E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

খালেদার কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা চলবে

২০১৫ সেপ্টেম্বর ১৭ ১৩:৩১:২৭
খালেদার কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা চলবে

স্টাফ রিপোর্টার :বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা বাতিল চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার করা আবেদন খারিজ করে স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে হাই কোর্ট।

জরুরি অবস্থার সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের করা এই মামলা বাতিলের জন্য খালেদার রিট আবেদনে সাত বছর আগে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট।

সে সময় জারি করা রুল খারিজ করে বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এই রায় দেয়।

এ মামলায় বিচারিক আদালতে জামিনে থাকা সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য আগের রাতে লন্ডনে গেছেন। সেখানে বড় ছেলে তারেক রহমান ও তার পরিবারের সঙ্গে ঈদ করে এ মাসের শেষ দিকে তার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

খালেদার আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী রায়ের পর বলেন, “আমরা সংক্ষুব্ধ। এ রায়ের বিরদ্ধে আমরা আপিল করব।”

অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, “এই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। এ আবেদন চলতে পারে না বলে আদালত রুল খারিজ করে দিয়েছেন এবং স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। ফলে নিম্ন আদালতে এ মামলার বিচার চলতে আর কোনো বাধা নেই।”

এ নিয়ে গত চার মাসে খালেদার তিনটি দুর্নীতি মামলা দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর সচল হল।

গ্যাটকো ও নাইকো দুর্নীতি মামলা বাতিল চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদনও হাই কোর্টে খারিজ হয়ে গেছে। এ দুটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং তার মন্ত্রিসভার ১০ সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা হয়। ওই বছর ৫ অক্টোবর ১৬ জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

চীনা প্রতিষ্ঠান কনসোর্টিয়াম অফ চায়না ন্যাশনাল মেশিনারিজ ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সঙ্গে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয়েছে এ মামলায়।

খালেদা মামলাটি বাতিলের আবেদন করলে ২০০৮ সালের ১৬ অক্টোবর হাই কোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে। মামলাটি কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও দেওয়া হয়। হাই কোর্টের ওই আদেশ আপিল বিভাগেও বহাল থাকায় আটকে যায় বিচার।

সাত বছর পর চলতি বছরের শুরুতে দুদক মামলাটি সচল করার উদ্যোগ নিলে হাই কোর্টের দেওয়া রুলের চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়। শুনানি শেষে গত ৩০ আগস্ট আদালত বিষয়টি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখে।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন এম বদরুদ্দোজা বাদল ও ব্যারিস্টার রগীব রউফ চৌধুরী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন ভূইয়া। অন্যদিকে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

এই দুর্নীতি মামলা নিয়ে জামায়াতে ইসলামীর আমির মতিউর রহমান নিজামী ও সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের করা দুটি আবেদন আপিল বিভাগে খারিজ হয়ে গেছে। এই দুই জামায়াত নেতাই সে সময় খালেদার সরকারের মন্ত্রিসভায় ছিলেন। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে তাদের ফাঁসির রায় হয়েছে।


(আরএম/এসসি/সেপ্টেম্বর১৭,২০১৫)

পাঠকের মতামত:

১৬ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test