E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

অর্থপাচারে জড়িত ৪৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রস্তুত

২০২১ ডিসেম্বর ০৪ ২২:৩২:৫৩
অর্থপাচারে জড়িত ৪৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রস্তুত

স্টাফ রিপোর্টার : অর্থপাচারে জড়িত অভিযোগে ১৪ প্রতিষ্ঠান এবং ২৯ ব্যক্তির নামে প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি রবিবার (৫ ডিসেম্বর) জমা দেওয়া হবে হাইকোর্টে। হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত তদন্ত কমিটির পক্ষ থেকে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

প্রতিবেদনে সেতু করপোরেশন ও ইউনাইটেড গ্রুপসহ ১৪ প্রতিষ্ঠান এবং মুসা বিন শমসের ও আব্দুল আওয়াল মিন্টুসহ ২৯ ব্যক্তির নাম রয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান। তিনি জানান, প্রতিবেদনটি এফিডেভিট আকারে প্রস্তুত করে হাইকোর্টে জমা দেওয়া হবে।

প্রতিবেদনে ১৪ জনের নাম উঠে এসেছে। তারা হলেন- বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ারের ফয়সাল আহমেদ চৌধুরী, সেতু করপোরেশনের পরিচালক উম্মে রুবানা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সিডব্লিউএনের আজমত মইন, সালমা হক, জোবায়দুল হক, ড. সৈয়দ সিরাজুল হক ও দিলীপ কুমার মোদি। এর বাইরে রয়েছেন আব্দুল আউয়াল মিন্টু, তার পরিবারের ৫ সদস্য ও মুসা বিন শমসের।

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, অর্থপাচারকারী ১৪ প্রতিষ্ঠান ও ২৯ ব্যক্তির নামের তালিকা আমরা প্রস্তুত করেছি। তবে এখনই নামগুলো প্রকাশ করতে চাচ্ছি না। রবিবার প্রতিবেদন উপস্থাপিত হলে এর ওপর হাইকোর্টে শুনানি হবে বলে জানান তিনি।

বিদেশে অর্থপাচারকারীদের তথ্য চেয়ে গত ২২ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চুয়াল বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলসহ আদেশ দেন।

এ রুল বিবেচনায় থাকা অবস্থায় বিদেশে টাকা পাচারকারীদের নাম-ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য (মামলাসহ, কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কি না) প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে দুদক চেয়ারম্যান, স্বরাষ্ট্র সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট, এনবিআর চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ বিষয়টি পরবর্তী আদেশের জন্য রেখেছেন হাইকোর্ট।

কানাডার ‘বেগমপাড়া’র বিষয়টি আলোচনায় আসার আগে, গত বছরের ২২ অক্টোবর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মাসুদ বিন মোমেনের কাছে দুদক কমিশনের মহাপরিচালক (অর্থপাচার) আ ন ম আল ফিরোজ এক চিঠিতে বিভিন্ন দেশে অর্থপাচার করে বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব গ্রহণকারী বাংলাদেশিদের তালিকা চান।

এর আগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয় যে, বেগমপাড়ায় ২৮ বাংলাদেশির বাড়ির খোঁজ পেয়েছে সরকার। যার মধ্যে বেশিরভাগের মালিক সরকারের উচ্চপদস্থ আমলা। তাদের নামের তালিকা খোঁজ করছে দুদক। তালিকা হাতে পেলেই তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

গত বছর ১৮ নভেম্বর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছিলেন, কানাডায় খবর নিয়েছি, প্রাথমিকভাবে কিছু সত্যতা পেয়েছি। মনে করছিলাম রাজনীতিবিদদের সংখ্যা বেশি হবে। কিন্তু দেখা গেল রাজনীতিবিদ চারজন। সরকারি কর্মচারীর সংখ্যা বেশি। এছাড়া কিছু ব্যবসায়ীও আছে। বিদেশে যদি কেউ বৈধভাবে টাকা নেয়, তাহলে কোনো আপত্তি নেই। তবে অবৈধভাবে পাচার করলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরকারি কর্মকর্তাদের অর্থপাচারের বিষয়ে ২৩ নভেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দেশের বাইরে অর্থপাচারে জড়িত ব্যক্তিদের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য তদন্ত সংস্থা কাজ করছে।

(ওএস/এসপি/ডিসেম্বর ০৪, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

২০ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test