E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

খালেদার গ্যাটকো মামলা চলতে বাধা নেই

২০১৭ আগস্ট ২১ ১২:৪৬:৪৪
খালেদার গ্যাটকো মামলা চলতে বাধা নেই

স্টাফ রিপোর্টার : গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার করা লিভ-টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এর ফলে নিম্ন আদালতে মামলাটি চলতে আর বাধা নেই।

রায় ঘোষণার নির্ধারিত তারিখ আজ সোমবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এরআগে গতকাল এ বিষয়ে রায় ঘোষণার জন্য সোমবার দিন ধার্য করেছেন সর্বোচ্চ আদালত।

আদালতে আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন, আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও বদরুদ্দোজা বাদল।

অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।

এরআগে ২০১৬ সালের ১০ মে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ-টু আপিল করেন বিএনপির চেয়ারপারসন।

২০১৫ সালের ৫ আগস্ট গ্যাটকো দুর্নীতি মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের বেঞ্চ। একইসঙ্গে আদেশের অনুলিপি বিচারিক আদালতে পৌঁছার দুই মাসের মধ্যে খালেদাকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়।

২০১৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ পায়। এরপর ৫ এপ্রিল বিচারিক আদালতে আত্নসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান খালেদা। পরে তিনি জামিন পান।

অভিযোগপত্র দাখিলের পর মামলাটি বর্তমানে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে এখন অভিযোগ গঠন পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।

সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় খালেদার বিরুদ্ধে গ্যাটকোসহ তিনটি মামলা হয়। আদালতের স্থগিতাদেশে আটকে যাওয়ার দীর্ঘদিন পর গত বছর মামলাগুলো সচল করার উদ্যোগ নেয় দুদক।

গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা

ঢাকার কমলাপুর আইসিডি ও চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ে গ্লোবাল অ্যাগ্রো ট্রেড কোম্পানি লিমিটেডকে (গ্যাটকো) ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়া ও তার ছোট ছেলে (প্রয়াত) আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনকে আসামি করে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় গ্যাটকো দুর্নীতি মামলা করেন দুদকের উপ-পরিচালক গোলাম শাহরিয়ার চৌধুরী। মামলায় গ্যাটকোকে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রের ১৪ কোটি ৫৬ লাখ ৩৭ হাজার ৬১৬ টাকা ক্ষতির অভিযোগ করা হয়।

২০০৮ সালের ১৩ মে খালেদা জিয়া ও সাবেক ছয় মন্ত্রীসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ (চার্জশিট) দেয়া হয়।

দুদক আইন ও জরুরি বিধিমালার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর হাইকোর্টে আলাদা দুটি রিট আবেদন করেন খালেদা জিয়া। এসব আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট খালেদা ও কোকোর বিরুদ্ধে কার্যক্রম স্থগিত এবং রুল জারি করেন। পরে বেশ কয়েক দফায় মামলার কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ বাড়ান আদালত।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ২১, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test