E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ষোড়শ সংশোধনী : সময় চাওয়া নিয়ে বাদানুবাদ

২০১৭ মে ০৯ ১৫:১৫:৩৬
ষোড়শ সংশোধনী : সময় চাওয়া নিয়ে বাদানুবাদ

স্টাফ রিপোর্টার : বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল শুনানির পরবর্তী তারিখ ২১ মে ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার সকালে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ আপিলের উপর দ্বিতীয় দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

আজকের (মঙ্গলবার) শুনানিতে আবারও রাষ্ট্রপক্ষের সময় চাওয়া এবং সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল রেকর্ডের বিষয় নিয়ে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেলের কিছুটা বাদানুবাদ হয়।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। অপরদিকে রিটকারীর পক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষ আবারও সময় চাইলে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এ ব্যাপারে আপিল বিভাগকে বাধ্য করতে পারেন না অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।’

জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘মামলাটি সংবিধানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ বিবেচনায় আপিল বিভাগের সব বিচারপতির উপস্থিত থাকা প্রয়োজন।’ প্রধান বিচারপতি তার এ বক্তব্যের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘শুনানি চলতে থাকুক। যুক্তিতর্কের সময় আপিল বিভাগের সব বিচারপতি উপস্থিত থাকবেন।’

গত বছর উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে দিতে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের দেয়া ওই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানিতে ১২ জন অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের সহায়তাকারী) নিয়োগ দেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।

যৌক্তিক ব্যাখ্যা শোনার জন্য অ্যামিকাস কিউরিরা হলেন- সাবেক বিচারপতি টি এইচ খান, ড. কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি, ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, এ এফ হাসান আরিফ, এম আই ফরুকী, ব্যারিস্টার ফিদা এম কামাল, এ জে মোহাম্মদ আলী ও আবদুল ওয়াদুদ ভূঁইয়া।

গত ৪ জানুয়ারি হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষ। পরদিন সকালে বিষয়টি শুনানির জন্য আসলে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম চার সপ্তাহের সময় চেয়ে আবেদন করেন।

গত বছরের ২৮ নভেম্বর সংসদ কর্তৃক বিচারপতিদের অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ১৬তম সংশোধনীর অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া রায় চূড়ান্ত নিষ্পত্তির জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করেন রিটকারী আইনজীবী।

২০১৬ সালের ৫ মে সংবিধানের ১৬তম সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দুই বিচারপতি ১৬তম সংশোধণী অবৈধ ঘোষণা করলেও এক বিচারপতি ওই সংশোধনী বহাল রেখে রিট আবেদন খারিজ করেন। কিন্তু নিয়মানুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠের মতের ভিত্তিতে যে রায় দেয়া হয় সেটাই চূড়ান্ত রায়।

(ওএস/এসপি/মে ০৯, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

১৮ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test