E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

‘২/১ দিনের মধ্যে সাঈদীর রায়ের রিভিউ’

২০১৬ জানুয়ারি ১১ ১৬:২৩:৫১
‘২/১ দিনের মধ্যে সাঈদীর রায়ের রিভিউ’

স্টাফ রিপোর্টার : মানবতাবিরোধী অপরাধে আমৃত্যু কারাবাসে থাকা জামায়াত নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষে বিপক্ষে রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) করতে আর সময় রয়েছে মাত্র তিন দিন।

এর মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ সাঈদীর সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে রিভিউ করবেন বলে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। তবে সাঈদীর পক্ষ থেকে আইনজীবীরা এখনো কিছু জানায়নি।

২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আমৃত্যু কারাবাস পাওয়া জামায়াত নেতা সাঈদীর রায় ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ।

প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে তাকে আমৃত্যু কারাবাস দেন। এর মধ্যে বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞা সব অভিযোগ থেকে সাঈদীকে খালাস দেন। আর বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মৃত্যুদণ্ড দেন। অপরদিকে প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন, বিচারপতি এস কে সিনহা ও বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী সাঈদীকে আমৃত্যু কারাবাস দেন।

২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর সকালে এ রায় প্রকাশিত হয়। মানবতাবিরোধীতের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগের নির্দেশনা অনুসারে রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ করতে হয়।

সোমবার এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘রিভিউ নিয়ে কাজ চলছে। আশা করি আগামীকাল করতে পারবো। না করতে পারলে পরের দিন করবো।’

জামায়াত নেতাদের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব দেশের বাইরে রয়েছেন। তবে অপর আইনজীবী এস এম শাহজাহান বলেন, এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। আরো কয়েকদিন সময় আছে। দেখা যাক কি হয়।

আপিল বিভাগ থেকে প্রথম রায় প্রকাশিত হয় কাদের মোল্লার। ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগ কাদের মোল্লার ফাঁসির রায় ঘোষণা করেন। এরপর ৫ ডিসেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। দ্বিতীয় রায় হিসেবে কামারুজ্জামানের রায় ঘোষণা করে ২০১৪ সালের ৩ নভেম্বর। পরের বছর ১৮ ফেব্রুয়ারি এ রায়ে পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়।

১৬ জুন তৃতীয় রায় হিসেবে মুজাহিদের এবং চতুর্থ রায় হিসেবে ২০১৫ সালের ২৯ জুলাই সাকা চৌধুরীর রায় আপিল বিভাগ ঘোষণা করে। পরে একই দিন তথা ৩০ সেপ্টেম্বর দুই জনেরই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এ চার জন রায় প্রকাশের পর রিভিউ আবেদন করেন। প্রত্যেকেরই রিভিউ আবেদন খারিজের পর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। তবে এর মধ্যে সাকা চৌধুরী ও মুজাহিদের রায় কার্যকর করা হয় প্রাণ ভিক্ষা খারিজের পর।

মানবতাবিরোধী অপরাধে হত্যা ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি ঘরে আগুন দেয়ার দুটি ঘটনায় সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শেষে ১০, ১৬ ও ১৯ নম্বর অভিযোগে হত্যা, নিপীড়ন, অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণ ও ধর্মান্তরে বাধ্য করা এবং এ ধরনের অপরাধে সহযোগিতার মতো অপরাধে সাঈদীকে আমৃত্যু করাবাস দেন।

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ১১, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

০৫ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test