E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির শুনানি ৮ অক্টোবর

২০১৭ আগস্ট ২০ ১২:৪২:২৩
বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির শুনানি ৮ অক্টোবর

স্টাফ রিপোর্টার : নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি গেজেট আকারে প্রকাশ করা সংক্রান্ত মাসদার হোসেন মামলার শুনানির জন্য আগামী ৮ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট। রবিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে ৬ সদস্যের বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।

মালার খসড়া প্রধান বিচারপতির কাছে হস্তান্তর করার পর গেজেট আকারে প্রকাশ করা সংক্রান্ত বিষয়ে গত ৫ আগস্ট সর্বশেষ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। তারপর সেটা আবারও পরবর্তী শুনানির জন্য আজ রোববার (২০ আগস্ট) দিন ঠিক করেন আদালত।

এর আগে, অধঃস্তন (নিম্ন) আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধি গেজেট আকারে প্রকাশ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য গত ৩ আগস্ট বিকেলে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিদের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আইনমন্ত্রী অসুস্থ থাকার কারণে ওই নির্ধারিত দিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি। এ নিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন উনি (আইনমন্ত্রী) অসুস্থ হয়ে কোন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন জানলে তো দেখতে যেতে পারতাম।

তার আগে ২৩ জুলাই শুনানিতে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালার খসড়া গ্রহণ করেননি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ওইদিন খসড়ার বিভিন্ন ধারার অসংগতি তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা বলেন, আমার সঙ্গে আলোচনা করে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, সব অসংগতি দূর হবে। কিন্তু মন্ত্রণালয়ের প্রণীত এই খসড়ায় সেটার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।

প্রধান বিচারপতি বলেন, কেন আপনারা পুরোপুরি ইউটার্ন নিয়ে এ ধরনের একটা খসড়া প্রণয়ন করলেন। এ সংক্রান্ত মামলার শুনানিকালে অ্যাটর্নি জেনারেলের উদ্দেশে তিনি এসব কথা বলেন।

এরপর ২৭ জুলাই প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এই খসড়া হস্তান্তর করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

২০১৬ সালের ৭ নভেম্বর বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা ২৪ নভেম্বরের মধ্যে গেজেট আকারে প্রণয়ন করতে সরকারকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।

১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেয়া হয়। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল। ১২ দফার মধ্যে ইতোমধ্যে কয়েক দফা বাস্তবায়ন করেছে সরকার। এ জন্য বারবার আদেশ দিতে হয়েছে আপিল বিভাগকে। এমনকি, ২০০৪ সালে আদালত অবমাননার মামলাও করতে হয়েছে বাদীপক্ষকে।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ২০, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

২৪ এপ্রিল ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test