E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

ট্যানারির বর্জ্যে ধলেশ্বরীর দূষণ রোধে হাইকোর্টের নির্দেশনা

২০১৭ আগস্ট ২৫ ১৪:৫৭:১২
ট্যানারির বর্জ্যে ধলেশ্বরীর দূষণ রোধে হাইকোর্টের নির্দেশনা

স্টাফ রিপোর্টার : আসছে ঈদ সামনে রেখে সাভারে ট্যানারির বর্জ্যে ধলেশ্বরীর দূষণ রোধে কয়েক দফা নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকোর্ট। কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) নির্মিত দুটি মডিউলকে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টা চালু রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সিইটিপি নির্মাণ ও পরিচালনায় নিয়োজিত চীনা প্রতিষ্ঠান (জেএলইপিসিএল) ও সহযোগী দেশীয় প্রতিষ্ঠান (ডিএলসি) প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে সিইটিপির চারটি মডিউল চালু করতে ৩১ আগস্টের মধ্যে বিদ্যুৎ-সংযোগের কাজ সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া সম্ভব না হলে সাময়িক ব্যবস্থা হিসেবে শেড নির্মাণ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন।
আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিষয়ে বিসিক ও শিল্প মন্ত্রণালয়কে আগামী ৫ অক্টোবরের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে পরবর্তী নির্দেশনার জন্য ১০ অক্টোবর দিন রাখা হয়েছে। এ ছাড়া আদালত ট্যানারি মালিকেরা যেন ক্রোমিয়াম এবং অন্যান্য তরল বর্জ্য আলাদা পাইপের মাধ্যমে এবং পরিশোধন ছাঁকনি দিয়ে সিইটিপি ও ক্রোমিয়াম শোধনাগারে পাঠায়, তা নিশ্চিত করতে বিসিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সব ট্যানারি মালিকেরা তাঁদের কারখানাগুলোতে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে লবণ পরিশোধনের প্রয়োজনীয় যন্ত্র স্থাপন করেন, তা নিশ্চিত করতে বিসিককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবির। শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রইস উদ্দিন আহমদ।

আবেদনকারী পক্ষ জানায়, চীনা কোম্পানি জেএলইপিসিএল সাভারের ট্যানারিপল্লিতে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি), কমন ক্রোম রিকভারি ইউনিট, সুয়েজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, ক্লোরাইড ও সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের নির্মাণ ও বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত। কিন্তু হজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারি কারখানা স্থানান্তরিত হলেও সেখানে বর্জ্য শোধনাগার প্ল্যান্ট (সিইটিপি) এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে কার্যকর হয়নি। সিইটিপি ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার কথা থাকলে কোম্পানিটি তা রাখছে না। বর্জ্য পরিশোধন না করে তরল বর্জ্য ধলেশ্বরীতে ফেলা হচ্ছে। ফলে ধলেশ্বরীসহ আশপাশের পরিবেশ দূষণের শিকার হচ্ছে। বারবার তাগাদা দেওয়া হলেও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য এবং কঠিন বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কোনো পরিকল্পনা এখন পর্যন্ত জমা দেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় বেলা ওই আবেদনটি করে।

(পিজিটি/এসপি/আগস্ট ২৫, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test