E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

গাজীপুরে জোড়া খুনের দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড

২০১৫ সেপ্টেম্বর ০২ ১৪:৩৪:০৩
গাজীপুরে জোড়া খুনের দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড

গাজীপুর প্রতিনিধি :গাজীপুরে জোড়া খুনের দায়ে বদরুল ইসলাম (২৬) নামে একজনের মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত বদরুল ইসলাম ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার রৌহা কালিরহাট এলাকার বাসিন্দা।

মামলার সূত্রে যায়, গাজীপুরের টঙ্গীর বৌবাজার এলাকায় লতিফ গাজীর বাসায় ভাড়া থাকতেন ইসমাইল হোসেন। ২০১০ সালের ১৫ জুন সেখানে তার শ্যালক বদরুল ইসলাম বেড়াতে আসেন। তিনি ভগ্নিপতি ইসমাইলের কাছে টাকা ধার চান। ইসমাইল টাকা ধার দিতে অস্বীকার করলে বদরুল ক্ষিপ্ত হয়ে ইসমাইলের বুকের বাম পাশে ছুরিকাঘাত করে। সে সময় ইসমাইল ও তার মায়ের চিৎকারে পাশের ঘরের ভাড়াটিয়া বেলাল ছুটে আসলে বেলালের বুকেও ছুরিকাঘাত করে বদরুল পালিয়ে যান। ছুরিকাঘাতে ইসমাইল ও বেলাল ঘটনাস্থলেই মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত বেলালের ভাই ফজলু বাদী হয়ে টঙ্গী থানায় ঐ দিন একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পর দিন পুলিশ বদরুলকে তার গ্রামের বাড়ি গফরগাঁও থেকে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. রাজিউর রহমান আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালত আসামির মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। এবং ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।

রায়ে উল্লেখ করা হয়, ‘দুটি হত্যাকাণ্ডের জন্য আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দুটি দন্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। তাই প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত আইন ও নিয়ম অনুসারে মৃত ইসমাইলকে হত্যার দায়ে বদরুল ইসলামের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কার্যকর হলে তার প্রতি প্রদত্ত মৃত বেলালকে হত্যার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা কার্যকরণের কোন সুযোগ থাকবে না তা অবধারিত সত্য। তবে যদি প্রচলিত ও প্রতিষ্ঠিত আইন অনুসারে মৃত বেলালকে হত্যার জন্য আসামির প্রতি প্রদত্ত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশটি কোনভাবে কার্যকর করার অবস্থায় পড়ে সে ক্ষেত্রে অত্র মামলায় আসামির হাজতবাসের সময়কালটি তার প্রতি প্রদত্ত যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশের মেয়াদ থেকে বাদ যাবে এবং অদ্য হতে যে তারিখে আসামি বদরুলের প্রতি প্রদত্ত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড শুরু হবে সে তারিখ পর্যন্ত সময়টি তার প্রতি প্রদত্ত ঐ যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের মেয়াদ থেকে বাদ যাবে।’

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি মো. হারিছ উদ্দিন আহম্মদ এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির।


(একে/এসসি/সেপ্টেম্বর০২,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test