E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

লালবাগে স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসি

২০১৫ সেপ্টেম্বর ০১ ১৫:১৩:৫৬
লালবাগে স্কুলছাত্র হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসি

স্টাফ রিপোর্টার : লালবাগের অবাঙালি ব্যবসায়ী তৌফিক শামসেরের পুত্র ও লেভেলের স্কুলছাত্র আম্মার সামশী হত্যা মামলায় তিন আসামিকে ফাঁসির দণ্ড দিয়েছেন আদালত। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, জিয়াউর রহমান, আলমগীর ও সালাউদ্দিন।

মঙ্গলবার ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবদুর রহমান সরদার এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে প্রত্যেক আসামিকে দণ্ডের অতিরিক্ত ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বিচারক রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, বর্তমান সমাজে মুক্তিপণের জন্য অপহরণ, খুন গুম অহরহ ঘটছে। দেশে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠাকল্পে এ ধরনের মামলার আসামিদের উপযুক্ত বিচার হওয়া আবশ্যক। এসব ঘটনায় আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে এ ধরনের নির্মম, নৃশংস ও অগ্রহণযোগ্য ভয়ংকর হত্যার অভিশাপ থেকে সমাজকে মুক্তি দেওয়া সম্ভব নয়।

রায়ের বিবরণ হতে জানা যায়, ২০০০ সালের ১৬ অক্টোবর লালবাগের অবাঙালি ব্যবসায়ী তৌফিক শামসেরের পুত্র আম্মার সামশীকে বন্ধুর জন্মদিনের কথা বলে অপহরণ করে আসামিরা। পরে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক গাজীপুরের ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করে।

এরপর সামশীর পিতার কাছে আসামিরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। সেই টাকা নিতে এসে ২৫ অক্টোবর ডিবি পুলিশের হাতে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় গ্রেফতার হয় সালাউদ্দিন ও আলমগীর।

এ ঘটনায় জননিরাপত্তা আইন ও দণ্ডবিধি আইনে লালবাগ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ২০০২ সালের ২৭ এপ্রিল জননিরাপত্তা আইনের মামলায় এ তিন আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।

হত্যাকাণ্ডের ১৫ বছর পর হত্যা মামলাটির রায় ঘোষিত হলো। রায় ঘোষণার আগে চার্জশিটের ২৮ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত।

এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ছাদেকুল ইসলাম ২০০১ সালের ৩১ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি মাহফুজুর রহমান লিখন। আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন একেএম ফজলুর রহমান মিয়া।

(ওএস/এএস/সেপ্টেম্বর ০১, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test