E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Technomedia Limited
Mobile Version

২৪ দিনে ৪০০ পৃষ্ঠা রায় নিয়ে বিচারপতি শামসুদ্দিনের সন্দেহ

২০১৭ আগস্ট ২৬ ১৭:৫৯:৪৯
২৪ দিনে ৪০০ পৃষ্ঠা রায় নিয়ে বিচারপতি শামসুদ্দিনের সন্দেহ

স্টাফ রিপোর্টার : সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের পর্যবেক্ষণ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহার লেখা কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ থেকে অবসরে যাওয়া তার সহকর্মী বিচারপতি এএইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক।

বিচারপতি শামসুদ্দিন বলেন, ‘উনি মাত্র ২৪ দিন সময়ের মধ্যে ৪০০ পৃষ্ঠার কথা লিখেছেন, এটা ইমপসিবল, এটা হতে পারে না। এটা তার লেখা রায় মোটেও নয়।’

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত শোক দিবসের এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে নিতে সংবিধানে আনা ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করে গত ৩ জুলাই আপিল বিভাগ চূড়ান্ত রায় দেন। এরপর ১ অাগস্ট পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশ করা হয়। ৭৯৯ পৃষ্ঠার ওই রায়ের বেশিরভাগ অংশজুড়ে প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ রয়েছে; যা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে তুমুল আলোচনা।

বিচারপতি শামসুদ্দিন বলেন, ‘তার লেখা রায় পড়লে আপনারা দেখতে পাবেন, অনেক শব্দ আছে যেসব শব্দ তার লেখা আগের কোনো রায়ে নেই। অর্থাৎ এটা পরিষ্কার, এই রায় তার লেখা নয়। অন্য কেউ লিখে দিয়েছেন, সম্ভবত পাকিস্তানি কোনো আইএসআই লিখে দিয়েছে।’

ওই রায়ের পর্যবেক্ষণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে খাটো করা হয়েছে অভিযোগ তুলে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। গত বছর অবসর নেয়ার সময় প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কোন্দলে জড়িয়ে পড়া বিচারপতি শামসুদ্দিনও ক্ষমতাসীনদের ওই দাবিতে সমর্থন জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘ষোড়শ সংশোধনী মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত না এমন অনেক কথা তিনি অভজারভেশনে বলেছেন। প্রধান বিচারপতির কাজ রাজনীতি করা না। যে প্রধান বিচারপতি রাজনীতি করে, সেটা তার অযোগ্যতা। এসব করে তিনি অনেকভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন, শপথ ভঙ্গ করেছেন। তার আর এই পথে থাকার কোনো অধিকার নেই। তাকে অবশ্যই এই পদ ছেড়ে চলে যেতে হবে।’

বিচারপতি শামসুদ্দিন আরও বলেন, ‘তুমি শুধু প্রধান বিচারপতির পদ ছাড়বা না, এই দেশ ছাড়তে হবে। তুমি যখন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব স্বীকার কর না, এ দেশে থাকার কোনো অধিকার তোমার নাই।’

সভায় আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী- এমনটা প্রমাণ করতে অপেক্ষাকৃত কম যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও প্রধান বিচারপতি পদে এস কে সিনহাকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল।’

‘আর এই প্রধান বিচারপতি এখন দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। দুর্নীতিবাজ এক বিচারককে বাঁচানোর জন্য তিনি দুদকে চিঠি দিয়েছেন। দুর্নীতিকে যে প্রশ্রয় দেয়, সেও সমান অপরাধী। এটা দুদকের ৫ নম্বর ধারা অনুযায়ী তিনিও সেই অপরাধ করেছেন।’

বিএনপি এখন প্রধান বিচারপতির ‘ঘাড়ে বসে’ রাজনীতি করতে চাইছে বলেও মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের এই নেতা।

(ওএস/এসপি/আগস্ট ২৬, ২০১৭)

পাঠকের মতামত:

০৭ মে ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test