E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

শিরোনাম:

নববধূ মনিরা হত্যা: ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, স্বামী খালাস

২০২৩ মে ১৮ ১৬:০২:১৯
নববধূ মনিরা হত্যা: ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড, স্বামী খালাস

স্টাফ রিপোর্টার : যৌতুকের জন্য নববধূ মনিরা পারভীনকে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তবে মনিরার স্বামী নাসির হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক মাফরোজা পারভীনের আদালত এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন নিহত মনিরার স্বামী নাসিরের ভাই মাসুদ, বোন হাসিনা ও তার স্বামী মিলন, মিলনের ভাই দেলোয়ার হোসেন এবং নাসিরের চাচা দিন ইসলাম। এরা সবাই জামিনে ছিলেন। এদিন তারা আদালতে হাজিরা দেন। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১৮ জুন বিকেল সাড়ে ৫টায় মনিরা ওষুধ কেনার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে যাননি। পরিবার তার কোনো সন্ধান পাচ্ছিল না। পরদিন লোকমুখে তারা জানতে পারেন যে, নাসির হোসেন কাজী অফিসে নিয়ে মনিরাকে বিয়ে করেন। একথা শোনার পর নাসিরের বাবা হাছেন আলীর কাছে যান মনিরার বাবা মোস্তফা। তিনি মেয়েকে ফেরত দেওয়ার অনুরোধ জানান।

তখন হাছেন আলী ক্ষিপ্ত হয়ে মনিরার বাবার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকা না দিলে বাবা-মেয়ে দুজনকেই খুনের হুমকি দেন তিনি। পরদিন নাসির মনিরাকে নিয়ে তার বাড়ি যান। বাড়িতে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নাসিরের বাবা, মাসহ পরিবারের অন্যরা মিলে মনিরাকে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে মারপিট, কিল, ঘুষি, মাথার চুল টেনে গুরুতর জখম করে পাশের একটি বালুর মাঠে ফেলে রাখেন। স্থানীয় লোকজন মনিরাকে উদ্ধার করে আশিয়ান সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবার। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ জুন সকালে মারা যান মনিরা। বিয়ের তিনদিন পরই রাজধানীর খিলক্ষেত থানা এলাকায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটে।

এ ঘটনায় ২২ জুন মনিরার বাবা মোস্তফা খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন। মামলায় নাসিরের বাবা, মা, চাচাসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি ছয়জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) কেএম আশরাফ উদ্দিন। মামলার বিচার চলাকালে আট জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

(ওএস/এসপি/মে ১৮, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

২৭ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test