ফরিদ খান, রাজীব হোসেন, হাতকাটা রহিম, মো. ওয়াসিম, সেলিম মোল্লা, সানোয়ার হোসেন, শামসুল হক ওরফে শামচু মেম্বার, রাশেদ, সাইফুল, সাত্তার, সেলিম, মনির, ছাব্বির আহম্মেদ, আলমগীর, আনোয়ার হোসেন আনু, মোবারক হোসেন, অখিল খন্দকার, বশির, রুবেল, নূর ইসলাম, আনিস, সালেহ আহমেদ, শাহাদাত হোসেন রুবেল, টুটুল, অখিল, মাসুদ, নিজামউদ্দিন, মোখলেছ, কালাম, আফজাল, বাদশা মিয়া, তোতন, সাইফুল, রহিম, শাহজাহান, সুলতান, সোহাগ, লেমন, সায়মন, এনায়েত, হয়দার, খালেদ, ইমান আলী, দুলাল ও আলম। এদের মধ্যে রাশেদুল ইসলাম ও কবির হোসেন মারা গেছেন। এর মধ্যে ৩ জন মারা গেছেন।

এদের মধ্যে প্রথম থেকে সাইফুল, সাত্তার, মোবারক, আফজাল, আলম, সেলিম ও মনির পলাতক রয়েছেন। এছাড়া আসামি কবির হোসেন ও রাশেদ মারা গেছেন।

(এসকেএসটিজি/এসপি/ডিসেম্বর ০২, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test