E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

খালেদার দুর্নীতির ২ মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ সেপ্টেম্বর

২০১৭ আগস্ট ২৪ ১৫:০১:১৯
খালেদার দুর্নীতির ২ মামলার পরবর্তী শুনানি ১৪ সেপ্টেম্বর

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ও চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন।

জিয়া অরফানেজ মামলায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থনের দিন ধার্য ছিল আজ। এ ছাড়া জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় তার আত্মপক্ষ সমর্থনের আংশিক বক্তব্য দেয়ার দিন ধার্য ছিল।

তবে বেগম খালেদা জিয়া আজ আদালতে উপস্থিত হতে না পারায় তার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া ও জিয়া উদ্দিন জিয়া সময়ের আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বিদেশে গেছেন। তাই তিনি আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। আদালত খালেদা জিয়ার পক্ষে দেয়া সময়ের আবেদন মঞ্জুর করেন।

এ দিন জিয়া অরফানেজ মামলায় আসামি কাজী সালিমুল হক কামালের পক্ষে সাফাই সাক্ষী দেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ ও প্রাইম ব্যাংকের অফিসার জাহাঙ্গীর কবির। এরপর আসামিদের জেরা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। তাদের জেরা শেষ হওয়ায় পরবর্তী সাফাই সাক্ষীর জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

কাজী সালিমুল হক কামালের আইনজীবী জিয়া উদ্দিন জিয়া বলেন, ‘মামলার আসামি কাজী সালিমুল হক কামালের পক্ষে আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ ও প্রাইম ব্যাংকের অফিসার জাহাঙ্গীর কবির সাফাই সাক্ষী দেন। সাক্ষী শেষে তাদের জেরা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। আদালত পরবর্তী সাফাই সাক্ষীর জন্য ১৪ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।’

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এ ছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক হারুন আর রশীদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ২৪, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test