E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে এক জনের মৃত্যুদন্ড

২০১৪ অক্টোবর ০৮ ১৩:৪২:৩২
গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে এক জনের মৃত্যুদন্ড

চট্রগ্রাম প্রতিনিধি : গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে দায়ের হওয়া একটি মামলায় আব্দুর রহিম নামে এক আসামীকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।

বুধবার চট্টগ্রামের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মো.রেজাউল করিম এ রায় দেন।

আসামী আব্দুর রহিম চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পশ্চিম সাধনপুর গ্রামের গোলাম সোবহানের ছেলে। নিহত গৃহবধূ নূরুন্নাহার বেগম একই গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে আব্দুল আজিজের স্ত্রী।

ট্রাইব্যুনালের পিপি জেসমিন আক্তার বলেন, আসামী আব্দুর রহিম নূরুন্নাহার বেগমকে ফুসলিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন এবং পরে ঘটনা ফাঁস হয়ে যাবার ভয়ে জখম করে হত্যা করেন। এ অপরাধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ বিধান আইন, ১৯৯৫ এর ৬ (২) ধারায় আসামীকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, নূরুন্নাহার বেগম এবং আব্দুল আজিজের বিয়ের সময় নূরুন্নাহারের উকিল পিতা ছিলেন আসামী আব্দুর রহিমের বাবা গোলাম সোবহান। এর সুবাদে নূরুন্নাহার ও তাদের পরিবারের সঙ্গে আব্দুর রহিমের ভাল সম্পর্ক ছিল।

ঘটনা ঘটে ১৯৯৯ সালের ২৪ মার্চ। ওইদিন নূরুন্নাহার পশ্চিম সাধনপুর গ্রামে তার বাবার বাড়িতে ছিলেন। আব্দুর রহিম ওই বাড়িতে গিয়ে নূরুন্নাহারকে ফুসলিয়ে বাঁশখালীর চাপাছড়ি গ্রামে নিয়ে যান। সেখানে জঙ্গলের মধ্যে তাকে ধর্ষণ করে এবং পরবর্তীতে গুরুতর জখম করে হত্যা করে।

পরদিন ২৫ মার্চ সকালে পুলিশ ওই জঙ্গল থেকে নূরুন্নাহারের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নূরুন্নাহারের মা সুফিয়া বেগম বাদি হয়ে বাঁশখালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

১৯৯৯ সালের ৪ নভেম্বর পুলিশ ওই মামলায় আসামী আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেন। ২০০১ সালের ২৫ মার্চ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

অভিযোগপত্রে উল্লিখিত ১৪ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার আদালত এ রায় দেন। আসামী আব্দুর রহিম বর্তমানে পলাতক বলে জানিয়েছেন পিপি জেসমিনা আক্তার।

(ওএস/অ/অক্টোবর ০৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test