E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

তেলের ড্রামে কোকেন:  নূর মোহম্মদের জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ

২০১৬ জুলাই ১৮ ১২:৫৮:২৮
তেলের ড্রামে কোকেন:  নূর মোহম্মদের জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার :তেলের ড্রামে কোকেন পাচার মামলার আসামি খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহম্মদ মুক্তি পাচ্ছেন না। তাকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের ওপর স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ।

সোমবার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

এর আগে গত জুন মাসে নূর মোহম্মদকে জামিন দিয়েছিল হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ। পরে রাষ্ট্রপক্ষের এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার আদালত হাইকোর্টের ঐ জামিন আদেশ স্থগিত করে দেয়। আজ আপিল বিভাগের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ তার স্থগিতাদেশ বহাল রাখে। একই সঙ্গে জামিন প্রশ্নে জারিকৃত রুল চার সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তির জন্য মামলার পক্ষগণকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।গত বছরের ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার আটক করে সিলগালা করে দেয় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর। বলিভিয়া থেকে মেসার্স খান জাহান আলী লিমিটেডের নামে আমদানি করা সূর্যমুখী তেলবাহী কনটেইনারটি জাহাজে তোলা হয় উরুগুয়ের মন্টেভিডিও বন্দর থেকে। সেখান থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে গত ১২ মে পৌঁছায় চট্টগ্রাম বন্দরে।

পরে আদালতের নির্দেশে কন্টেইনার খুলে ১০৭টি ড্রাম থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বন্দরের পরীক্ষায় কোকেনের উপস্থিতি না মেলায় ঢাকার বিসিএসআইআর এবং বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে তরলের নমুনা পুনরায় পরীক্ষা করা হয়। দুই পরীক্ষাগারেই তরল কোকেনের অস্তিত্ব ধরা পড়ে।

এ ঘটনায় ২৮ জুন চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ ও কর্মচারী গোলাম মোস্তফা সোহেলকে আসামি করে মাদক আইনে একটি মামলা করে পুলিশ। পরে আদালত মামলাটিতে চোরাচালানের ধারা সংযোগের নির্দেশ দেয়।

গত ১৯ নভেম্বর এ মামলায় আটজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা ও নগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার (দক্ষিণ) মো. কামরুজ্জামান।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স খান জাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান ‍নূর মোহাম্মদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয় অভিযোগপত্রে।

কিন্তু এজাহারভুক্ত প্রধান আসামির নাম অভিযোগপত্রে না থাকায় চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম রহমত আলী গত ৭ ডিসেম্বর তা গ্রহণ না করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কমকর্তাকে দিয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য র‌্যাবকে দায়িত্ব দেন।

র‌্যাব-৭ এর একটি দল গত ১৫ জানুয়ারি অভিযান চালিয়ে নূর মোহাম্মদকে গ্রেফতার করে।

বিচারিক আদালত নূর মোহাম্মদকে জামিন না দেওয়ায় তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন। ঐ জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৬ জুন হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ অন্তবর্তীকালীন জামিন দেয়। সেই সঙ্গে তাকে কেন স্থায়ী জামিন দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে।

রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরুদ্ধে আবেদন করলে ২০ জুন চেম্বার বিচারপতি জামিন স্থগিত করে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠান।




(ওএস/এস/জুলাই ১৮,২০১৬)

পাঠকের মতামত:

১৯ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test