E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

নাটোরে সিরিজ বোমা হামলা মামলার যুক্তিতর্ক ১০ ফেব্রুয়ারি

২০১৬ জানুয়ারি ১৪ ১৮:২৪:৫৩
নাটোরে সিরিজ বোমা হামলা মামলার যুক্তিতর্ক ১০ ফেব্রুয়ারি

নাটোর প্রতিনিধি : আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি নাটোরের জেএমবির সিরিজ বোমা হামলা মামলার যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার মামলার ধার্য দিনে  আসামীরা নিজেদের নিদোর্ষ দাবি করে আদালতে বক্তব্য দিয়েছে। মামলার আটক ৭ আসামী বৃহস্পতিবার নাটোরের অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবী করে বক্তব্য পেশ করে।

আদালতের বিচারক প্রদীপ কুমার রায় আসামীদের বক্তব্য শুনে আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি উভয় পক্ষের যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়,বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টার দিকে মামলার ধার্য দিনে আটক ৭ আসামী আব্দুর রশিদ, দেলোয়ার হোসেন মিঠু, হাফিজুর রহমান হাফিজ, শিহাব উদ্দিন শিহাব, আব্দুল মতিন ওরফে ইসমাইল, শহীদুল্লাহ্ ওরফে ফারুক, শফিউল¬াহ্ ওরফে তারিককে ঢাকার কাশিমপুর,রাজশাহী ও নাটোরের কারাগার থেকে বিশেষ পুলিশি নিরাপত্তায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আনা হয়। তারা আদালতে নিজেদের নির্দোষ দাবী করে বক্তব্য রাখে। ২০০৬ সালের ২৯ নভেম্বর মামলাটির বিচার কাজ শুরু হওয়ার পর পুলিশ ও ম্যাজিষ্ট্রেটসহ মোট ৪৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত।

উল্লেখ্য,২০০৫ সালের ১৭ আগষ্ট নাটোরে জজ আদালত, ডিসি অফিস, ট্রেজারি, বাসস্ট্যান্ড, পেট্রোলপাম্প সহ ৮ স্থানে সকাল ১০ টা থেকে সাড়ে ১০ টার মধ্যে বোমা বিষ্ফোরনের ঘটনা ঘটে। বোমা বিষ্ফোরনের স্থানে ইসলামী শাসন কায়েমের লক্ষ্যে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের আহ্বান সম্বলিত জামায়েতুল মোজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি’র) প্রচারপত্র বা লিফলেট পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে নাটোর থানার তৎকালীন উপ পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ওই দিনই অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় বিষ্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেন। পরে একই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর রাজশাহীর গোদাগাড়িতে জেএমবি সদস্য শহীদুল্লাহ্ তারেক ওরফে তুষার বিপুল পরিমান জেহাদী বই , লিফলেট ও বিষ্ফোরক দ্রব্যসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। তারই স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নাটোর শহরের মীরপাড়া জেএমবির আস্তানায় নাটোর ও রাজশাহী জেলার পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়। ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে নাটোর শহরের মীরপাড়া এলাকায় জেএমবির উত্তরাঞ্চলীয় অপারেশনের হেডকোয়ার্টার খাদেমুল ইসলামের তিনতলা ভবন থেকে পুলিশ ৪ জনকে গ্রেফতার করে। এসময় পুলিশের সাথে জেএমবি সদস্যদের বন্দুকযুদ্ধ হয়। বোমা ফাটিয়ে জেএমবির শীর্ষ নেতা মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত শায়েখ আব্দুর রহমানের জামাতা আব্দুল অওয়ালসহ অন্যরা বাড়ির পেছন দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়।

পুলিশ ওই বাড়ি থেকে বিপুল পরিমান জেহাদী বই, মোবাইল, মোটর সাইকেল, বাই সাইকেল, বিষ্ফোরক দ্রব্য, হিট লিষ্ট উদ্ধার করে। ২৫ সেপ্টেম্বর নাটোরের তৎকালীন ম্যাজিষ্ট্রেট এম এম আরিফ পাশার কাছে শিহাব , দেলোয়ার হোসেন মিঠু, হাফিজুর রহমান হাফিজ ও আব্দুল মতিন ৪ জন ১৬৪ ধারামতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে বলে তারা জেএমবি আত্মঘাতি স্কোয়াডের সদস্য।

এ মামলায় তদন্তকারি কর্মকর্তা আইও নাটোর থানার তৎকালীন ওসি মতিউর রহমান তদন্ত শেষে আত্মস্বীকৃত জেএমবির সুসাইড স্কোয়াডের সদস্য হাফিজুর ইসলাম হাফিজ ওরফে নোমান, দেলোয়ার হোসেন ওরফে ফজলার রহমান, শিহাব উদ্দিন ওরফে শিহাব ওরফে হানজালা ওরফে আনজালা, মতিন ওরফে ইসমাইলসহ শহীদুল্লাহ্ ওরফে ফারুক, শফিউল¬াহ্ ওরফে তারিক,ও আবাদুর রশিদের নামে নাটোরের চিফ জুডিশিয়াল আদালতে ২০০৬ সালের ১৬ নভেম্বর অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালত অভিযোগপত্র গ্রহন করে বিচারের জন্য ২০০৬ সালের ২৯ নভেম্বর মামলাটি জজ আদালতে প্রেরন করেন।

(এমআর/এএস/জানুয়ারি ১৪, ২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test