E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

কামারুজ্জামানের আপিল শুনানি অব্যাহত

২০১৪ জুন ০৯ ১৬:২৮:৫৮
কামারুজ্জামানের আপিল শুনানি অব্যাহত

স্টাফ রিপোর্টার : মানবতাবিরোধী অপরাধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর রায়ে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ কামারুজ্জামানের আপিল শুনানি অব্যাহত রয়েছে। শুনানি মুলতবি করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে ৪ সদস্যের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে এ শুনানি চলছে। অন্য তিন সদস্য হচ্ছেন বিচারপতি আব্দুল ওহাব মিয়া, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ও বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী।

সোমবার দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় অভিযোগ পড়ে শোনান তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার শুনানি শুরু করে ৭টি অভিযোগের মধ্যে প্রথম অভিযোগ পড়ে শোনান কামারুজ্জামানের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহাবুব হোসেন।

রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

এর আগে গত ১৫ মের আদেশে ১৮ মে থেকে আপিল শুনানির দিন ধার্য করেন প্রধান বিচারপতি মো. মোজ্জাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ। তবে কার্যতালিকায় থাকলেও অন্য মামলা থাকায় শুনানি শুরু হয়নি কয়েকটি কার্যদিবসে। প্রধান বিচারপতি এ আপিল মামলার শুনানিতে না থেকে বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে ৪ সদস্যের পৃথক আপিল বেঞ্চও গঠন করে দিয়েছেন।

এর আগে ট্রাইব্যুনালের রায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত অপর দুই জামায়াত নেতা সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল কাদের মোল্লা ও নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর আপিল মামলার শুনানি শেষ হয়েছে প্রধান বিচারপতি মো. মোজ্জাম্মেল হোসেনের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে। কাদের মোল্লার আপিল শুনানির চূড়ান্ত রায়ে ট্রাইব্যুনালের দেওয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আপিল বিভাগ। গত বছরের ১২ ডিসেম্বর কাদের মোল্লাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে সে রায় কার্যকর করা হয়েছে। অন্যদিকে সাঈদীর আপিল শুনানি শেষে মামলার চূড়ান্ত রায় অপেক্ষমাণ রেখেছেন আপিল বিভাগ। ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে করা আরও ৪টি আপিল মামলা শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

ট্রাইব্যুনাল-২ এর দেওয়া ফাঁসির আদেশ থেকে খালাস চেয়ে গত বছরের ৬ জুন আপিল করেন কামারুজ্জামান। তবে কামারুজ্জামানের দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেননি রাষ্ট্রপক্ষ। ২৯ সেপ্টেম্বর আপিলের সার-সংক্ষেপ জমা দেন আসামিপক্ষ।

১২৪টি যুক্তিতে আপিল করেছেন আসামিপক্ষ। তাদের মূল আবেদন ১০৫ পৃষ্ঠার। আর এর সঙ্গে দুই হাজার পাঁচশ’ ৬৪ পৃষ্ঠার আনুষঙ্গিক কাগজপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।

গত বছরের ৯ মে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কামারুজ্জামানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে ৭টি অভিযোগের মধ্যে ৫টিই সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।

অভিযোগগুলোর মধ্যে ১, ২, ৩, ৪ ও ৭ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত এবং ৫ ও ৬ নম্বর অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে রায়ে উল্লেখ করেন ট্রাইব্যুনাল।

এর মধ্যে ৩ ও ৪ নম্বর অভিযোগে কামারুজ্জামানের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ দু’টি অভিযোগ করা হয়েছে যথাক্রমে সোহাগপুর গণহত্যা ও মুক্তিযোদ্ধা গোলাম মোস্তফাকে হত্যার দায়ে। ১ (বদিউজ্জামান হত্যা) ও ৭ (দারাসহ ছয় হত্যা) নম্বর অভিযোগে যাবজ্জীবন এবং ২ নম্বর অভিযোগে (অধ্যক্ষ আব্দুল হান্নানকে নির্যাতন) ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। আর প্রমাণিত না হওয়া অন্য দুই অভিযোগ থেকে কামারুজ্জামানকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া ১, ২ ও ৭ নম্বর অভিযোগের ক্ষেত্রে কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে সুপিরিয়র রেসপনসিবিলিটির (ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায়) অভিযোগও প্রমাণিত হয়েছে ট্রাইব্যুনালের রায়ে।

(ওএস/এটিআর/জুন ০৯, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test