E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাক্ষ্য দিবেন মনিরুল

২০১৪ মে ২০ ১৪:০৩:১৩
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাক্ষ্য দিবেন মনিরুল

স্টাফ রিপোর্টার : ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিবেন ডিজিএফআই’র সাবেক কর্মকর্তা মেজর (বরখাস্ত) মনিরুল ইসলাম। পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে অবস্থিত ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের অস্থায়ী এজলাসে এ সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে।

মঙ্গলবার মামলাটির ৮৪তম সাক্ষী হিসাবে তিনি এ সাক্ষ্য প্রদান করবেন। সকাল সাড়ে ১০টায় এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।

মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষের অন্যতম আইনজীবী আকরাম উদ্দিন শ্যামল মেজর মনিরের সাক্ষ্য দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসাবে মো. শাহেদ নুর উদ্দিন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ করবেন। এ মামলার সাক্ষী সংখ্যা মোট ৫৮২ জন। আসামির সংখ্যা ৫২ জন।

অন্যদিকে সাবেক মন্ত্রী জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদ, সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টু, হুজি নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ২৫ জন কারাগারে আটক আছেন। তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হবে।

মামলায় খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম জামিনে আছেন।

এছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বর্তমান বিএনপির এমপি কাজী শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন কায়কোবাদসহ ১৯ জন আসামি পলাতক আছেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় সন্ত্রাসীরা ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নির্মমভাবে নিহত হন। সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। আহত হন শতাধিত নেতাকর্মী।

এ ঘটনায় মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল ও সাবের হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় পৃথক ৩টি এজাহার দায়ের করেন।

২০০৮ সালের ১১ জুন অভিযোগ পত্র দাখিল করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিনিয়র সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট ফজলুল কবির। এ অভিযোগপত্রে মুফতি হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়।

এরপর ২০০৮ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ২০০৯ সালের ৯ জুন পর্যন্ত ৬১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।

কিন্তু ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনক্রমে অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এবার মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দ।

তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই প্রথম অভিযোগপত্রের ২২ জন ছাড়াও বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ আরও ৩০ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডিতে।

মামলায় আট আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এরা হলেন- মুফতি হান্নান, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ওরফে অভি, শরীফ শাহেদুল আলম বিপুল, মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, জাহাঙ্গীর আলম, আরিফ হাসান সুমন ও রফিকুল ইসলাম সবুজ।

২০১২ সালের ১৮ মার্চ সকল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল।

(ওএস/এটিআর/মে ২০, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৫ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test